নওগাঁ ০৭:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

পত্নীতলায় গগণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দুশিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রাইভেট পড়ানোর অভিযোগ<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ২৯ জুলাই ২০২২ :

নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার গগণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দুশিক্ষক বকুল হোসেন ও চয়ন উদ্দিনের বিরুদ্ধে শিক্ষানীতি উপেক্ষা করে নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ানোর অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিভাবকেরা বলছেন অন্য শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়লে পরীক্ষায় নম্বর কম দেয়া হয়। আর ওই দ্ইু শিক্ষক বলছেন কর্তৃপক্ষ নিষেধ করলে তারা আর পড়াবেন না।

ওই বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, অন্য শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট পড়ায় তাদেরকে পরীক্ষায় কম নম্বর দেয়া হতো। তাই তারা বাধ্য হয়ে সহকারি প্রধান শিক্ষক বকুল হোসেন ও সমাজ বিজ্ঞানের শিক্ষক চয়ন উদ্দিনের কাছে প্রাইভেট পড়েন।

অভিভাবকরা জানান, নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ানো নিষিদ্ধ করা হলেও ওই দুই শিক্ষক তা মানছেন না।

জানাতে চাইলে শিক্ষক বকুল হোসেন বলেন, ‘আমি জানি নিজ স্কুলের শিক্ষার্থীদেরকে প্রাইভেট পড়ানো শিক্ষা নীতির বাইরে। এলাকা ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান বলে পড়াই। যদি প্রশাসন চাপ দেয় তাহলে প্রাইভেট বন্ধ করে দিবো।’

শিক্ষক চয়ন উদ্দিন বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আমার কাছে পড়তে চায় বলেই আমি তাদের প্রাইভেট পড়াই। তবে কাউকে কম আবার কাউকে বেশি নম্বর দেওয়ার বিষয়টি সত্য নয়।’

গগনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘আমার জানা মতে তারা আগে প্রাইভেট পড়াতেন। এখন আর পড়ান না। বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’

উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার মোরশেদুল ইসলাম বলেন, ‘কোন শিক্ষক তার নিজ প্রতিষ্ঠানের কোন শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়াতে বা কোচিং করাতে পারবেন না। যদি এমন প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষা নীতিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’#

আপলোডকারীর তথ্য

পত্নীতলায় গগণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দুশিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রাইভেট পড়ানোর অভিযোগ<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ১২:২৮:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ জুলাই ২০২২
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ২৯ জুলাই ২০২২ :

নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার গগণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দুশিক্ষক বকুল হোসেন ও চয়ন উদ্দিনের বিরুদ্ধে শিক্ষানীতি উপেক্ষা করে নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ানোর অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিভাবকেরা বলছেন অন্য শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়লে পরীক্ষায় নম্বর কম দেয়া হয়। আর ওই দ্ইু শিক্ষক বলছেন কর্তৃপক্ষ নিষেধ করলে তারা আর পড়াবেন না।

ওই বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, অন্য শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট পড়ায় তাদেরকে পরীক্ষায় কম নম্বর দেয়া হতো। তাই তারা বাধ্য হয়ে সহকারি প্রধান শিক্ষক বকুল হোসেন ও সমাজ বিজ্ঞানের শিক্ষক চয়ন উদ্দিনের কাছে প্রাইভেট পড়েন।

অভিভাবকরা জানান, নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ানো নিষিদ্ধ করা হলেও ওই দুই শিক্ষক তা মানছেন না।

জানাতে চাইলে শিক্ষক বকুল হোসেন বলেন, ‘আমি জানি নিজ স্কুলের শিক্ষার্থীদেরকে প্রাইভেট পড়ানো শিক্ষা নীতির বাইরে। এলাকা ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান বলে পড়াই। যদি প্রশাসন চাপ দেয় তাহলে প্রাইভেট বন্ধ করে দিবো।’

শিক্ষক চয়ন উদ্দিন বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আমার কাছে পড়তে চায় বলেই আমি তাদের প্রাইভেট পড়াই। তবে কাউকে কম আবার কাউকে বেশি নম্বর দেওয়ার বিষয়টি সত্য নয়।’

গগনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘আমার জানা মতে তারা আগে প্রাইভেট পড়াতেন। এখন আর পড়ান না। বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’

উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার মোরশেদুল ইসলাম বলেন, ‘কোন শিক্ষক তার নিজ প্রতিষ্ঠানের কোন শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়াতে বা কোচিং করাতে পারবেন না। যদি এমন প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষা নীতিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’#