নওগাঁ ০৭:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

মান্দায় গৃহবধূর ঘরে গভীর রাতে যুবককে গণধোলাই

মহাদেবপুর দর্পণ, কাজী সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ১২ মে ২০২৫ :
নওগাঁর মান্দায় এক গৃহবধূর ঘরে গভীর রাতে রানা হামিদ (৩৮) নামে এক যুবককে আটক করে গলায় জুতোর মালা ঝুলিয়ে, দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে রাতভর মারপিট করে সকালে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। আটক যুবক উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের বড়পই পূর্বপাড়া গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি বিজিবির ল্যান্স কর্পোরাল পদে বান্দরবানে কর্মরত রয়েছেন।
সোমবার (১২ মে) সকাল ১০টার দিকে মান্দা থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। সংবাদ পেয়ে নওগাঁ বিজিবি ১৬ ব্যাটালিয়ানের একটি টিম মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রানা হামিদকে নিজেদের হেফাজতে নেয়।
বড়পই গ্রামের জুয়েল রানা বলেন, ‘রানা হামিদের সঙ্গে কুসুম্বা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি শহিদুল ইসলামের স্ত্রীর পরকীয়া সর্ম্পক নিয়ে এলাকায় কানাঘুষা ছিল। রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে রানা হামিদ ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হন। এসময় ওই নারীর স্বামী শহিদুল ইসলাম স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় রানা হামিদকে আটক করেন। পরে বিক্ষুব্ধ লোকজন তাকে গণপিটুনি দেন।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার স্ত্রীর সঙ্গে রানা হামিদ পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। গভীর রাতে আমার পাশের একটি ঘরে তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলি। এ সময় ধস্তাধস্তিতে আমি আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। ঘটনার পর থেকে আমার স্ত্রীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। স্ত্রী না থাকায় পুলিশ এ বিষয়ে মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।’
অভিযুক্ত রানা হামিদ পরকীয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমাকে ফাঁসাতে পরিকল্পিতভাবে এ ধরণের নাটক সাজানো হয়েছে।’
মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনসুর রহমান বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে বিজিবি সদস্য রানা হামিদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে দেওয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপলোডকারীর তথ্য

মান্দায় গৃহবধূর ঘরে গভীর রাতে যুবককে গণধোলাই

প্রকাশের সময় : ০৭:৩০:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫
মহাদেবপুর দর্পণ, কাজী সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ১২ মে ২০২৫ :
নওগাঁর মান্দায় এক গৃহবধূর ঘরে গভীর রাতে রানা হামিদ (৩৮) নামে এক যুবককে আটক করে গলায় জুতোর মালা ঝুলিয়ে, দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে রাতভর মারপিট করে সকালে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। আটক যুবক উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের বড়পই পূর্বপাড়া গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি বিজিবির ল্যান্স কর্পোরাল পদে বান্দরবানে কর্মরত রয়েছেন।
সোমবার (১২ মে) সকাল ১০টার দিকে মান্দা থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। সংবাদ পেয়ে নওগাঁ বিজিবি ১৬ ব্যাটালিয়ানের একটি টিম মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রানা হামিদকে নিজেদের হেফাজতে নেয়।
বড়পই গ্রামের জুয়েল রানা বলেন, ‘রানা হামিদের সঙ্গে কুসুম্বা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি শহিদুল ইসলামের স্ত্রীর পরকীয়া সর্ম্পক নিয়ে এলাকায় কানাঘুষা ছিল। রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে রানা হামিদ ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হন। এসময় ওই নারীর স্বামী শহিদুল ইসলাম স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় রানা হামিদকে আটক করেন। পরে বিক্ষুব্ধ লোকজন তাকে গণপিটুনি দেন।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার স্ত্রীর সঙ্গে রানা হামিদ পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। গভীর রাতে আমার পাশের একটি ঘরে তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলি। এ সময় ধস্তাধস্তিতে আমি আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। ঘটনার পর থেকে আমার স্ত্রীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। স্ত্রী না থাকায় পুলিশ এ বিষয়ে মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।’
অভিযুক্ত রানা হামিদ পরকীয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমাকে ফাঁসাতে পরিকল্পিতভাবে এ ধরণের নাটক সাজানো হয়েছে।’
মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনসুর রহমান বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে বিজিবি সদস্য রানা হামিদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে দেওয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।