মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ১৬ জানুয়ারী ২০২১ :
মোটামুটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শনিবার (১৬ জানুয়ারী) নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌরসভার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সরকারদলীয় প্রার্থী বলছেন ভোট শান্তিপূর্ণ হচ্ছে। অপরদিকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী বলছেন ভোট সুষ্ঠু হচ্ছেনা। তবে দুপুর পর্যন্ত তেমন কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
সকাল ৮ টায় ৯টি ওয়ার্ডের ৯টি ভোটকেন্দ্রের ৪৮টি বুথে ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। হাড়কাঁপানো শীত উপেক্ষা করে ভোটাররা আসতে শুরু করেন ভোটকেন্দ্রে।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, নজিপুর পৌরসভা নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১৬ হাজার ৯৯৭ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ২১৫ জন ও নারী ভোটার ৮ হাজার ৭৮২ জন। মেয়র পদে দুইজন, কাউন্সিলর পদে ৩৫ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নজিপুর পৌরসভা নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও পত্নীতলা উপজেলা নির্বাচন অফিসার জাহিদুর রহমান বলেন, ‘ভোট সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচনের মাঠে নির্বাহী ম্যাজিট্রেট, র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি’।
জেলায় পৌর নির্বাচনে ভোটাররা এই প্রথম ইভিএমে ভোট প্রদান করছেন। ভোট গ্রহণে সময় লাগছে বেশি। ছবি ও ফিঙ্গার প্রিন্টে সময়ক্ষেপণ হচ্ছে। ভোট প্রদানে ভোটাররা কিছু সমস্যার কথা বললেও স্বাচ্ছন্দ বোধ করেছেন বলে জানিয়েছেন।
চক জয়রাম মহল্লার ভোটার পারুল বানু বলেন, ‘আমরা আগে কাগজে সিল মেরে ভোট দিতাম। কাগজে দেখেশুনে পছন্দমতো সিল মেরে দিতাম। তেমন সমস্যা হতো না। জীবনের প্রথম মেশিনের বাটন টিপে ভোট দিতে সমস্যায় পড়েছি। কিভাবে বাটন টিপবো স্যাররা শিখিয়ে দিয়েছেন। মেশিনের বিষয়ে আমাদের অভিজ্ঞতা না থাকায় অনেক সময় লেগে যাচ্ছে। আমাদের আগে প্রশিক্ষণ দিলে ভালো হতো’।
নির্বাচনে ৬ নম্বর সেন্টার হরিরামপুর গিয়াস উদ্দিন মেমোরিয়াল বহুভাষী সাঁটলিপি প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমীতে স্থাপিত বুথের ২ নং কক্ষে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় ভোটাররা ভোগান্তিতে পড়েন। সকালে সেখানে মোমবাতি জ¦ালিয়ে ভোটগ্রহণ শুরু করা হয়।
ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার শাহিনুর রহমান জানান, তার সেন্টারে ৭টি বুথে মোট ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ৩৭৬ জন। ওই কক্ষে প্রথম দিকে আলোর ব্যবস্থা না থাকায় মোমবাতির আলোয় ভোট নেয়া হয়। পরে সকাল ১০টার দিকে বিদ্যুতের আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ভোট সুষ্ঠু হচ্ছে না। ভোটের কোনো পরিবেশ নাই। কেন্দ্রে আমার এজেন্টদের প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। যে কয়জন প্রবেশ করেছিল তাদের বের করে দেয়া হয়েছে। সরকারী দলের প্রার্থীকে জেতানোর নীল নক্সা বাস্তবায়নের জন্য সরকারী দল নিজেরাই তাদের ক্যাম্পে আগুন দিয়ে আমার নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার করেছে।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রেজাউল কবির চৌধুরী বলেন, ‘বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হব ইনশআল্লাহ। ভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হচ্ছে। কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর অবস্থা দেখা যায়নি। কেন্দ্রে বিএনপি প্রার্থীর এজেন্ট প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না বলে যে অভিযোগ তা ভিত্তিহীন’।#