নওগাঁ ০৭:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

নিগো সিন্ডিকেটের ভরাডুবি : মহাদেবপুরে ৫৬ হাজার টাকার পুকুর নিলাম হলো ৫ লক্ষ টাকায়

মহাদেবপুর দর্পণ, কাজী সাঈদ টিটো, মহাদেবপুর (নওগাঁ), ১০ মে ২০২৫ :
নওগাঁর মহাদেবপুরে উপজেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রশংসনীয় উদ্যোগে এবার দুটি পুকুরের নিলাম ডাক হয়েছে কোন রকম নিগোশিয়েশন ছাড়াই। আর এতে গতবছরে ৫৬ হাজার টাকায় নিলাম হওয়া একটি সরকারি খাস পুকুরের ডাক উঠেছে ৪ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকা। এর উপর ১০ শতাংশ আয়কর ও ১৫ শতাংশ ভ্যাটও দিতে হবে।
গত ১৭ বছরে এই প্রথম সরকারি কোন নিলাম ডাক সংশ্লিষ্টদের নিগোশিয়েট ছাড়াই সম্পন্ন হলো। ফলে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৯ গুণ। এনিয়ে প্রশংসায় ভাঁসছেন সংশ্লিষ্টরা। স্থানীয়রা আগামীতে সব ধরনের সরকারি নিলামে যাতে আর কেউ নিগোশিয়েট করে সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে নিজেদেরে আখেড় গোছাতে না পারে সেদিকে কঠোর নজরদারি করার দাবি জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, গত বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভাকক্ষ শাপলায় সরকারি খাস খতিয়ানভূক্ত এক একর ৪৮ শতক আয়তনের উপজেলার খাজুর ইউনিয়নের ঐতিহাসিক আদ্যাবাড়ি পুকুর এবং ৮৫ শতক আয়তনের চাঁন্দাশ ইউনিয়নের কন্দর্পপুর পুকুরের আগামী ৩ বছরের জন্য নিলাম ডাকের আয়োজন করা হয়। ৩ বছর আগে প্রথম পুকুরটির ডাক হয়েছিল ৫৬ হাজার ২শ’ টাকা এবং দ্বিতীয়টির ৪৬ হাজার টাকা। নিলাম ডাক কার্যক্রমে অংশ নেয়ার জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে দেড় শতাধিক যুবক উপস্থিত হন।
প্রতিবার এসব যুবক নিজেদের মধ্যে নিগোশিয়েট করে প্রথমে খুবই কম দামে নিলাম ডেকে নেন। পরে সেখানেই আর একবার ডাক দেয়া হয় যেখানে প্রকৃত ক্রেতারা অংশ নেন। দুই ডাকের মধ্যে পার্থক্যের অতিরিক্ত টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করে নেন। এতে নিলাম ডাকে অংশ না নিয়েও শুধুমাত্র উপস্থিত থেকেই সমান টাকার ভাগ নিয়ে যান এসব যুবকেরা। ফলে মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয় সরকার।
গত ১৭ বছর ধরে এই অবস্থা চলে আসছে। স্থানীয় পরীক্ষামূলক সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণ পরিবারসহ সাংবাদিকেরা বরাবর এর বিরোধীতা করে আসছেন। এনিয়ে একাধিকবার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রথম সারির অন্য নেতারা নিগোশিয়েট করতে চাইলে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রিপন মাহমুদ, কৃষক দল নেতা রাজু আহমেদ, বালু ব্যবসায়ী হাফিজুল ইসলাম প্রমুখের জোড়ালো নেতৃত্বে নিগোশিয়েটকারিরা পিছু হটেন। শুরু হয় প্রকৃত নিলাম ডাক। মাত্র ২৬ জন জামানতের টাকা জমা দিয়ে ডাকে অংশ নেন। ইউএনও মো: আরিফুজ্জামান নিলাম ডাক পরিচালনা করেন। এতে দ্বিতীয় পুকুরটির ডাক ওঠে এক লক্ষ ৪০ হাজার টাকা।
স্থানীয়রা জানান, এর মাত্র দুসপ্তাহ আগে গত ২৩ এপ্রিল মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৮৪টি গাছের নিলামের আয়োজন করা হয়। নিগোশিয়েটকারিরা নিজেদের মধ্যে আপসে সরকারি ডাকমূল্য ৪ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার সিডিউল জমা দিয়ে গাছগুলোর নিলাম হাতিয়ে নেন। এর পরপরই হাসপাতাল চত্ত্বরেই দ্বিতীয় নিলাম ডাকের আয়োজন করে দ্বিগুণমূল্যে সেগুলো বিক্রি করা হয়। এনিয়ে স্থানীয় পরিবেশ সাংবাদিকেরা মানববন্ধনের আয়োজন করেন।
আপলোডকারীর তথ্য

নিগো সিন্ডিকেটের ভরাডুবি : মহাদেবপুরে ৫৬ হাজার টাকার পুকুর নিলাম হলো ৫ লক্ষ টাকায়

প্রকাশের সময় : ০৬:২৫:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫
মহাদেবপুর দর্পণ, কাজী সাঈদ টিটো, মহাদেবপুর (নওগাঁ), ১০ মে ২০২৫ :
নওগাঁর মহাদেবপুরে উপজেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রশংসনীয় উদ্যোগে এবার দুটি পুকুরের নিলাম ডাক হয়েছে কোন রকম নিগোশিয়েশন ছাড়াই। আর এতে গতবছরে ৫৬ হাজার টাকায় নিলাম হওয়া একটি সরকারি খাস পুকুরের ডাক উঠেছে ৪ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকা। এর উপর ১০ শতাংশ আয়কর ও ১৫ শতাংশ ভ্যাটও দিতে হবে।
গত ১৭ বছরে এই প্রথম সরকারি কোন নিলাম ডাক সংশ্লিষ্টদের নিগোশিয়েট ছাড়াই সম্পন্ন হলো। ফলে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৯ গুণ। এনিয়ে প্রশংসায় ভাঁসছেন সংশ্লিষ্টরা। স্থানীয়রা আগামীতে সব ধরনের সরকারি নিলামে যাতে আর কেউ নিগোশিয়েট করে সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে নিজেদেরে আখেড় গোছাতে না পারে সেদিকে কঠোর নজরদারি করার দাবি জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, গত বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভাকক্ষ শাপলায় সরকারি খাস খতিয়ানভূক্ত এক একর ৪৮ শতক আয়তনের উপজেলার খাজুর ইউনিয়নের ঐতিহাসিক আদ্যাবাড়ি পুকুর এবং ৮৫ শতক আয়তনের চাঁন্দাশ ইউনিয়নের কন্দর্পপুর পুকুরের আগামী ৩ বছরের জন্য নিলাম ডাকের আয়োজন করা হয়। ৩ বছর আগে প্রথম পুকুরটির ডাক হয়েছিল ৫৬ হাজার ২শ’ টাকা এবং দ্বিতীয়টির ৪৬ হাজার টাকা। নিলাম ডাক কার্যক্রমে অংশ নেয়ার জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে দেড় শতাধিক যুবক উপস্থিত হন।
প্রতিবার এসব যুবক নিজেদের মধ্যে নিগোশিয়েট করে প্রথমে খুবই কম দামে নিলাম ডেকে নেন। পরে সেখানেই আর একবার ডাক দেয়া হয় যেখানে প্রকৃত ক্রেতারা অংশ নেন। দুই ডাকের মধ্যে পার্থক্যের অতিরিক্ত টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করে নেন। এতে নিলাম ডাকে অংশ না নিয়েও শুধুমাত্র উপস্থিত থেকেই সমান টাকার ভাগ নিয়ে যান এসব যুবকেরা। ফলে মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয় সরকার।
গত ১৭ বছর ধরে এই অবস্থা চলে আসছে। স্থানীয় পরীক্ষামূলক সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণ পরিবারসহ সাংবাদিকেরা বরাবর এর বিরোধীতা করে আসছেন। এনিয়ে একাধিকবার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রথম সারির অন্য নেতারা নিগোশিয়েট করতে চাইলে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রিপন মাহমুদ, কৃষক দল নেতা রাজু আহমেদ, বালু ব্যবসায়ী হাফিজুল ইসলাম প্রমুখের জোড়ালো নেতৃত্বে নিগোশিয়েটকারিরা পিছু হটেন। শুরু হয় প্রকৃত নিলাম ডাক। মাত্র ২৬ জন জামানতের টাকা জমা দিয়ে ডাকে অংশ নেন। ইউএনও মো: আরিফুজ্জামান নিলাম ডাক পরিচালনা করেন। এতে দ্বিতীয় পুকুরটির ডাক ওঠে এক লক্ষ ৪০ হাজার টাকা।
স্থানীয়রা জানান, এর মাত্র দুসপ্তাহ আগে গত ২৩ এপ্রিল মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৮৪টি গাছের নিলামের আয়োজন করা হয়। নিগোশিয়েটকারিরা নিজেদের মধ্যে আপসে সরকারি ডাকমূল্য ৪ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার সিডিউল জমা দিয়ে গাছগুলোর নিলাম হাতিয়ে নেন। এর পরপরই হাসপাতাল চত্ত্বরেই দ্বিতীয় নিলাম ডাকের আয়োজন করে দ্বিগুণমূল্যে সেগুলো বিক্রি করা হয়। এনিয়ে স্থানীয় পরিবেশ সাংবাদিকেরা মানববন্ধনের আয়োজন করেন।