নওগাঁ ০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

পত্নীতলা ও রাণীনগরের সাত মাদরাসার এমপিও বাতিলের শোকজ<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

মহাদেবপুর দর্পণ, অহিদুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁ, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ :

এবছর দাখিল পরীক্ষায় পাসের হার ১০ শতাংশের নিচে হওয়ায় নওগাঁর পত্নীতলা ও রাণীনগর উপজেলার সাত মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারিদের এমপিও বাতিল করে কেন বেতন বন্ধ করা হবেনা জানতে কারণ দর্শাও নোটিশ দেয়া হয়েছে। গত রোববার মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে ওই সাত প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে এ নোটিশ দেয়া হয়। এসব মাদরাসায় পাশের হার ১০ শতাংশের নিচে হওয়ায় মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পত্নীতলা উপজেলার ছোট মহারান্দি টেকনিক্যাল দাখিল মাদরাসার ২০জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে দুইজন, পাশের হার ১০ শতাংশ। নির্মইল দারাজিয়া দাখিল মাদরাসার ১৭জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে একজন, পাশের হার ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ, দিবর সিদ্দিকী নগর দাখিল মাদরাসার ২৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে একজন, পাশের হার ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ। ফরিদপুর নেছারিয়া দাখিল মাদরাসার ২১জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে দুইজন, পাশের হার ৪ শতাংশ।

রাণীনগর উপজেলার পঞ্চপুর আলিম মাদরাসার ২২জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে একজন, পাশের হার ৯ দশমিক ৯ শতাংশ, ভিটি সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার ১৮জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে একজন, পাশের হার ৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ, রাজাপুর সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদরাসার ২১জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে একজন, পাশের হার ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত কারণ দর্শাও নোটিশে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের জানানো হয়েছে, মাদরাসাগুলোর কম পাশের হার এমপিও নীতিমালা পরিপন্থি। প্রতিষ্ঠানগুলো এ কর্মকান্ডে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে। এসব মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও সাময়িকভাবে স্থগিত বা স্থায়ীভাবে বন্ধের ব্যবস্থা কেন গ্রহণ করা হবে না তার জবাব আগামী ১৫ দিনের মধ্যে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে।

অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই গণিত বিষয়ে ফেল করেছে বলে বলে জানা যায়। কিছু প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সংকটের জন্য এ ফল বিপর্যয় ঘটেছে বলে দাবী করেছেন প্রতিষ্ঠান প্রধানরা।#

আপলোডকারীর তথ্য

সর্বোচ্চ পঠিত

পত্নীতলা ও রাণীনগরের সাত মাদরাসার এমপিও বাতিলের শোকজ<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ০১:০০:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মহাদেবপুর দর্পণ, অহিদুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁ, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ :

এবছর দাখিল পরীক্ষায় পাসের হার ১০ শতাংশের নিচে হওয়ায় নওগাঁর পত্নীতলা ও রাণীনগর উপজেলার সাত মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারিদের এমপিও বাতিল করে কেন বেতন বন্ধ করা হবেনা জানতে কারণ দর্শাও নোটিশ দেয়া হয়েছে। গত রোববার মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে ওই সাত প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে এ নোটিশ দেয়া হয়। এসব মাদরাসায় পাশের হার ১০ শতাংশের নিচে হওয়ায় মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পত্নীতলা উপজেলার ছোট মহারান্দি টেকনিক্যাল দাখিল মাদরাসার ২০জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে দুইজন, পাশের হার ১০ শতাংশ। নির্মইল দারাজিয়া দাখিল মাদরাসার ১৭জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে একজন, পাশের হার ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ, দিবর সিদ্দিকী নগর দাখিল মাদরাসার ২৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে একজন, পাশের হার ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ। ফরিদপুর নেছারিয়া দাখিল মাদরাসার ২১জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে দুইজন, পাশের হার ৪ শতাংশ।

রাণীনগর উপজেলার পঞ্চপুর আলিম মাদরাসার ২২জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে একজন, পাশের হার ৯ দশমিক ৯ শতাংশ, ভিটি সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার ১৮জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে একজন, পাশের হার ৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ, রাজাপুর সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদরাসার ২১জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে একজন, পাশের হার ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত কারণ দর্শাও নোটিশে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের জানানো হয়েছে, মাদরাসাগুলোর কম পাশের হার এমপিও নীতিমালা পরিপন্থি। প্রতিষ্ঠানগুলো এ কর্মকান্ডে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে। এসব মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও সাময়িকভাবে স্থগিত বা স্থায়ীভাবে বন্ধের ব্যবস্থা কেন গ্রহণ করা হবে না তার জবাব আগামী ১৫ দিনের মধ্যে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে।

অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই গণিত বিষয়ে ফেল করেছে বলে বলে জানা যায়। কিছু প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সংকটের জন্য এ ফল বিপর্যয় ঘটেছে বলে দাবী করেছেন প্রতিষ্ঠান প্রধানরা।#