মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ,এম,সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ :
শুক্রবার সকালে নওগাঁ একুশে পরিষদের উদ্যোগে ৭নং সেক্টর কমান্ডার শহিদ মেজর নাজমুল হকের ৪৮তম প্রয়াণ দিবস পালন উপলক্ষে পুষ্পার্ঘ অর্পন, নীরবতা পালন ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সকালে কেডির মোড়ে শহিদ মেজর নাজমুল হক স্মৃতিফলকে একুশে পরিষদ নওগাঁ ও ১৬বিজিবির পক্ষ থেকে পুষ্পার্ঘ অর্পণ ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সেখানে আয়োজিত আলোচনা সভায় একুশে পরিষদ নওগাঁর সহ-সভাপতি অ্যাড. মুকুল চন্দ্র কবিরাজ সভাপতিত্ব করেন।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নওগাঁ বিজিবি ১৬ ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল তুহিন মো. মাসুদ, একুশে পরিষদ নওগাঁর উপদেষ্টা ওহিদুর রহমান, অধ্যাপক নূর উল হক, কবি আতাউল হক সিদ্দিকী, ডা: ময়নুল হক দুলদুল, সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, প্রফেসর শরিফুল ইসলাম খান, কায়েস উদ্দিন, মো: বিন আলী পিন্টু, সাধারণ সম্পাদক এম এম রাসেল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, মেজর নাজমুল হক মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য কোনো রাষ্ট্রীয় সম্মাননা না পাওয়ায় হতাশ দেশবাসী। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদানও যথাযথভাবে মূল্যায়িত হয়নি বলে আমরা মনে করি। আমরা চাই, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নতুন প্রজন্ম জানুক এবং এ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে যথাযথ মূল্যায়ন হোক। সেক্টর কমান্ডার হিসেবে মেজর নাজমুলেকে খেতাব পাওয়া উচিত ছিল।
উল্লেখ্য, মেজর নাজমুল হক ১৯৩৮ সালের ১ আগস্ট চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার আমিরাবাদ গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম করেন। তিনি কুমিল্লার ঈশ্বর পাঠশালা থেকে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। এরপর ঢাকার আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে (বর্তমানে বুয়েট) ভর্তি হন। দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত অবস্থায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন।
মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর ৭নং নম্বর সেক্টরের অধীনে রাজশাহী, নওগাঁ, পাবনা, বগুড়া, দিনাজপুর ও রংপুরে অভিযান পরিচালনা করেন। ইপিআর সদস্য ও স্থানীয় যুবকদের সঙ্গে নিয়ে নওগাঁ ও বগুড়ার সেনা ক্যাম্পে হামলা করেন তিনি। শত্রুমুক্ত করেন বগুড়া জেলা। এরপর রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ মুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।
মেজর নাজমুল হক যে ৭নং সেক্টরের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের পরিকল্পনা সংক্রান্ত শিলিগুড়িতে একটি বৈঠক থেকে ফেরার পথে দুর্গম পাহাড়ি পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি।#