নওগাঁ ০৪:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

মান্দার মিলন-বুলবুলির প্রেম কাহিনী : ধনীর দুলালী আর গরীব দর্জি : প্রেমিকের আত্মহত্যার চেষ্টায় জ্ঞান হারালো প্রেমিকা !

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, মাহবুবুজ্জামান সেতু, মান্দা (নওগাঁ), ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ :

নওগাঁর মান্দায় সালিশ বৈঠকে সাগির আহমেদ মিলন (২০) নামে এক প্রেমিক ব্লেড দিয়ে গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে।
মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার বিকেল সাড়ে ৩ টায় উপজেলার গণেশপুর ইউনিয়নের উত্তর শ্রীরামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

প্রেমিক মিলনের আত্মহত্যা চেষ্টার ঘটনায় প্রেমিকা উম্মে শাহিনুর বুলবুলিও (১৯) জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তাকেও মান্দা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রেমিক মিলন উত্তর শ্রীরামপুর গ্রামের সাদেকুল ইসলামের ছেলে এবং প্রেমিকা বুলবুলি সৈয়দপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের মেয়ে। তারা দুজনেই সতিহাট কেটি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে এবছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।

পরীক্ষার শেষ দিনে কেন্দ্র থেকে গোবিন্দপুর গ্রামের সেকেন্দার আলীর মোটরসাইকেলে চড়ে তারা অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয়।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকার পর গত ১৩ সেপ্টেম্বর তারা বাড়ি ফিরে আসে। এনিয়ে শনিবার বিকেলে গনেশপুর ইউপি সদস্যা স্বপ্না বেগমের বাড়িতে সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

সালিশ চলাকালে প্রেমিকা বুলবুলিকে তার মা বাড়ি নিয়ে যাবার চেষ্টা করেন। এই দেখে প্রেমিক মিলন একটি ব্লেড দিয়ে গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়।

ইউপি সদস্য স্বপ্না বেগম সালিশ বৈঠকের কথা স্বীকার করে বলেন, অনাকাঙ্খিত এ ঘটনায় আমি হতভম্ব হয়ে পড়ি। পরে রক্তাক্ত মিলনকে উদ্ধার করে মান্দা হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। মিলনের রক্তাক্ত অবস্থা দেখে এ সময় প্রেমিকা বুলবুলি অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকেও একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সালিশে এলাকার শতাধিক ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন বলে জানান তিনি।

মিলনের পরিবার সুত্র জানায়, তারা পালিয়ে ঢাকায় অবস্থানকালে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে। দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকার পর তারা বাড়ি ফিরে আসে। এরপর থেকে মেয়ে পরিবারের লোকজন বিভিন্নভাবে তাদের হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল।

উল্লেখ্য, ঘটনাসূত্রে জানা যায় ধনী গরীবের প্রেম কাহিনী। প্রেমিক মিলন একজন গরীব পরিবারের সন্তান। আর বুলবুলির বাবা ছিলেন একজন ইট ভাটার মালিক। নানা প্রাইমারী স্কুলের অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক। হাজী, ধনী, প্রতাবশালী, অনেক টাকা পয়সা ওয়ালা। নানী একজন হেল্থের সরকারী চাকুরীজীবি। খালুরা আর্মি, বিডিয়ার, অনেক সম্পদশালী। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নিকট আত্মীয়।

এসব আ্ত্ম অহংকার মিলন আর বুলবুলির প্রেমের মধ্যে জটিল প্রেমের সম্পর্কে বড় বাঁধা।

বুলবুলি দেখতেও অনেক সুন্দর। একেবারে বিশ্ব সুন্দরী।

সে তুলনায় মিলনের না আছে আভিজাত্য, ঔশ্বর্য্য, ধন, দৌলত। মিলনও দেখতে অসুন্দর তা কিন্তু না। মিলনও যথেষ্ট সুন্দর, কর্মঠ এবং পরিশ্রমী ছেলে।

তাদের প্রেমের সম্পর্ক আজকের নতুন না। কথায় আছে না, প্রেম মানে না বাঁধা। প্রেম কোন জাতী-ধর্ম বা ধনী গরীব বিষয় না।

সবই ঠিক ছিলো। কিন্তু মিলনের ক্ষেত্রেই কিছুটা আলাদা। মিলন বুলবুলিকে যেমনটা লাভ করতো, বুলবুলিও মিলনকে তেমনটাই লাভ করতো। এই প্রেমের জোশ ছিলো আলাদা ক্যাটাগরির। কেননা, মিলন লেখাপড়ার পাশাপাশি পেশায় ছিলো একজন সেলাই মেশিনে কাজ করার কারিগর। সেইসাথে সে ঘর ওয়্যারিংয়ের কাজ করতে পারতো। সে অধিকাংশ সময় অন্যের বাড়িতে এসব কাজ করতো। মাঝে মাঝে সে ফুটবলও খেলতো। আবার শর্ট ফিল্মে অভিনয় করতো।

মিলনের এসব প্রতিভায় পাগল ছিলো বুলবুলি। বুলবুলির বাবা তারে অনেক ছোট রেখে মারা যাওয়ায় এবং মা অন্য ছেলের সাথে পরকিয়া প্রেমে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করার কেলেংকারীতে নানার বাড়িতে বসবাস করাবস্থায় নিজেকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হওয়ায় পিতা মাতার অবর্তমানে বেপোরোয়া হয়ে ওঠে বুলবুলি।

বুলবুলির বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে ওর মা আনোয়ারা এবং ছোট বোন শম্পাসহ নানা আহাম্মাদ মাষ্টারের বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করতো।

প্রাইমারিতে লেখাপড়া করাবস্থায় তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু তাদের প্রেম কাহিনী কখনোই স্বীকার করতো না বুলবুলির পরিবারের লোকজন। নাতনী সুন্দরী হওয়ায় নাতনীকে নিয়ে খুব গর্ব করতেন বুলবুলির নানা, নানী, খালা, খালু ও অন্যান্য আত্মীয় স্বজন। তারা সব সময় দাবী করতেন যে, না, আমাদের নাতনী এমন কাজ করতে পারেই না। কিন্ত প্রেমের সম্পর্কতো আর একদিনে হয় না।

বুলবুলির মা ই মূলত মেয়ের সাথে প্রেম করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়। বুলবুলির নানার বাড়িতে অবাধে যাওয়া আসা করতো মিলন। নিজের ছেলের মতো মনে করতো মিলনকে।

মিলন একটু কাজ কাম পারতো সেজন্য মিলনের কদর ছিলো সর্বাজ্ঞে। সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছে মিলন। মিলন ওই সুযোগে দীর্ঘদিন যাবৎ রাত বিরাত নেই যেকোনো সময় অনায়াসে বুলবুলির মা, খালা এবং বুলবুলিকে সিঙ্গার মেশিনের কাজ শিখিয়ে দিয়ে আসতো। মাঝে মাঝে বুলবুলিকেও।

যেহেতু মিলন এবং বুলবুলি একই কলেজে একই ক্লাশে পড়াশুনা করতো, সেজন্য আরো বেশি অন্তরঙ্গতা।

এর আগে বুলবুলি সতীহাট জি এস বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি পাস করে সতীহাট কলেজে এইচএসসিতে ভর্তি হয়। সে সময় মিলন ওই সতীহাট কেটি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজেই পড়াশুনা করতো।

মেয়ে বড় হওয়ায় এবং প্রেমের বিষয়টি জানাজানি হলে বাধ্য হয়ে মেয়েকে নওগাঁর নিয়ামতপুর এলাকায় বিয়ের কথোপকথন করতে লাগে বুলবুলির নানা এবং খালুরা।

পরবর্তীতে বুলবুলি প্রেমিক মিলনের সাথে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাবার পর নিজেরা বিয়ে করে। কিন্তু বিয়ে রেজিষ্ট্রি না হওয়ায় অনেক দিন পর বুলবুলিকে নিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরে আ্সে মিলন। এই খবর পেয়ে বুলবুলির মা আনোসহ আরো অনেকে বুলবুলিকে মিলনের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে আসতে উদ্যত হয়।

মিলনের বাবা এলাকায় পিচ্চি গাঁইটকাটা বা পকেটমার হিসেবে পরিচিত। এটা মিলনের প্রেমের জন্য বড় বাধা।

মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, বুলবুলি উধাও হওয়ার ঘটনায় তার নানা থানায় একটি জিডি করেন। আত্মহত্যার চেষ্টার সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি। #

আপলোডকারীর তথ্য

মান্দার মিলন-বুলবুলির প্রেম কাহিনী : ধনীর দুলালী আর গরীব দর্জি : প্রেমিকের আত্মহত্যার চেষ্টায় জ্ঞান হারালো প্রেমিকা !

প্রকাশের সময় : ০৬:৪০:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, মাহবুবুজ্জামান সেতু, মান্দা (নওগাঁ), ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ :

নওগাঁর মান্দায় সালিশ বৈঠকে সাগির আহমেদ মিলন (২০) নামে এক প্রেমিক ব্লেড দিয়ে গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে।
মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার বিকেল সাড়ে ৩ টায় উপজেলার গণেশপুর ইউনিয়নের উত্তর শ্রীরামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

প্রেমিক মিলনের আত্মহত্যা চেষ্টার ঘটনায় প্রেমিকা উম্মে শাহিনুর বুলবুলিও (১৯) জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তাকেও মান্দা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রেমিক মিলন উত্তর শ্রীরামপুর গ্রামের সাদেকুল ইসলামের ছেলে এবং প্রেমিকা বুলবুলি সৈয়দপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের মেয়ে। তারা দুজনেই সতিহাট কেটি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে এবছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।

পরীক্ষার শেষ দিনে কেন্দ্র থেকে গোবিন্দপুর গ্রামের সেকেন্দার আলীর মোটরসাইকেলে চড়ে তারা অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয়।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকার পর গত ১৩ সেপ্টেম্বর তারা বাড়ি ফিরে আসে। এনিয়ে শনিবার বিকেলে গনেশপুর ইউপি সদস্যা স্বপ্না বেগমের বাড়িতে সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

সালিশ চলাকালে প্রেমিকা বুলবুলিকে তার মা বাড়ি নিয়ে যাবার চেষ্টা করেন। এই দেখে প্রেমিক মিলন একটি ব্লেড দিয়ে গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়।

ইউপি সদস্য স্বপ্না বেগম সালিশ বৈঠকের কথা স্বীকার করে বলেন, অনাকাঙ্খিত এ ঘটনায় আমি হতভম্ব হয়ে পড়ি। পরে রক্তাক্ত মিলনকে উদ্ধার করে মান্দা হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। মিলনের রক্তাক্ত অবস্থা দেখে এ সময় প্রেমিকা বুলবুলি অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকেও একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সালিশে এলাকার শতাধিক ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন বলে জানান তিনি।

মিলনের পরিবার সুত্র জানায়, তারা পালিয়ে ঢাকায় অবস্থানকালে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে। দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকার পর তারা বাড়ি ফিরে আসে। এরপর থেকে মেয়ে পরিবারের লোকজন বিভিন্নভাবে তাদের হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল।

উল্লেখ্য, ঘটনাসূত্রে জানা যায় ধনী গরীবের প্রেম কাহিনী। প্রেমিক মিলন একজন গরীব পরিবারের সন্তান। আর বুলবুলির বাবা ছিলেন একজন ইট ভাটার মালিক। নানা প্রাইমারী স্কুলের অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক। হাজী, ধনী, প্রতাবশালী, অনেক টাকা পয়সা ওয়ালা। নানী একজন হেল্থের সরকারী চাকুরীজীবি। খালুরা আর্মি, বিডিয়ার, অনেক সম্পদশালী। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নিকট আত্মীয়।

এসব আ্ত্ম অহংকার মিলন আর বুলবুলির প্রেমের মধ্যে জটিল প্রেমের সম্পর্কে বড় বাঁধা।

বুলবুলি দেখতেও অনেক সুন্দর। একেবারে বিশ্ব সুন্দরী।

সে তুলনায় মিলনের না আছে আভিজাত্য, ঔশ্বর্য্য, ধন, দৌলত। মিলনও দেখতে অসুন্দর তা কিন্তু না। মিলনও যথেষ্ট সুন্দর, কর্মঠ এবং পরিশ্রমী ছেলে।

তাদের প্রেমের সম্পর্ক আজকের নতুন না। কথায় আছে না, প্রেম মানে না বাঁধা। প্রেম কোন জাতী-ধর্ম বা ধনী গরীব বিষয় না।

সবই ঠিক ছিলো। কিন্তু মিলনের ক্ষেত্রেই কিছুটা আলাদা। মিলন বুলবুলিকে যেমনটা লাভ করতো, বুলবুলিও মিলনকে তেমনটাই লাভ করতো। এই প্রেমের জোশ ছিলো আলাদা ক্যাটাগরির। কেননা, মিলন লেখাপড়ার পাশাপাশি পেশায় ছিলো একজন সেলাই মেশিনে কাজ করার কারিগর। সেইসাথে সে ঘর ওয়্যারিংয়ের কাজ করতে পারতো। সে অধিকাংশ সময় অন্যের বাড়িতে এসব কাজ করতো। মাঝে মাঝে সে ফুটবলও খেলতো। আবার শর্ট ফিল্মে অভিনয় করতো।

মিলনের এসব প্রতিভায় পাগল ছিলো বুলবুলি। বুলবুলির বাবা তারে অনেক ছোট রেখে মারা যাওয়ায় এবং মা অন্য ছেলের সাথে পরকিয়া প্রেমে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করার কেলেংকারীতে নানার বাড়িতে বসবাস করাবস্থায় নিজেকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হওয়ায় পিতা মাতার অবর্তমানে বেপোরোয়া হয়ে ওঠে বুলবুলি।

বুলবুলির বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে ওর মা আনোয়ারা এবং ছোট বোন শম্পাসহ নানা আহাম্মাদ মাষ্টারের বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করতো।

প্রাইমারিতে লেখাপড়া করাবস্থায় তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু তাদের প্রেম কাহিনী কখনোই স্বীকার করতো না বুলবুলির পরিবারের লোকজন। নাতনী সুন্দরী হওয়ায় নাতনীকে নিয়ে খুব গর্ব করতেন বুলবুলির নানা, নানী, খালা, খালু ও অন্যান্য আত্মীয় স্বজন। তারা সব সময় দাবী করতেন যে, না, আমাদের নাতনী এমন কাজ করতে পারেই না। কিন্ত প্রেমের সম্পর্কতো আর একদিনে হয় না।

বুলবুলির মা ই মূলত মেয়ের সাথে প্রেম করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়। বুলবুলির নানার বাড়িতে অবাধে যাওয়া আসা করতো মিলন। নিজের ছেলের মতো মনে করতো মিলনকে।

মিলন একটু কাজ কাম পারতো সেজন্য মিলনের কদর ছিলো সর্বাজ্ঞে। সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছে মিলন। মিলন ওই সুযোগে দীর্ঘদিন যাবৎ রাত বিরাত নেই যেকোনো সময় অনায়াসে বুলবুলির মা, খালা এবং বুলবুলিকে সিঙ্গার মেশিনের কাজ শিখিয়ে দিয়ে আসতো। মাঝে মাঝে বুলবুলিকেও।

যেহেতু মিলন এবং বুলবুলি একই কলেজে একই ক্লাশে পড়াশুনা করতো, সেজন্য আরো বেশি অন্তরঙ্গতা।

এর আগে বুলবুলি সতীহাট জি এস বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি পাস করে সতীহাট কলেজে এইচএসসিতে ভর্তি হয়। সে সময় মিলন ওই সতীহাট কেটি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজেই পড়াশুনা করতো।

মেয়ে বড় হওয়ায় এবং প্রেমের বিষয়টি জানাজানি হলে বাধ্য হয়ে মেয়েকে নওগাঁর নিয়ামতপুর এলাকায় বিয়ের কথোপকথন করতে লাগে বুলবুলির নানা এবং খালুরা।

পরবর্তীতে বুলবুলি প্রেমিক মিলনের সাথে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাবার পর নিজেরা বিয়ে করে। কিন্তু বিয়ে রেজিষ্ট্রি না হওয়ায় অনেক দিন পর বুলবুলিকে নিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরে আ্সে মিলন। এই খবর পেয়ে বুলবুলির মা আনোসহ আরো অনেকে বুলবুলিকে মিলনের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে আসতে উদ্যত হয়।

মিলনের বাবা এলাকায় পিচ্চি গাঁইটকাটা বা পকেটমার হিসেবে পরিচিত। এটা মিলনের প্রেমের জন্য বড় বাধা।

মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, বুলবুলি উধাও হওয়ার ঘটনায় তার নানা থানায় একটি জিডি করেন। আত্মহত্যার চেষ্টার সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি। #