মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ,এম,সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯ :
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে রাজাকারদের তালিকা নিয়ে যাচাই-বাছাই না করেই প্রকাশ করে বেআক্কেলের মতো কাজ করেছি। এই ভুলের জন্য মা চেয়েছি। তাই বলে এই তালিকা হবে না, তা নয়। রাজাকারের তালিকা হবেই হবে।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে নওগাঁর ১১টি উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধন উপলে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তালিকা নিয়ে আর তালিকা প্রকাশ করা হবে না। নিবিড় অনুসন্ধান চালিয়ে উপজেলাভিত্তিক রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করা হবে। ভুল করেছি। প্রত্যাহারও করে নিয়েছি। এবার আর ভুল হবে না।’
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী জানান, আগামী জানুয়ারি মাসে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। ইতিমধ্যে তালিকার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন সেই তালিকা আবার যাচাই করার কাজ চলছে। তালিকা প্রকাশের পর নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হবে। কারও কোনো অভিযোগ থাকলে জানাতে পারবেন। পুনরায় সেসব অভিযোগ তদন্ত করে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রকাশ করা হবে। আগামী ২৬ মার্চের আগেই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের ছবিসহ পরিচয়পত্র দেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগ সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারই প্রথম মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ভাতাব্যবস্থা চালু করেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা ভাতা আগামী জুলাই মাস থেকে ১৫ হাজার টাকা করার চিন্তাভাবনা চলছে। এ ছাড়া স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস উপলে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা দেওয়া হবে। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্নবিজড়িত স্থানগুলো সংরণের জন্য ইতিমধ্যে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের কবর সংরণ করা হবে। প্রতিটি জেলা-উপজেলা থেকে বধ্যভূমিসহ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্নবিজড়িত স্থানের তালিকা নেওয়া হয়েছে। খুব শিগগির উপজেলায় উপজেলায় বরাদ্দ পৌঁছে যাবে।
জেলা প্রশাসক হারুন-অর-রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা দ্রুত প্রকাশ করা উচিত। একে চলমান রাখা যাবে না। বরং রাজাকারের তালিকা প্রকাশের কাজ চলমান রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নওগাঁ-২ আসনের সাংসদ শহীদুজ্জামান সরকার, নওগাঁ-৩ আসনের সাংসদ ছলিম উদ্দিন তরফদার, নওগাঁর পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়া প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আবদুল হাকিম। নওগাঁর ১১টি উপজেলায় ১১টি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন তৈরিতে ২৪ কোটি ১ লাখ ৭৪ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে।
পরে জেলার মান্দা উপেজলার ঐতিহাসিক কুশুম্বা মসজিদ পরিদর্শন করেন।তিনি মসজিদ এবং এর বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড ঘুরে দেখেন। #