নওগাঁ ০৭:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

পত্নীতলায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিক প্রতাপ সেতুর নাম পরিবর্তনের অভিযোগ<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ২৯ জুলাই ২০২১ :

নওগাঁর পত্নীতলা সড়ক ও জনপথ বিভাগ সওজ এর বিরুদ্ধে আত্রাই নদীর উপর নির্মিত শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিক প্রতাপ সেতুর নাম পরিবর্তন করার অভিযোগ উঠেছে। আকস্মিক সেতুর দুপাশে নতুন সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে তাতে লেখা হয়েছে পত্নীতলা সেতু। এতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা করা হয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকাবাসী। দ্রুত সাইনবোর্ড দুটি অপসারণ করে সেতুর সঠিক নাম ব্যবহারের দাবি জানিয়েছেন তারা।

উপজেলার নজিপুর পৌরসভা এলাকায় আত্রাই নদীর উপর ১৯৯৩ সালের ৩০ জুন সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধানে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। ১৯৯৪ সালের ১১ জানুয়ারি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সেতুটি উদ্বোধন করেন। সেই সময় স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দাবিতে উপজেলার কৃতি সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ সিদ্দিক প্রতাপের নামে সেতুটির নামকরণ করা হয়। সেতুটি নির্মাণের মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী আম উৎপাদনের বৃহৎ উপজেলা সাপাহার, পোরশা, চাপাইনবাবগঞ্জের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হয়।

সম্প্রতি জেলাজুড়ে স্থান শনাক্তকরণের সুবিধার্থে সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন সব সড়ক ও ব্রিজের পাশে সাইনবোর্ড বসানো হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিক প্রতাপ সেতুর দুপাশে পত্নীতলা সেতু লিখে দুটি সাইনবোর্ড বসিয়েছে জনপথ বিভাগ। বিষয়টি স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকাবাসীর নজরে এলে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। দ্রুত সাইনবোর্ড অপসারণ করতে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি অবগত করেন নওগাঁ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক উদ্দীন আহমেদসহ উপজেলার অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা।

পত্নীতলা উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ সিদ্দিক প্রতাপ আমাদের উপজেলার কৃতি সন্তান। আমাদের দাবিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এই সেতুর নামকরণ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিক প্রতাপ সেতু করেছিলেন। এর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। হঠাৎ সেতুর নাম পরিবর্তন করে আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা করেছে সওজ। দ্রুত সাইনবোর্ড দুটি অপসারণ করা না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাব।’

নওগাঁ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘সড়ক ও জনপথ বিভাগ হঠাৎ করে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিক প্রতাপ সেতু নামের পরিবর্তে কেন পত্নীতলা সেতু নামে সাইনবোর্ড বসিয়েছে তা বোধগম্য নয়। অনতিবিলম্বে সাইনবোর্ডে পত্নীতলা সেতু নাম পরিবর্তন করে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিক প্রতাপ সেতু করা না হলে আমরা প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশসহ কঠোর পদক্ষেপ নেব।’

নওগাঁ সড়ক ও জনপথ বিভাগ সওজ পত্নীতলার উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোজাম্মেল হক বলেন, ‘সাইনবোর্ড দুটিতে ভুলক্রমে পত্নীতলা সেতু লেখা হয়েছে। শিগগিরই সেখানে ভুল সংশোধন করে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিক প্রতাপ সেতু লেখা হবে।’#

আপলোডকারীর তথ্য

পত্নীতলায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিক প্রতাপ সেতুর নাম পরিবর্তনের অভিযোগ<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ০৫:৫৯:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই ২০২১
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ২৯ জুলাই ২০২১ :

নওগাঁর পত্নীতলা সড়ক ও জনপথ বিভাগ সওজ এর বিরুদ্ধে আত্রাই নদীর উপর নির্মিত শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিক প্রতাপ সেতুর নাম পরিবর্তন করার অভিযোগ উঠেছে। আকস্মিক সেতুর দুপাশে নতুন সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে তাতে লেখা হয়েছে পত্নীতলা সেতু। এতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা করা হয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকাবাসী। দ্রুত সাইনবোর্ড দুটি অপসারণ করে সেতুর সঠিক নাম ব্যবহারের দাবি জানিয়েছেন তারা।

উপজেলার নজিপুর পৌরসভা এলাকায় আত্রাই নদীর উপর ১৯৯৩ সালের ৩০ জুন সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধানে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। ১৯৯৪ সালের ১১ জানুয়ারি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সেতুটি উদ্বোধন করেন। সেই সময় স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দাবিতে উপজেলার কৃতি সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ সিদ্দিক প্রতাপের নামে সেতুটির নামকরণ করা হয়। সেতুটি নির্মাণের মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী আম উৎপাদনের বৃহৎ উপজেলা সাপাহার, পোরশা, চাপাইনবাবগঞ্জের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হয়।

সম্প্রতি জেলাজুড়ে স্থান শনাক্তকরণের সুবিধার্থে সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন সব সড়ক ও ব্রিজের পাশে সাইনবোর্ড বসানো হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিক প্রতাপ সেতুর দুপাশে পত্নীতলা সেতু লিখে দুটি সাইনবোর্ড বসিয়েছে জনপথ বিভাগ। বিষয়টি স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকাবাসীর নজরে এলে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। দ্রুত সাইনবোর্ড অপসারণ করতে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি অবগত করেন নওগাঁ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক উদ্দীন আহমেদসহ উপজেলার অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা।

পত্নীতলা উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ সিদ্দিক প্রতাপ আমাদের উপজেলার কৃতি সন্তান। আমাদের দাবিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এই সেতুর নামকরণ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিক প্রতাপ সেতু করেছিলেন। এর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। হঠাৎ সেতুর নাম পরিবর্তন করে আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা করেছে সওজ। দ্রুত সাইনবোর্ড দুটি অপসারণ করা না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাব।’

নওগাঁ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘সড়ক ও জনপথ বিভাগ হঠাৎ করে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিক প্রতাপ সেতু নামের পরিবর্তে কেন পত্নীতলা সেতু নামে সাইনবোর্ড বসিয়েছে তা বোধগম্য নয়। অনতিবিলম্বে সাইনবোর্ডে পত্নীতলা সেতু নাম পরিবর্তন করে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিক প্রতাপ সেতু করা না হলে আমরা প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশসহ কঠোর পদক্ষেপ নেব।’

নওগাঁ সড়ক ও জনপথ বিভাগ সওজ পত্নীতলার উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোজাম্মেল হক বলেন, ‘সাইনবোর্ড দুটিতে ভুলক্রমে পত্নীতলা সেতু লেখা হয়েছে। শিগগিরই সেখানে ভুল সংশোধন করে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিক প্রতাপ সেতু লেখা হবে।’#