নওগাঁ ১০:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

কিশোরীকে রক্ত দিয়ে প্রশংসায় ভাঁসছেন পত্নীতলা থানার ওসি শামসুল আলম<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ২৫ জুন ২০২১ :

নওগাঁর পত্নীতলায় দূরারোগ্য থ্যালাসেলমিয়া রোগে আক্রান্ত মোছা: তাজনুর খাতুন (১৭) নামে এক কিশোরীকে স্বেচ্ছায় রক্ত দান করে প্রশংসায় ভাঁসছেন পতœীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামসুল আলম শাহ্। বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) দুপুরে উপজেলা সদরের নজিপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রক্তের ফেরিওয়ালা বলে খ্যাত এ, জেড মিজানের চেম্বারে তিনি মেয়েটির জন্য স্বেচ্ছায় রক্ত দেন।

মিজান জানান, জটিল রোগে আক্রান্ত তাজনুর খাতুন ধামইরহাট উপজেলার খেলনা ইউনিয়নের শিশু গ্রামের গোলাম মোস্তফার মেয়ে। তাকে নিয়মিত রক্ত দিতে হয়। তার ভাই মোহাম্মদ আলীও (২১) একই রোগে আক্রান্ত। দুই ভাইবোনকে প্রতিমাসে ৩-৪ ব্যাগ রক্ত দিতে হয়ে। প্রতিবার মিজানই তাদের রক্ত ম্যানেজ করে দেন। তাদের চিকিৎসা করাতে পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুব শোচনীয় হয়ে পড়েছে। বিষয়টি তিনি থানার ওসিকে জানালে তিনি স্বেচ্ছায় রক্ত দান করতে এগিয়ে আসেন। ক্রস ম্যাচিং, ব্যাগসহ আনুষঙ্গিক খরচ ওসি নিজেই বহন করেন। তার মাধ্যমে ইতোমধ্যেই তিন হাজার ২৯৩ ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ হয়েছে বলেও মিজান জানান।

ওসি শামসুল আলম শাহ্ বলেন, মিজানের মাধ্যমে জানতে পারেন মেয়েটির রক্তের প্রয়োজন। গ্রুপ এ+। রক্ত ম্যানেজ হয়নি একথা শুনে তিনি নিজে রক্ত দিতে আসেন। এর আগেও বিভিন্ন কর্মস্থলে তিনি সাত আটবার রক্ত দিয়েছেন। নির্দিষ্ট সময় পর পর রক্ত দিলে দাতার কোনো অসুবিধা হয় না। অনেকে ভয়ে রক্ত দিতে চান না। কিন্তু মূমুর্ষ-জটিল রোগীর জীবন বাঁচে। পূণ্যও সঞ্চয় হয়।

তিনি বলেন, ‘যতদিন সুস্থ থাকবো, নিয়মিত রক্ত দিয়ে যাবো। মানুষ তো মানুষের জন্যই।’ তিনি সকলকে রক্তদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। #

আপলোডকারীর তথ্য

কিশোরীকে রক্ত দিয়ে প্রশংসায় ভাঁসছেন পত্নীতলা থানার ওসি শামসুল আলম<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ০২:২৮:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুন ২০২১
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ২৫ জুন ২০২১ :

নওগাঁর পত্নীতলায় দূরারোগ্য থ্যালাসেলমিয়া রোগে আক্রান্ত মোছা: তাজনুর খাতুন (১৭) নামে এক কিশোরীকে স্বেচ্ছায় রক্ত দান করে প্রশংসায় ভাঁসছেন পতœীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামসুল আলম শাহ্। বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) দুপুরে উপজেলা সদরের নজিপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রক্তের ফেরিওয়ালা বলে খ্যাত এ, জেড মিজানের চেম্বারে তিনি মেয়েটির জন্য স্বেচ্ছায় রক্ত দেন।

মিজান জানান, জটিল রোগে আক্রান্ত তাজনুর খাতুন ধামইরহাট উপজেলার খেলনা ইউনিয়নের শিশু গ্রামের গোলাম মোস্তফার মেয়ে। তাকে নিয়মিত রক্ত দিতে হয়। তার ভাই মোহাম্মদ আলীও (২১) একই রোগে আক্রান্ত। দুই ভাইবোনকে প্রতিমাসে ৩-৪ ব্যাগ রক্ত দিতে হয়ে। প্রতিবার মিজানই তাদের রক্ত ম্যানেজ করে দেন। তাদের চিকিৎসা করাতে পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুব শোচনীয় হয়ে পড়েছে। বিষয়টি তিনি থানার ওসিকে জানালে তিনি স্বেচ্ছায় রক্ত দান করতে এগিয়ে আসেন। ক্রস ম্যাচিং, ব্যাগসহ আনুষঙ্গিক খরচ ওসি নিজেই বহন করেন। তার মাধ্যমে ইতোমধ্যেই তিন হাজার ২৯৩ ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ হয়েছে বলেও মিজান জানান।

ওসি শামসুল আলম শাহ্ বলেন, মিজানের মাধ্যমে জানতে পারেন মেয়েটির রক্তের প্রয়োজন। গ্রুপ এ+। রক্ত ম্যানেজ হয়নি একথা শুনে তিনি নিজে রক্ত দিতে আসেন। এর আগেও বিভিন্ন কর্মস্থলে তিনি সাত আটবার রক্ত দিয়েছেন। নির্দিষ্ট সময় পর পর রক্ত দিলে দাতার কোনো অসুবিধা হয় না। অনেকে ভয়ে রক্ত দিতে চান না। কিন্তু মূমুর্ষ-জটিল রোগীর জীবন বাঁচে। পূণ্যও সঞ্চয় হয়।

তিনি বলেন, ‘যতদিন সুস্থ থাকবো, নিয়মিত রক্ত দিয়ে যাবো। মানুষ তো মানুষের জন্যই।’ তিনি সকলকে রক্তদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। #