নওগাঁ ০২:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

আজকের সম্পাদকীয় : এত মানবিক হবেন না

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ,এম,সাঈদ টিটো, ১৫ জুন ২০২০ :

২৪, ১৩, ২২। গত ৩ দিনের হিসাব এটি। শুক্র, শনি, রবি এই তিন দিনে নওগাঁয় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৯ জন। আর আগের দুসপ্তাহে ৯৮ জন। এনিয়ে গত ১৭ দিনে আক্রান্ত হলেন ১৫৭ জন। কিন্তু শুরু থেকে গত ১০০ দিনে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২২০ জন। অর্থাৎ আগের ৮৩ দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৩ জন।

এই হিসাবটা নওগাঁ জেলা সিভিল সার্জন অফিসের দেয়া। এটা জানার পরও আমাদের কি উদ্বিগ্ন না হয়ে উপায় আছে? এই স্ট্যাটিস্টিকটা কি প্রমাণ করে? আমরা কি ভালো আছি? না, আমরা ভালো নাই। একটুও না। কিন্তু ভাল থাকতে চাই, অবশ্যই চাই, সব্বাই। এনিয়ে ভাবতে হবে, এক্ষুনি। এ অবস্থা চলতে দেয়া যায়না।

যখন লকডাউন ছিল, তখনও ফজরের নামাজের পরপরই দোকানপাট খুলতো। হাটের মত মানুষের ভীড় হতো। তবে ১০ টার মধ্যেই মোটামুটি কমে যেত আনাগোনা। এরমধ্যে পুলিশের গাড়ীর বা মোটরসাইকেলের সাইরেনের আওয়াজ পেলেই তড়িঘড়ি করে দোকান বন্ধ করার প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যেত। দোকান ঘরের সাটার গেট বন্ধ করে ভীতরেই চলতো বেচাকেনা। বাইরে যারা ছাড়া পড়তেন, নির্ঘাত লাঠিচার্জের শিকার হয়েছেন তারা। পুলিশের লাঠিচার্জে অনেকের হাত, পা ফুলে গেছে, জখম হয়েছে, আবার ভেঙ্গেও গেছে কারও কারও। কিন্তু এরজন্য প্রতিবাদ নেই কারও। বরং কোনদিন পুলিশ আসতে দেরী করলেই যেন উদ্বিগ্ন থাকতেন সকলে। সকলেই তখন মনে মনে বলতেন কি ব্যাপার আজ এখনও আসে না কেন।

শনিবার মহাদেবপুর উপজেলা সদরের গরু হাটের একটি ছবি ছেপেছেন মহাদেবপুর প্রেসকাবের সভাপতি গৌতম কুমার মহন্ত। হাটে বেশীরভাগ মানুষের মুখেই মাস্ক নেই। দু’এক জনের মুখে তা থাকলেও নীচে নামানো।

পুলিশ কাউকে প্যাঁদালে লোকে বলে অমানবিক। কিন্তু এই করোনার ক্রান্তিকালে তারা সকল সমালোচনার উর্ধে উঠে গেছেন। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ডিউটি করেছেন, আক্রান্তদের হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে সেবা করেছেন, মৃতদের দাফন, কাফন, জানাযা করেছেন, বেতনের টাকা দান করেছেন, কর্মহীনদের মধ্যে খাবার পৌঁছে দিয়েছেন। ফলে নিজেরাও আক্রান্ত হয়েছেন। শহীদ হয়েছেন। আর কি চাই? সারাদেশের পুলিশকে তাই আজ বলা হয় মানবিক পুলিশ।

কিন্তু আমাদের সাবমিশন হলো, এতটা মানবিক হবেন না। এবার থামুন। থামান। ভ্রাম্যমাণ আদাালতে জরিমানা করে ওদের গায়ে লাগেনা। আজ এটাই সত্য হয়েছে যে, মানুষ করোনকে ভয় করে না, ভয় করে পুলিশের পিটুনীকে।
মানুষ যাতে অন্তত: মাস্কটা ঠিকঠাকভাবে ব্যবহার করে সে ব্যবস্থা করা কি যাবেই না?

রবিবার নওগাঁর জেলা প্রশাসক হারুন-অর-রশীদ বলেছেন,“নওগাঁ জেলায় নতুন করে কোনো এলাকা লকডাউন ঘোষণা করা হবে কি না, এ ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চলতি মাসের ১৪ দিনে জেলার কোন এলাকায় কত জন আক্রান্ত হয়েছেন, এসব তথ্য বিশ্লেষণের কাজ চলছে। তথ্য বিশ্লেষণের পর প্রয়োজন হলে কোনো এলাকা লকডাউন করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠানো হবে।”

কিন্তু সব এলাকাতে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে কোন অসুবিধা আছে কি? এই একটি ব্যাপারে কেন কঠিন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না? এই প্রশ্নটি আজ সচেতন সবার। #

আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সম্পাদকীয় : এত মানবিক হবেন না

প্রকাশের সময় : ০৯:২৯:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুন ২০২০
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ,এম,সাঈদ টিটো, ১৫ জুন ২০২০ :

২৪, ১৩, ২২। গত ৩ দিনের হিসাব এটি। শুক্র, শনি, রবি এই তিন দিনে নওগাঁয় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৯ জন। আর আগের দুসপ্তাহে ৯৮ জন। এনিয়ে গত ১৭ দিনে আক্রান্ত হলেন ১৫৭ জন। কিন্তু শুরু থেকে গত ১০০ দিনে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২২০ জন। অর্থাৎ আগের ৮৩ দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৩ জন।

এই হিসাবটা নওগাঁ জেলা সিভিল সার্জন অফিসের দেয়া। এটা জানার পরও আমাদের কি উদ্বিগ্ন না হয়ে উপায় আছে? এই স্ট্যাটিস্টিকটা কি প্রমাণ করে? আমরা কি ভালো আছি? না, আমরা ভালো নাই। একটুও না। কিন্তু ভাল থাকতে চাই, অবশ্যই চাই, সব্বাই। এনিয়ে ভাবতে হবে, এক্ষুনি। এ অবস্থা চলতে দেয়া যায়না।

যখন লকডাউন ছিল, তখনও ফজরের নামাজের পরপরই দোকানপাট খুলতো। হাটের মত মানুষের ভীড় হতো। তবে ১০ টার মধ্যেই মোটামুটি কমে যেত আনাগোনা। এরমধ্যে পুলিশের গাড়ীর বা মোটরসাইকেলের সাইরেনের আওয়াজ পেলেই তড়িঘড়ি করে দোকান বন্ধ করার প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যেত। দোকান ঘরের সাটার গেট বন্ধ করে ভীতরেই চলতো বেচাকেনা। বাইরে যারা ছাড়া পড়তেন, নির্ঘাত লাঠিচার্জের শিকার হয়েছেন তারা। পুলিশের লাঠিচার্জে অনেকের হাত, পা ফুলে গেছে, জখম হয়েছে, আবার ভেঙ্গেও গেছে কারও কারও। কিন্তু এরজন্য প্রতিবাদ নেই কারও। বরং কোনদিন পুলিশ আসতে দেরী করলেই যেন উদ্বিগ্ন থাকতেন সকলে। সকলেই তখন মনে মনে বলতেন কি ব্যাপার আজ এখনও আসে না কেন।

শনিবার মহাদেবপুর উপজেলা সদরের গরু হাটের একটি ছবি ছেপেছেন মহাদেবপুর প্রেসকাবের সভাপতি গৌতম কুমার মহন্ত। হাটে বেশীরভাগ মানুষের মুখেই মাস্ক নেই। দু’এক জনের মুখে তা থাকলেও নীচে নামানো।

পুলিশ কাউকে প্যাঁদালে লোকে বলে অমানবিক। কিন্তু এই করোনার ক্রান্তিকালে তারা সকল সমালোচনার উর্ধে উঠে গেছেন। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ডিউটি করেছেন, আক্রান্তদের হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে সেবা করেছেন, মৃতদের দাফন, কাফন, জানাযা করেছেন, বেতনের টাকা দান করেছেন, কর্মহীনদের মধ্যে খাবার পৌঁছে দিয়েছেন। ফলে নিজেরাও আক্রান্ত হয়েছেন। শহীদ হয়েছেন। আর কি চাই? সারাদেশের পুলিশকে তাই আজ বলা হয় মানবিক পুলিশ।

কিন্তু আমাদের সাবমিশন হলো, এতটা মানবিক হবেন না। এবার থামুন। থামান। ভ্রাম্যমাণ আদাালতে জরিমানা করে ওদের গায়ে লাগেনা। আজ এটাই সত্য হয়েছে যে, মানুষ করোনকে ভয় করে না, ভয় করে পুলিশের পিটুনীকে।
মানুষ যাতে অন্তত: মাস্কটা ঠিকঠাকভাবে ব্যবহার করে সে ব্যবস্থা করা কি যাবেই না?

রবিবার নওগাঁর জেলা প্রশাসক হারুন-অর-রশীদ বলেছেন,“নওগাঁ জেলায় নতুন করে কোনো এলাকা লকডাউন ঘোষণা করা হবে কি না, এ ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চলতি মাসের ১৪ দিনে জেলার কোন এলাকায় কত জন আক্রান্ত হয়েছেন, এসব তথ্য বিশ্লেষণের কাজ চলছে। তথ্য বিশ্লেষণের পর প্রয়োজন হলে কোনো এলাকা লকডাউন করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠানো হবে।”

কিন্তু সব এলাকাতে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে কোন অসুবিধা আছে কি? এই একটি ব্যাপারে কেন কঠিন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না? এই প্রশ্নটি আজ সচেতন সবার। #