নওগাঁ ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

আজকের সম্পাদকীয় : এ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে আমাদেরই

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ,এম,সাঈদ টিটো, মহাদেবপুর (নওগাঁ), ২৯ জানুয়ারী ২০২০ :

দিনের পর দিন এ অবস্থা চলতে পারেনা যা বেশীরভাগ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। সবাই দেখছি, শুনছি, বুঝছি যে, এটা ঠিক হচ্ছেনা। তারপরও আমরা কেউ কিছু বলছিনা, করছিনা। এটা হয়না। কাউকে না কাউকে তো বলতে হবে। করতে হবে আসল কাজটা।

সঙ্গীত শুধুই বিনোদনের বিষয় হতে পারেনা। সঙ্গীত সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার। সঙ্গীত আমাদের দেশপ্রেমের প্রেরনা। আমার সোনার বাংলা…., এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি…., ও আমার দেশের মাটি…., শোন একটি মুজিবরের থেকে…., কারার ওই লৌহ কপাট…., সব কটা জানালা খুলে দাও না….. এসব কি শুধুই বিনোদন!

প্রতিভা পয়সা দিয়ে কিনতে পাওয়া যায়না। একজন সঙ্গীত শিল্পী দেশের সম্পদ। দেশের প্রতি তাঁর দায় রয়েছে। ইচ্ছে করলেই সঙ্গীত শিল্পীরা দেশের কৃষ্টি, কালচার উপেক্ষা করতে পারেন না। প্রকৃত শিল্পীদেরকেই রক্ষা করতে হবে ঐতিহ্য, ইতিহাস। বিজাতীয় সংস্কৃতির উত্থান রুখবে কারা?

একটি স্বাধীন দেশের মানুষকে পরাধীনতার শিকলে বন্দী করা শুধু রাজনৈতিকভাবেই নয়, বরং সংস্কৃতির মাধ্যমেও করা হয়। রাজনৈতিকভাবে দমানোর জন্য পশ্চিমী বেনীয়ারা আমাদের উপর উর্দু ভাষা চাপিয়ে দিয়ে কন্ঠরোধ করতে চেয়েছিল আমাদেরকে সাংস্কৃতিকভাবে পঙ্গু করার জন্যই। ১৯৭১ এর ১৪ ডিসেম্বর আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যার নীল নক্সাও একই উদ্দেশ্যে করা।

সবাই ভূল করতে পারে। কিন্তু যাদের উপর গড়ার দায়িত্ব তারা ভূল করলে, তার প্রভাব হবে বৃহৎ। যারা জানে, তাদেরটাকে ভূল বলা যাবেনা। বরং সেটা জেনে শুনে করা অন্যায়।

হিন্দী গান কি আমাদের দেশপ্রেমের নমুনা? আপনারা বলছেন এটা বিনোদন। ভাল কথা আপনারা কি তাহলে বিনোদন শেখানোর জন্য এত টাকা খরচ করে এত ঘটা করে এটা করেছেন? এখানে কি তাহলে আমাদের কোমলমতি সঙ্গীত শিক্ষার্থীদেরকে বিনোদনের নামে বিজাতীয় সংস্কৃতি শেখাবেন?

১৯৫২ তে আমার মায়ের ভাষার জন্য প্রাণ দিতে হয়েছে, শহীদ রফিক, জব্বার, সালামদের। রক্ত দিয়ে কেনা বাংলার কথা বেমালুম ভূলে গেলাম! আর কত দেখাবেন?

এর আগে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে দেখেছি একই অবস্থা। ঐতিহ্যবাহী সর্ব মঙ্গলা উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পুর্তি উৎসব পালনের প্রস্তুতি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কি হলো তাও দেখলাম। অন্য শিশু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর বার্ষিক অনুষ্ঠানেও যে কি হয়, তাও দেখেছি। এদের কোন অনুষ্ঠানে প্রতিশ্রুতির স্বাক্ষর কি পাওয়া যায়?

আমাদের আগামী দিনের কান্ডারীরা তাহলে শিখবে কাদের কাছ থেকে? কি দেখে? ওদের জন্য আমাদের কি কিছুই করার নেই।

আর যাদের কাছ থেকে যা পাই না কেন, অন্তত শিল্পকলা একাডেমীর কাছে একদম প্রচ্ছন্ন দেশপ্রেম, দেশীয় সংস্কৃতি, ভাষা, ঐতিহ্য আর কলুষমুক্ত দেশীয় বিনোদন আশা করছি। আপনারা কেবল যাত্রা শুরু করেছেন। গোড়ার গলদ মুছে ফেলে দেশ গড়ার মনোভাব নিয়ে নতুন উদ্যমে শুরু করুন। মহাদেবপুর বাসী আপনাদের দিকেই চেয়ে আছে। #

আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সম্পাদকীয় : এ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে আমাদেরই

প্রকাশের সময় : ০৮:৫১:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২০
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ,এম,সাঈদ টিটো, মহাদেবপুর (নওগাঁ), ২৯ জানুয়ারী ২০২০ :

দিনের পর দিন এ অবস্থা চলতে পারেনা যা বেশীরভাগ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। সবাই দেখছি, শুনছি, বুঝছি যে, এটা ঠিক হচ্ছেনা। তারপরও আমরা কেউ কিছু বলছিনা, করছিনা। এটা হয়না। কাউকে না কাউকে তো বলতে হবে। করতে হবে আসল কাজটা।

সঙ্গীত শুধুই বিনোদনের বিষয় হতে পারেনা। সঙ্গীত সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার। সঙ্গীত আমাদের দেশপ্রেমের প্রেরনা। আমার সোনার বাংলা…., এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি…., ও আমার দেশের মাটি…., শোন একটি মুজিবরের থেকে…., কারার ওই লৌহ কপাট…., সব কটা জানালা খুলে দাও না….. এসব কি শুধুই বিনোদন!

প্রতিভা পয়সা দিয়ে কিনতে পাওয়া যায়না। একজন সঙ্গীত শিল্পী দেশের সম্পদ। দেশের প্রতি তাঁর দায় রয়েছে। ইচ্ছে করলেই সঙ্গীত শিল্পীরা দেশের কৃষ্টি, কালচার উপেক্ষা করতে পারেন না। প্রকৃত শিল্পীদেরকেই রক্ষা করতে হবে ঐতিহ্য, ইতিহাস। বিজাতীয় সংস্কৃতির উত্থান রুখবে কারা?

একটি স্বাধীন দেশের মানুষকে পরাধীনতার শিকলে বন্দী করা শুধু রাজনৈতিকভাবেই নয়, বরং সংস্কৃতির মাধ্যমেও করা হয়। রাজনৈতিকভাবে দমানোর জন্য পশ্চিমী বেনীয়ারা আমাদের উপর উর্দু ভাষা চাপিয়ে দিয়ে কন্ঠরোধ করতে চেয়েছিল আমাদেরকে সাংস্কৃতিকভাবে পঙ্গু করার জন্যই। ১৯৭১ এর ১৪ ডিসেম্বর আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যার নীল নক্সাও একই উদ্দেশ্যে করা।

সবাই ভূল করতে পারে। কিন্তু যাদের উপর গড়ার দায়িত্ব তারা ভূল করলে, তার প্রভাব হবে বৃহৎ। যারা জানে, তাদেরটাকে ভূল বলা যাবেনা। বরং সেটা জেনে শুনে করা অন্যায়।

হিন্দী গান কি আমাদের দেশপ্রেমের নমুনা? আপনারা বলছেন এটা বিনোদন। ভাল কথা আপনারা কি তাহলে বিনোদন শেখানোর জন্য এত টাকা খরচ করে এত ঘটা করে এটা করেছেন? এখানে কি তাহলে আমাদের কোমলমতি সঙ্গীত শিক্ষার্থীদেরকে বিনোদনের নামে বিজাতীয় সংস্কৃতি শেখাবেন?

১৯৫২ তে আমার মায়ের ভাষার জন্য প্রাণ দিতে হয়েছে, শহীদ রফিক, জব্বার, সালামদের। রক্ত দিয়ে কেনা বাংলার কথা বেমালুম ভূলে গেলাম! আর কত দেখাবেন?

এর আগে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে দেখেছি একই অবস্থা। ঐতিহ্যবাহী সর্ব মঙ্গলা উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পুর্তি উৎসব পালনের প্রস্তুতি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কি হলো তাও দেখলাম। অন্য শিশু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর বার্ষিক অনুষ্ঠানেও যে কি হয়, তাও দেখেছি। এদের কোন অনুষ্ঠানে প্রতিশ্রুতির স্বাক্ষর কি পাওয়া যায়?

আমাদের আগামী দিনের কান্ডারীরা তাহলে শিখবে কাদের কাছ থেকে? কি দেখে? ওদের জন্য আমাদের কি কিছুই করার নেই।

আর যাদের কাছ থেকে যা পাই না কেন, অন্তত শিল্পকলা একাডেমীর কাছে একদম প্রচ্ছন্ন দেশপ্রেম, দেশীয় সংস্কৃতি, ভাষা, ঐতিহ্য আর কলুষমুক্ত দেশীয় বিনোদন আশা করছি। আপনারা কেবল যাত্রা শুরু করেছেন। গোড়ার গলদ মুছে ফেলে দেশ গড়ার মনোভাব নিয়ে নতুন উদ্যমে শুরু করুন। মহাদেবপুর বাসী আপনাদের দিকেই চেয়ে আছে। #