মহাদেবপুর দর্পণ, কাজী রওশন জাহান, নওগাঁ, ৪ অক্টোবর ২০২০ :
শনিবার দিবাগত রাতে নওগাঁর পত্নীতলায় আগাছা নাশক প্রয়োগ করে কৃষকের ২.২২ বিঘা জমির আমন ধান পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার খিরসীন গ্রামে। এ ঘটনায় জমির মালিক সামসুল হুদা চৌধুরী বাদী হয়ে সহিদ হাসান চৌধুরী লেলিন নামে এক ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সরেজমিনে খিরসীন গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, আগাছা নাশক প্রয়োগের ফলে মাঠের ধান পুড়ে গেছে। ধানের গাছগুলো নীলাভ বর্ণ ধারণ করেছে। এ বিষয়ে জমির মালিক সামছুল হুদা চৌধুরীর সাথে কথা বললে তিনি জানান, জমি জমা নিয়ে একই গ্রামের সাহিদ হাসান চৌধুরী লেলিলের সাথে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এর পূর্বেও সাহিদ তাঁর ১.৪৪ একর জমির ধান আগাছা নাশক প্রয়োগ করে পুড়িয়ে দেয়। তখনও থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল।
ক্ষতি হওয়া ২.২২ একর জমি তিনি এলাকার দরিদ্র মানুষকে বর্গা দিয়ে রেখেছিলেন। রোববার সকালে আদিয়াররা তাকে জানান, রাতে কে বা কাহারা জমিতে আগাছা নাশক প্রয়োগ করে ধান পুড়িয়ে দিয়েছে। গ্রামবাসীদের কাছে খবর পেয়ে তিনি মাঠে ছুটে গিয়ে হতভম্ব হয়ে পড়েন। সাহিদ হাসান চৌধুরীর সাথে উল্লিখিত জমিজমা নিয়ে বিরোধ থাকায় তিনিই রাঁতের আঁধারে ধানে আগাছানাশক প্রয়োগ করে ধান পুড়িয়ে দিতে পারেন বলে তিনি আশঙ্কা করেছেন।
এ বিষয়ে খিরসীন গ্রামের নুরুন নবী, রাশেদুল ইসলামসহ আরো কয়েক জনের সাথে কথা বললে তাঁরা জানান, সামছুল হুদা চৌধুরী কাছ থেকে বর্গা নিয়ে ওই জমি তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদ করে আসছেন। পুড়ে যাওয়া জমিতে এ বছরও তাঁরা ধান লাগিয়েছিলেন। কিন্তু দুর্বৃত্ত কর্তৃক ধান পুড়িয়ে দেওয়ায় তাদের চরম লোকসানের মধ্যে পড়তে হবে। জমি নিয়ে সাহিদ হাসান চৌধুরীর সাথে বিরোধ থাকায় তিনিই বিষ প্রয়োগে ধান নষ্ট করতে পারেন বলে তাঁরা মন্তব্য করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাহিদ হাসান চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয়। সামসুল হুদা নিজেই বিষ দিয়ে ঘটনায় আমাকে ফাঁসাতে চাচ্ছে। এ বিষয়ে পত্নীতলা থানা কর্মকর্তা ইনচার্জ পরিমল চক্রবর্তীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#