নওগাঁ ১১:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

আজকের সম্পাদকীয় : প্রসঙ্গ শহীদ মিনারের সম্মান রক্ষা<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, মহাদেবপুর (নওগাঁ), ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ :

অমর একুশে পালনের পর ২২ ফেব্রুয়ারি একুশ পালনের খবরে দৈনিক প্রথম আলো শিরোনাম করেছে ‘‘শোক, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ ভাষাশহীদদের’’, দৈনিক ইত্তেফাক শিরোনাম করেছে ‘‘শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধার ফুল’’, আর দৈনিক মানবজমিনের শিরোনাম ‘‘বিনম্র শ্রদ্ধায় ভাষা শহীদদের স্মরণ’’। রাজধানীর সেগুন বাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘আমরা রক্ত দিয়ে মা ডাকার অধিকার পেয়েছি।’’

দেশের সব কাগজের শিরোনামও একই রকম। এরকমই হবার কথা। কারণ এদিনটা পূর্ণ ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ। মহান ভাষাশহীদদের স্মরণ, স্মৃতিচারণ আর তাদের প্রতিবাদের অভিষ্ট লক্ষে পৌঁছার কথাটা মনে করার মধ্য দিয়ে তাদের আত্মত্যাগের মহিমা প্রচার, ফুল দিয়ে ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা প্রকাশ ও নতজানুর মত বিনম্র শ্রদ্ধা জানানোর দিন। তাইই হয়ে আসছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা পাবার পর আমরা কিছুটা আনন্দ করার সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু কোনক্রমেই সে আনন্দ মহান শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর পরিবেশ বিনষ্ট করে স্রেফ বিনোদনের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সমুচিন হবেনা।

আমি শ্রদ্ধা জানাই মহাদেবপুর দর্পণের অগনিত সচেতন পাঠক পাঠিকাকে। তারা যে সব কিছুতে এতো সচেতন তা নিয়ে আমরা রীতিমত গর্ব করতে পারি। শহীদ বেদীতে বিনোদন নিয়ে তারা এতো মন্তব্য করেছেন যে, এব্যাপারে সম্পাদকীয় না লিখে পারলাম না।

একুশের গান আর দেশের গানের সাথে ছোটদের নাচ হলে মনে হয় কেউ তেমন কথা বলতেন না। কেননা, ভাই হারানো বোনের আর্তনাদ, সোঁদা মাটিতে সাদা শাড়ির আঁচল ফেলে পাগলের মত দৌড়ানো, রেল লাইনের ধারে মেঠো পথটার পাশে দাঁড়িয়ে এক বৃদ্ধা রমনীর পথ চেয়ে থাকা, ধান কাউনের ক্ষেতে উতাল হাওয়ার দোলা, হেঁই হেঁইয়া টানে বেহারার পালকি বওয়া, অথবা হাইদরি হাঁকে নৌকা চলার নৃত্য দেখালে কেউই কখনো কথা তুলবেনা। স্কুলের ছেলেমেয়েদের নৃত্যের তালে তালে বাতাসে জাতীয় পতাকা উড়ানো, বন্ধুক নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যাবার নৃত্য অথবা শহীদ মিনার তৈরি কোনটা নিয়ে কথা উঠতোনা।

বিশ্ব কবি, আমাদের জাতীয় কবির মরমি গানগুলোর চর্চা আমরা প্রায় ছেড়েই দিয়েছি। অথচ তাদের গানই আমাদের জাতীয় সঙ্গীত, আমাদের রণসঙ্গীত। মহান শহীদ দিবসে তাদের গান গাওয়া হয়না। এদিন আমরা অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সাজিয়ে সব ফাস্ট গান পরিবেশন করছি। হারিয়ে ফেলছি বিনম্রতা, শ্রদ্ধা, ভাবগাম্ভীর্য। আগামী প্রজন্ম এ থেকে কি শিখবে??????????????

——কিউ, এম, সাঈদ টিটো, ২৪/২/২০২৩

আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সম্পাদকীয় : প্রসঙ্গ শহীদ মিনারের সম্মান রক্ষা<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ০৭:৩১:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, মহাদেবপুর (নওগাঁ), ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ :

অমর একুশে পালনের পর ২২ ফেব্রুয়ারি একুশ পালনের খবরে দৈনিক প্রথম আলো শিরোনাম করেছে ‘‘শোক, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ ভাষাশহীদদের’’, দৈনিক ইত্তেফাক শিরোনাম করেছে ‘‘শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধার ফুল’’, আর দৈনিক মানবজমিনের শিরোনাম ‘‘বিনম্র শ্রদ্ধায় ভাষা শহীদদের স্মরণ’’। রাজধানীর সেগুন বাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘আমরা রক্ত দিয়ে মা ডাকার অধিকার পেয়েছি।’’

দেশের সব কাগজের শিরোনামও একই রকম। এরকমই হবার কথা। কারণ এদিনটা পূর্ণ ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ। মহান ভাষাশহীদদের স্মরণ, স্মৃতিচারণ আর তাদের প্রতিবাদের অভিষ্ট লক্ষে পৌঁছার কথাটা মনে করার মধ্য দিয়ে তাদের আত্মত্যাগের মহিমা প্রচার, ফুল দিয়ে ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা প্রকাশ ও নতজানুর মত বিনম্র শ্রদ্ধা জানানোর দিন। তাইই হয়ে আসছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা পাবার পর আমরা কিছুটা আনন্দ করার সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু কোনক্রমেই সে আনন্দ মহান শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর পরিবেশ বিনষ্ট করে স্রেফ বিনোদনের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সমুচিন হবেনা।

আমি শ্রদ্ধা জানাই মহাদেবপুর দর্পণের অগনিত সচেতন পাঠক পাঠিকাকে। তারা যে সব কিছুতে এতো সচেতন তা নিয়ে আমরা রীতিমত গর্ব করতে পারি। শহীদ বেদীতে বিনোদন নিয়ে তারা এতো মন্তব্য করেছেন যে, এব্যাপারে সম্পাদকীয় না লিখে পারলাম না।

একুশের গান আর দেশের গানের সাথে ছোটদের নাচ হলে মনে হয় কেউ তেমন কথা বলতেন না। কেননা, ভাই হারানো বোনের আর্তনাদ, সোঁদা মাটিতে সাদা শাড়ির আঁচল ফেলে পাগলের মত দৌড়ানো, রেল লাইনের ধারে মেঠো পথটার পাশে দাঁড়িয়ে এক বৃদ্ধা রমনীর পথ চেয়ে থাকা, ধান কাউনের ক্ষেতে উতাল হাওয়ার দোলা, হেঁই হেঁইয়া টানে বেহারার পালকি বওয়া, অথবা হাইদরি হাঁকে নৌকা চলার নৃত্য দেখালে কেউই কখনো কথা তুলবেনা। স্কুলের ছেলেমেয়েদের নৃত্যের তালে তালে বাতাসে জাতীয় পতাকা উড়ানো, বন্ধুক নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যাবার নৃত্য অথবা শহীদ মিনার তৈরি কোনটা নিয়ে কথা উঠতোনা।

বিশ্ব কবি, আমাদের জাতীয় কবির মরমি গানগুলোর চর্চা আমরা প্রায় ছেড়েই দিয়েছি। অথচ তাদের গানই আমাদের জাতীয় সঙ্গীত, আমাদের রণসঙ্গীত। মহান শহীদ দিবসে তাদের গান গাওয়া হয়না। এদিন আমরা অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সাজিয়ে সব ফাস্ট গান পরিবেশন করছি। হারিয়ে ফেলছি বিনম্রতা, শ্রদ্ধা, ভাবগাম্ভীর্য। আগামী প্রজন্ম এ থেকে কি শিখবে??????????????

——কিউ, এম, সাঈদ টিটো, ২৪/২/২০২৩