নওগাঁ ০৫:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

সাপাহারের ঐতিহ্যবাহী জবই বিল এখন অতিথি পাখির কলতানে মুখর

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, বাবুল আকতার, সাপাহার (নওগাঁ), ১৪ জানুয়ারী ২০২০ :

নওগাঁর সাপাহার উপজেলার ঐতিহ্যবাহী জবই বিল এখন পরিযায়ী অতিথি পাখির কলতানে মুখর। সুদূর রশিয়া, সাইবেরিয়া সহ বিশ্বের শীত প্রধান দেশ হতে শত শত পাখি বিলে এসে পাখি সৌন্দেয্যের বিকাশ ঘটাচ্ছে।

অতি প্রত্যুষে সরেজমিনে বিল এলাকায় গিয়ে এ দৃশ্য দেখা গেছে, বিদেশ হতে আগত পিয়াং হাঁস, পাতি সরালি, লেঙজা হাঁস, বালি হাঁস, পাতি কূট সহ দেশী জাতের শামুকখোল, পানকৌড়ী, ছন্নি হাঁস বিল এলাকা মুখরিত করে তুলছে।

অতিতে এক শ্রেণীর ব্যক্তি অবাধে বিল হতে এসব অতিথি পাখি শিকার করে হাটবাজারে বিক্রি করত। এমনকি গত বছরও এলাকার কতিপয় ব্যক্তি এ বিল হতে বেশ কিছু পাতি সরালি হাঁস ফাঁদ পেতে ধরে বিক্রিয় করার সময় জবই বিল জীববৈচিত্র সংরক্ষন ও সমাজ কল্যাণ সংস্থার সদস্যরা তাদের হাতে নাতে ধরে ফেলেন। পরে ওই পাখি শিকারীদের উপজেলা নির্বাহী অফিসার কল্যাণ চৌধুরীরর নিকট নিয়ে এলে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাদের শাস্তি প্রদান করেন।

এর পর হতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের তত্ত্ববাধান ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কমিটির সদস্যদের জোরালো নজর দারিতে বিল এলাকায় যে কোন ধরনের পাখি শিকার বন্ধ রয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে বর্তমানে দেশ বিদেশ হতে হরেক রকম পাখির আগমনে পুরো বিল এলাকা এখন পাখির কলতানে মুখরিত হয়ে উঠছে।

বিলে অতিতের মত কচুরিপানা না থাকায় ধিরে ধিরে এক সময় বিলে পাখি আসাই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বেশ কয়েক বছর ধরে ওই এলাকার কিছু উৎযোগী যুবক জবই বিল জীববৈচিত্র সংরক্ষন ও সমাজ কল্যাণ সংস্থা নামে একটি সংগঠন তৈরী করে বিলে অতিথি পাখি সহ সব ধরনের পাখি শিকার বন্ধ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

এছাড়া বিলে কোন কচুরিপানা না থাকলেও সরকারী ও বে-সরকারী ভাবে মৎস্যজীবিরা খরা মৌসুমে বিলের পানি শুকিয়ে গেলে মা মাছগুলি রক্ষায় বিলের মধ্যে বেশ কিছু এলাকায় বাঁশ কাঠ ও কিছু কচুরিপানা দিয়ে কাঠা নামের একটি করে মাছের অভয়াশ্রম গড়ে তোলেন। খরা মৌসুমে মা মাছগুলি যাতে ওই স্থানে লুকিয়ে থাকতে পারে। বর্তমানে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কমিটির সদস্যদের প্রচেষ্টায় ও মৎসজীবিদের তৈরী করা কচুরিপানার কাঠা থাকায় অতিতের মত আবারো আস্তে আস্তে শীত মৌসুমে দেশি বিদেশী পাখিরা অবাধে বিলে আসতে শুরু করেছে।

ভবিষ্যতে বিলের বিশাল অংশে কচুরিপানা দিয়ে মাছ সহ পাখিদের বড় ধরণের অভয়াশ্রম এবং বিলের বিভিন্ন দ্বিপগুলিতে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগিয়ে বনাঞ্চল তৈরী করলে সারা বছর বিল এলাকায় পাখিদের আনাগোনায় জবই বিল আবারো ফিরে পেত তার ঐতিহ্য ও নাব্যতা বলে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান জানিয়েছেন।

ইতোমধ্যে অনেক পাখি প্রেমিক পাখির সৌন্দয্য দেখতে বিল এলাকায় এসে বিড় জমাচ্ছেন। বিল পাড়ে পর্যাটকদের জন্য ঘোরা ফেরা ও বসার পর্যাপ্ত ব্যাস্থা নেয়া হলে ভবিষ্যতে সাপাহারের জবই বিলটি একটি পর্যটন কেন্দ্রে রুপ নিতে পারে।

নওগাঁ-১ (নিয়ামতপুর-পোরশা-সাপাহার) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার সাপাহার উপজেলার জবই বিলটিকে একটি ঐতিহ্যবাহী পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে পদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন। #

আপলোডকারীর তথ্য

সাপাহারের ঐতিহ্যবাহী জবই বিল এখন অতিথি পাখির কলতানে মুখর

প্রকাশের সময় : ০৩:৩৫:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২০
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, বাবুল আকতার, সাপাহার (নওগাঁ), ১৪ জানুয়ারী ২০২০ :

নওগাঁর সাপাহার উপজেলার ঐতিহ্যবাহী জবই বিল এখন পরিযায়ী অতিথি পাখির কলতানে মুখর। সুদূর রশিয়া, সাইবেরিয়া সহ বিশ্বের শীত প্রধান দেশ হতে শত শত পাখি বিলে এসে পাখি সৌন্দেয্যের বিকাশ ঘটাচ্ছে।

অতি প্রত্যুষে সরেজমিনে বিল এলাকায় গিয়ে এ দৃশ্য দেখা গেছে, বিদেশ হতে আগত পিয়াং হাঁস, পাতি সরালি, লেঙজা হাঁস, বালি হাঁস, পাতি কূট সহ দেশী জাতের শামুকখোল, পানকৌড়ী, ছন্নি হাঁস বিল এলাকা মুখরিত করে তুলছে।

অতিতে এক শ্রেণীর ব্যক্তি অবাধে বিল হতে এসব অতিথি পাখি শিকার করে হাটবাজারে বিক্রি করত। এমনকি গত বছরও এলাকার কতিপয় ব্যক্তি এ বিল হতে বেশ কিছু পাতি সরালি হাঁস ফাঁদ পেতে ধরে বিক্রিয় করার সময় জবই বিল জীববৈচিত্র সংরক্ষন ও সমাজ কল্যাণ সংস্থার সদস্যরা তাদের হাতে নাতে ধরে ফেলেন। পরে ওই পাখি শিকারীদের উপজেলা নির্বাহী অফিসার কল্যাণ চৌধুরীরর নিকট নিয়ে এলে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাদের শাস্তি প্রদান করেন।

এর পর হতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের তত্ত্ববাধান ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কমিটির সদস্যদের জোরালো নজর দারিতে বিল এলাকায় যে কোন ধরনের পাখি শিকার বন্ধ রয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে বর্তমানে দেশ বিদেশ হতে হরেক রকম পাখির আগমনে পুরো বিল এলাকা এখন পাখির কলতানে মুখরিত হয়ে উঠছে।

বিলে অতিতের মত কচুরিপানা না থাকায় ধিরে ধিরে এক সময় বিলে পাখি আসাই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বেশ কয়েক বছর ধরে ওই এলাকার কিছু উৎযোগী যুবক জবই বিল জীববৈচিত্র সংরক্ষন ও সমাজ কল্যাণ সংস্থা নামে একটি সংগঠন তৈরী করে বিলে অতিথি পাখি সহ সব ধরনের পাখি শিকার বন্ধ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

এছাড়া বিলে কোন কচুরিপানা না থাকলেও সরকারী ও বে-সরকারী ভাবে মৎস্যজীবিরা খরা মৌসুমে বিলের পানি শুকিয়ে গেলে মা মাছগুলি রক্ষায় বিলের মধ্যে বেশ কিছু এলাকায় বাঁশ কাঠ ও কিছু কচুরিপানা দিয়ে কাঠা নামের একটি করে মাছের অভয়াশ্রম গড়ে তোলেন। খরা মৌসুমে মা মাছগুলি যাতে ওই স্থানে লুকিয়ে থাকতে পারে। বর্তমানে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কমিটির সদস্যদের প্রচেষ্টায় ও মৎসজীবিদের তৈরী করা কচুরিপানার কাঠা থাকায় অতিতের মত আবারো আস্তে আস্তে শীত মৌসুমে দেশি বিদেশী পাখিরা অবাধে বিলে আসতে শুরু করেছে।

ভবিষ্যতে বিলের বিশাল অংশে কচুরিপানা দিয়ে মাছ সহ পাখিদের বড় ধরণের অভয়াশ্রম এবং বিলের বিভিন্ন দ্বিপগুলিতে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগিয়ে বনাঞ্চল তৈরী করলে সারা বছর বিল এলাকায় পাখিদের আনাগোনায় জবই বিল আবারো ফিরে পেত তার ঐতিহ্য ও নাব্যতা বলে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান জানিয়েছেন।

ইতোমধ্যে অনেক পাখি প্রেমিক পাখির সৌন্দয্য দেখতে বিল এলাকায় এসে বিড় জমাচ্ছেন। বিল পাড়ে পর্যাটকদের জন্য ঘোরা ফেরা ও বসার পর্যাপ্ত ব্যাস্থা নেয়া হলে ভবিষ্যতে সাপাহারের জবই বিলটি একটি পর্যটন কেন্দ্রে রুপ নিতে পারে।

নওগাঁ-১ (নিয়ামতপুর-পোরশা-সাপাহার) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার সাপাহার উপজেলার জবই বিলটিকে একটি ঐতিহ্যবাহী পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে পদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন। #