নওগাঁ ০৪:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

পত্নীতলায় এতিমের টাকা লুটপাটের অভিযোগ<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ২৪ ডিসেম্বর ২০২২ :

নওগাঁর পত্নীতলায় এতিমদের নামে বরাদ্দকরা ক্যাপিটেশন গ্র্যান্টের টাকা হরিলুটের অভিযোগ করা হয়েছে। শিশু সদনগুলোতে বসবাস করা এতিম শিশুদের স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণভাবে জীবনযাপনে সহায়তার অংশ হিসাবে সরকার এতিম শিশুদের নামে জনপ্রতি প্রতিমাসে দুই হাজার টাকা করে বরাদ্দ দিলেও তার সুফল পুরোপুরি পাচ্ছে না এতিম শিশুরা। এমিতদের জন্য বরাদ্দকরা অর্থে ভাগ বসাচ্ছে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা ও শিশু সদন ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বেসরকারি শিশু সদনগুলোতে সরকারিভাবে যে বরাদ্দ প্রদান করা হয় তা ছাড় করতেই প্রতিষ্ঠানকে সংশ্লিষ্ট সমাজসেবা অফিসে ২০-২৫% টাকা উৎকোচ দিতে হয়। আর এই উৎকোচের টাকা না দিলে নানা অজুহাতে ফাইল আটকে রাখা, হয়রানি করা ও চেক ছাড়ে বিলম্ব করা হয়। কোন কোন শিশু সদনের মোহতামিম সরকারি সহায়তার বিষয়ে অন্ধকারেই রয়ে গেছেন। শিশুসদনের কতটি শিশুর নামে কত টাকা বরাদ্দ এসেছে আর সেই বরাদ্দের টাকা দিয়ে কি করা হয়েছে সে বিষয়ে মোহতামিম কিছুই জানেন না। এতিম শিশুদের জন্য প্রাপ্ত বরাদ্দসহ সব কিছুই নিয়ন্ত্রণ করেন শিশু সদনের সভাপতি নিজেই। সম্প্রতি উপজেলার কয়েকটি শিশু সদন ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা গোপীনগর বে-সরকারি শিশু সদনে গিয়ে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪০ জন। তবে প্রতিদিন গড়ে ৩০ জন শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠানে আসে। এখানে মুলত: হাফেজিয়া ও বাংলা পড়াশুনা করানো হয়। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১০ জন এতিম। প্রতিষ্ঠানে এতিম ছাড়া যে সকল শিশু আছে তাদের কাছ থেকেও কোন অর্থ গ্রহণ করা হয় না। এলাকাবাসীর কাছ থেকে চাঁদা সংগ্রহের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির ছাত্রদের খাওয়া খরচ ও শিক্ষকদের বেতন প্রদান করা হয়।

শিশু সদনের মোহতামিম মো. গোলাম মোস্তফা জানান, শিশু সদনের ১০ জন এতিম শিশুর মধ্যে ৫ জনের জন্য সর্বশেষ ৬০ হাজার টাকা সরকারি অনুদান পাওয়া গেছে। প্রতিষ্ঠানে ২ টি ছোট মাটির ঘর রয়েছে সেখানে শিশু ও শিক্ষকদের গাদাগাদি করে থাকতে হয়। এত অল্প পরিমাণ সরকারি অনুদান দিয়ে শিক্ষার্থীদের কিছুই হয়না। এ বছর ১০ জন এতিম শিশুর তালিকা সমাজসেবা অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।

জামালপুর কাছেমুল উলুম জোবাইদিয়া ক্বওমী মাদ্রাসা ও বে-সরকারি শিশু সদনে গিয়ে কথা হয় মোহতামিম মো. ময়নুল ইসলাম এর সাথে। তিনি জানান, প্রতিষ্ঠানে ১৪ জন এতিমসহ ৯০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে। তিনি গত ৫ বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠানের প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। এতিম শিশুদের কাছ থেকে কোন অর্থ গ্রহণ করা হয় না। তবে সামর্থ্যবান শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের কাছ থেকে মাসিক ১/২ হাজার টাকা গ্রহণ করা হয়। শিশু সদনের কত জন শিশুর জন্য সরকারি কত টাকা বরাদ্দ পাওয়া যায় সে বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আলহাজ্ব আব্দুল আহাদ নিজেই সমাজসেবা অফিস থেকে টাকা উত্তোলন করে নিজেই খরচ করেন জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারি অনুদানের টাকা তিনি কখনও হাতে পাননি এবং প্রতিষ্ঠানেও জমা হয়নি। এতিম শিশুদের জন্য আসা অনুদানের টাকা উত্তোলন করতে খুব ঝামেলা এবং খরচ করতে হয় শুধু এতটুকুই তিনি শুনেছেন।

শিশু সদনের বর্তমান সভাপতি আবু চৌধুরী প্রতিষ্ঠানের হিসাব-নিকাশ ও দায়-দায়িত্ব বুঝে নিতে চাইলেও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুল আহাদ দায়িত্ব হস্তান্তর করছেন না বলেও তিনি জানান।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে শিশু সদনের কয়েক জন মোহতামিম জানান, এতিম শিশুদের জন্য আসা সরকারি অনুদানের চেক পাওয়া জন্য তাদের প্রায় ২০-২৫% টাকা অফিস খরচ হিসাবে প্রদান করতে হয়। যা চেক পাওয়ার আগেই পরিশোধ করতে হয়। তানা হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কাগজের নানা রকম ভুল ধরে বারবার বিরক্ত করেন এবং চেক প্রদানে অযথা বিলম্ব করেন।

জামালপুর কাছেমুল উলুম জোবাইদিয়া ক্বওমী মাদ্রাসা ও বে-সরকারি শিশু সদনে সভাপতি আবু চৌধুরী বলেন, এতিম শিশুদের জন্য সরকারি কি বরাদ্দ এসেছে সেটি তার জানা নেই। সাবেক সভাপতি সভাপতির দায়িত্ব ছেড়ে দিলেও তিনি আর্থিক বিষয়াদি নিজের হাতেই রেখেছেন। কাউকে কোন হিসাব নিকাশ তিনি দেন না।

শিশু সদনের সাবেক সভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব আব্দুল আহাদ বলেন. সর্বশেষ ৭ জন এতিম ছাত্রের জন্য ৮৪ হাজার টাকা সরকারি অনুদান পাওয়া গেছে। এতিম ছাত্রদের জন্য যে অনুদান পাওয়া যায় তার অর্ধেক এতিম ছাত্রদের জন্য ও বাঁকি অর্ধেক মাদ্রাসার উন্নয়ন কাজে ব্যয় করা হয়। মাদ্রাসা ও শিশু সদন পরিচালনার জন্য আলাদা কমিটি আছে জানিয়ে তিনি বলেন, মাদ্রাসার মোহতামিমের সাথে সব শেয়ার করা হয়। শিশু সদন কমিটিতে মাদ্রাসার একজন হাফেজ আছে বলে জানালেও তিনি উক্ত হাফেজের নাম বলতে পারেননি। সরকারি অনুদান গ্রহণের জন্য কোন অফিস খরচ দিতে হয় কিনা এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, থুথু উপরে দিলে নিজের গায়েই পড়ে এ কথা বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এটিএম ফসিউল আলম বলেন, ‘আমি গত ১৫ নভেম্বর তারিখে এই উপজেলায় যোগদান করে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি। উপজেলায় কতটি শিশু সদন আছে এবং কতটি সরকারি অনুদান পায় সে বিষয়ে এই মুহুর্তে আমি বলতে পারবো না। প্রতিষ্ঠানে যে অনুদান দেওয়া হয় তা মোহতামিমের অবশ্যই জানার কথা। প্রতিষ্ঠানগুলোকে একাউন্ট পে-চেকের মাধ্যমে অনুদানের টাকা প্রদান করা হয়। এ কারণে আর্থিক সুবিধা গ্রহণের সুযোগ নেই।’ তবে আর্থিক সুবিধা নেওয়া আর চা খাওয়ানো এক জিনিস নয় জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, তিনি অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখবেন।#

আপলোডকারীর তথ্য

পত্নীতলায় এতিমের টাকা লুটপাটের অভিযোগ<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ০৫:০৩:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২২
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ২৪ ডিসেম্বর ২০২২ :

নওগাঁর পত্নীতলায় এতিমদের নামে বরাদ্দকরা ক্যাপিটেশন গ্র্যান্টের টাকা হরিলুটের অভিযোগ করা হয়েছে। শিশু সদনগুলোতে বসবাস করা এতিম শিশুদের স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণভাবে জীবনযাপনে সহায়তার অংশ হিসাবে সরকার এতিম শিশুদের নামে জনপ্রতি প্রতিমাসে দুই হাজার টাকা করে বরাদ্দ দিলেও তার সুফল পুরোপুরি পাচ্ছে না এতিম শিশুরা। এমিতদের জন্য বরাদ্দকরা অর্থে ভাগ বসাচ্ছে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা ও শিশু সদন ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বেসরকারি শিশু সদনগুলোতে সরকারিভাবে যে বরাদ্দ প্রদান করা হয় তা ছাড় করতেই প্রতিষ্ঠানকে সংশ্লিষ্ট সমাজসেবা অফিসে ২০-২৫% টাকা উৎকোচ দিতে হয়। আর এই উৎকোচের টাকা না দিলে নানা অজুহাতে ফাইল আটকে রাখা, হয়রানি করা ও চেক ছাড়ে বিলম্ব করা হয়। কোন কোন শিশু সদনের মোহতামিম সরকারি সহায়তার বিষয়ে অন্ধকারেই রয়ে গেছেন। শিশুসদনের কতটি শিশুর নামে কত টাকা বরাদ্দ এসেছে আর সেই বরাদ্দের টাকা দিয়ে কি করা হয়েছে সে বিষয়ে মোহতামিম কিছুই জানেন না। এতিম শিশুদের জন্য প্রাপ্ত বরাদ্দসহ সব কিছুই নিয়ন্ত্রণ করেন শিশু সদনের সভাপতি নিজেই। সম্প্রতি উপজেলার কয়েকটি শিশু সদন ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা গোপীনগর বে-সরকারি শিশু সদনে গিয়ে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪০ জন। তবে প্রতিদিন গড়ে ৩০ জন শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠানে আসে। এখানে মুলত: হাফেজিয়া ও বাংলা পড়াশুনা করানো হয়। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১০ জন এতিম। প্রতিষ্ঠানে এতিম ছাড়া যে সকল শিশু আছে তাদের কাছ থেকেও কোন অর্থ গ্রহণ করা হয় না। এলাকাবাসীর কাছ থেকে চাঁদা সংগ্রহের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির ছাত্রদের খাওয়া খরচ ও শিক্ষকদের বেতন প্রদান করা হয়।

শিশু সদনের মোহতামিম মো. গোলাম মোস্তফা জানান, শিশু সদনের ১০ জন এতিম শিশুর মধ্যে ৫ জনের জন্য সর্বশেষ ৬০ হাজার টাকা সরকারি অনুদান পাওয়া গেছে। প্রতিষ্ঠানে ২ টি ছোট মাটির ঘর রয়েছে সেখানে শিশু ও শিক্ষকদের গাদাগাদি করে থাকতে হয়। এত অল্প পরিমাণ সরকারি অনুদান দিয়ে শিক্ষার্থীদের কিছুই হয়না। এ বছর ১০ জন এতিম শিশুর তালিকা সমাজসেবা অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।

জামালপুর কাছেমুল উলুম জোবাইদিয়া ক্বওমী মাদ্রাসা ও বে-সরকারি শিশু সদনে গিয়ে কথা হয় মোহতামিম মো. ময়নুল ইসলাম এর সাথে। তিনি জানান, প্রতিষ্ঠানে ১৪ জন এতিমসহ ৯০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে। তিনি গত ৫ বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠানের প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। এতিম শিশুদের কাছ থেকে কোন অর্থ গ্রহণ করা হয় না। তবে সামর্থ্যবান শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের কাছ থেকে মাসিক ১/২ হাজার টাকা গ্রহণ করা হয়। শিশু সদনের কত জন শিশুর জন্য সরকারি কত টাকা বরাদ্দ পাওয়া যায় সে বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আলহাজ্ব আব্দুল আহাদ নিজেই সমাজসেবা অফিস থেকে টাকা উত্তোলন করে নিজেই খরচ করেন জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারি অনুদানের টাকা তিনি কখনও হাতে পাননি এবং প্রতিষ্ঠানেও জমা হয়নি। এতিম শিশুদের জন্য আসা অনুদানের টাকা উত্তোলন করতে খুব ঝামেলা এবং খরচ করতে হয় শুধু এতটুকুই তিনি শুনেছেন।

শিশু সদনের বর্তমান সভাপতি আবু চৌধুরী প্রতিষ্ঠানের হিসাব-নিকাশ ও দায়-দায়িত্ব বুঝে নিতে চাইলেও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুল আহাদ দায়িত্ব হস্তান্তর করছেন না বলেও তিনি জানান।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে শিশু সদনের কয়েক জন মোহতামিম জানান, এতিম শিশুদের জন্য আসা সরকারি অনুদানের চেক পাওয়া জন্য তাদের প্রায় ২০-২৫% টাকা অফিস খরচ হিসাবে প্রদান করতে হয়। যা চেক পাওয়ার আগেই পরিশোধ করতে হয়। তানা হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কাগজের নানা রকম ভুল ধরে বারবার বিরক্ত করেন এবং চেক প্রদানে অযথা বিলম্ব করেন।

জামালপুর কাছেমুল উলুম জোবাইদিয়া ক্বওমী মাদ্রাসা ও বে-সরকারি শিশু সদনে সভাপতি আবু চৌধুরী বলেন, এতিম শিশুদের জন্য সরকারি কি বরাদ্দ এসেছে সেটি তার জানা নেই। সাবেক সভাপতি সভাপতির দায়িত্ব ছেড়ে দিলেও তিনি আর্থিক বিষয়াদি নিজের হাতেই রেখেছেন। কাউকে কোন হিসাব নিকাশ তিনি দেন না।

শিশু সদনের সাবেক সভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব আব্দুল আহাদ বলেন. সর্বশেষ ৭ জন এতিম ছাত্রের জন্য ৮৪ হাজার টাকা সরকারি অনুদান পাওয়া গেছে। এতিম ছাত্রদের জন্য যে অনুদান পাওয়া যায় তার অর্ধেক এতিম ছাত্রদের জন্য ও বাঁকি অর্ধেক মাদ্রাসার উন্নয়ন কাজে ব্যয় করা হয়। মাদ্রাসা ও শিশু সদন পরিচালনার জন্য আলাদা কমিটি আছে জানিয়ে তিনি বলেন, মাদ্রাসার মোহতামিমের সাথে সব শেয়ার করা হয়। শিশু সদন কমিটিতে মাদ্রাসার একজন হাফেজ আছে বলে জানালেও তিনি উক্ত হাফেজের নাম বলতে পারেননি। সরকারি অনুদান গ্রহণের জন্য কোন অফিস খরচ দিতে হয় কিনা এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, থুথু উপরে দিলে নিজের গায়েই পড়ে এ কথা বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এটিএম ফসিউল আলম বলেন, ‘আমি গত ১৫ নভেম্বর তারিখে এই উপজেলায় যোগদান করে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি। উপজেলায় কতটি শিশু সদন আছে এবং কতটি সরকারি অনুদান পায় সে বিষয়ে এই মুহুর্তে আমি বলতে পারবো না। প্রতিষ্ঠানে যে অনুদান দেওয়া হয় তা মোহতামিমের অবশ্যই জানার কথা। প্রতিষ্ঠানগুলোকে একাউন্ট পে-চেকের মাধ্যমে অনুদানের টাকা প্রদান করা হয়। এ কারণে আর্থিক সুবিধা গ্রহণের সুযোগ নেই।’ তবে আর্থিক সুবিধা নেওয়া আর চা খাওয়ানো এক জিনিস নয় জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, তিনি অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখবেন।#