নওগাঁ ০১:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

নওগাঁর ডিসিকে ফোন করার আধাঘন্টার মধ্যে খাবার পেলেন রিক্সা চালকের স্ত্রী

মহাদেবপুর দর্পণ, মাহমুদুন নবী বেলাল, নওগাঁ, ২ এপ্রিল ২০২০ :

কর্মহীন অভুক্ত এক নারীর ফোন পেয়ে ৭ দিনের খাদ্যসামগ্রী নিয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক হারুন অর রশীদ এর নির্দেশে ওই নারীর বাসায় ছুটে যান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক উত্তম কুমার দাস। ওই নারী তার বাসায় খাবার সামগ্রী নিয়ে আসায় অবাক হয়ে যান। অবাক হয়ে যান ওই মহল্লার লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে নওগাঁ সদর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের সাহাপুর গ্রামের রিক্সা চালক সেকেন্দোর আলীর বাড়ীতে।

সেকেন্দার আলীর স্ত্রী মুক্তা পারভীন অন্যের বাসায় ঝি এর কাজ করতেন। করোনাভাইরাসে রিক্সা চালাতে না পেরে এবং স্ত্রী অন্যের বাসায় কাজ করতে না পেরে তারা অর্ধাহারে অনাহারে কয়েকদিন যাবত কোন রকমে দিন কাটাচ্ছিলেন।

বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টায় জেলা প্রশাসক হারুন অর রশীদ ওই নারীর ফোন পান। তিনি বলেন, আমরা খুব কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। তাই খাদ্যের জন্য দাবী করেন। সাথে সাথে তার নির্দেশে ৭ দিনের খাদ্য সামগ্রী নিয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) উত্তম কুমারকে ওই নারীর বাসায় হাজির হন। খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ২০ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ২ কেজি আটা, ২ কেজি ডাল, ১লিটার তেল, চিনি, লবন, সাবান, নুডুলস ইত্যাদি।

মুক্তা পারভীন বলেন, এত খাবার এত তাড়াতাড়ি পাব আমি ভাবতেও পারিনি। আমি কিভাবে কৃতজ্ঞতা জানাবো তার কোন ভাষা নেই। ফোন করার আধাঘন্টা পরেই বাড়ীতে বসেই এত খাবার পাব আমি কখনই ভাবতে পারিনি।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক উত্তম কুমার জানান, এই সরকারের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য হলো একটি লোকও না খেয়ে থাকবে না। এটা প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার। এই করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীন মানুষরা কর্ম করতে না পারায় না খেয়ে থাকবে এটা হতে পারে না। তাই জেলা প্রশাসকের কাছে ফোন করা মাত্রই তার নির্দেশে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে তার বাড়ীতে চলে এসেছি। এটা সরকারের প্রতিনিধি হিসাবে আমার কর্তব্য বলে মনে করছি। #

আপলোডকারীর তথ্য

নওগাঁর ডিসিকে ফোন করার আধাঘন্টার মধ্যে খাবার পেলেন রিক্সা চালকের স্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৭:১১:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ এপ্রিল ২০২০

মহাদেবপুর দর্পণ, মাহমুদুন নবী বেলাল, নওগাঁ, ২ এপ্রিল ২০২০ :

কর্মহীন অভুক্ত এক নারীর ফোন পেয়ে ৭ দিনের খাদ্যসামগ্রী নিয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক হারুন অর রশীদ এর নির্দেশে ওই নারীর বাসায় ছুটে যান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক উত্তম কুমার দাস। ওই নারী তার বাসায় খাবার সামগ্রী নিয়ে আসায় অবাক হয়ে যান। অবাক হয়ে যান ওই মহল্লার লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে নওগাঁ সদর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের সাহাপুর গ্রামের রিক্সা চালক সেকেন্দোর আলীর বাড়ীতে।

সেকেন্দার আলীর স্ত্রী মুক্তা পারভীন অন্যের বাসায় ঝি এর কাজ করতেন। করোনাভাইরাসে রিক্সা চালাতে না পেরে এবং স্ত্রী অন্যের বাসায় কাজ করতে না পেরে তারা অর্ধাহারে অনাহারে কয়েকদিন যাবত কোন রকমে দিন কাটাচ্ছিলেন।

বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টায় জেলা প্রশাসক হারুন অর রশীদ ওই নারীর ফোন পান। তিনি বলেন, আমরা খুব কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। তাই খাদ্যের জন্য দাবী করেন। সাথে সাথে তার নির্দেশে ৭ দিনের খাদ্য সামগ্রী নিয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) উত্তম কুমারকে ওই নারীর বাসায় হাজির হন। খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ২০ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ২ কেজি আটা, ২ কেজি ডাল, ১লিটার তেল, চিনি, লবন, সাবান, নুডুলস ইত্যাদি।

মুক্তা পারভীন বলেন, এত খাবার এত তাড়াতাড়ি পাব আমি ভাবতেও পারিনি। আমি কিভাবে কৃতজ্ঞতা জানাবো তার কোন ভাষা নেই। ফোন করার আধাঘন্টা পরেই বাড়ীতে বসেই এত খাবার পাব আমি কখনই ভাবতে পারিনি।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক উত্তম কুমার জানান, এই সরকারের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য হলো একটি লোকও না খেয়ে থাকবে না। এটা প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার। এই করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীন মানুষরা কর্ম করতে না পারায় না খেয়ে থাকবে এটা হতে পারে না। তাই জেলা প্রশাসকের কাছে ফোন করা মাত্রই তার নির্দেশে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে তার বাড়ীতে চলে এসেছি। এটা সরকারের প্রতিনিধি হিসাবে আমার কর্তব্য বলে মনে করছি। #