নওগাঁ ১১:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

রাণীনগর মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অফিস সহকারির খুটির জোড় কোথায়<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ২৬ অক্টোবর ২০২০ :

গ্রাম পর্যায়ে নির্যাতিত, অবহেলিত, পিছিয়ে পড়া নারীদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে ও এগিয়ে নিয়ে আসার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে আসছে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর। কিন্তু এই কর্মকর্তার কার্যালয় নিয়ন্ত্রণ করছে অফিসের প্রভাবশালী অফিস সহকারি। ২০ বছর ধরে একই ষ্টেশনে কিভাবে চাকরি করছেন তা নিয়ে স্থানীয় জনমনে নানা প্রশ্নের উদয় হয়েছে। তার খুটির জোড় কোথায় তা খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

ওই অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ উত্থাপন করে তাকে অন্যত্র বদলীর জন্য উর্ধতন কর্মকর্তার নিকট লিখিত আবেদন জানানোর এক বছরেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা খোন্দকার মাক্বামাম মাহমুদা ২০১৯ সালের ১৪ আগস্ট ওই অফিস সহকারির বদলি চেয়ে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও নওগাঁর উপ-পরিচালক বরাবর একটি আবেদন করেন। যার স্মারক নং উমবিককা/রাণীনগর/নওগাঁ/১৫। ওই আবেদনে উল্লেখ করা হয়, অফিস সহকারিকে কোনো কাজ দিলে কাজটি দীর্ঘ সূত্রিতার মতো জটিল অবস্থার সৃষ্টি করে। সে নিজে কম্পিউটারের কাজ জানে না বিধায় অধিদপ্তরসহ সব জায়গায় রিপোর্ট প্রেরণে বিলম্ব ঘটিয়ে অনাঙ্খিত পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। প্রশিক্ষাণার্থী মেয়েসহ অনেকের সঙ্গেই দুর্ব্যবহার করে। এমনকি কর্মকর্তার সঙ্গেও সে উচ্চস্বরে কথা বলে যা সরকারী কর্মচারী শৃঙ্খলার পরিপন্থি। তাকে নিষেধ করা সত্ত্বেও প্রচণ্ড বাজেভাবে কথাবার্তা বলে। অফিসের সব তথ্য বাহিরে প্রচার করে দেয়। সে দীর্ঘদিন যাবত একই কর্মস্থলে থাকার সুবাদে ভাতাভোগীদের (বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, ভাতা কার্যক্রমের), ইউপি সদস্যসহ বিভিন্ন জনের সঙ্গে যোগাযোগ পূর্বক নিয়মনীতি বহির্ভুত তালিকা প্রস্তুত করে। ওই বিষয়গুলোসহ ওই কর্মচারীর বিষয়ে আবেদনে মোট ৭টি বিষয় উল্লেখ্য করা হয়। যাবতীয় বিষয়াদি জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে অবহিত করার বিষয়টিও ওই কর্মকর্তা আবেদনে উল্লেখ্য করেন।

ওই কর্মকর্তা বলেন, এই ধরনের প্রভাবশালী কর্মচারী সরকারের এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি অফিসের জন্য হুমকিস্বরূপ। এই সব কর্মচারী দ্বারা সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডসহ সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। তাই এই কর্মচারীদের একটি অফিসে দীর্ঘদিন রাখা উচিত নয় বলে আমি মনে করি। এতে করে সরকারি কর্মকাণ্ডগুলো আরো ত্বারস্বিত ও বেগবান হবে।

জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ইশরাত জাহানের অফিসে গিয়ে না পাওয়ায় তার মুঠোফোনে অর্ধশতাধিকবার ফোন দিলেও রিসিভ হয়নি। এমনকি ফেরত ফোনও পাওয়া যায়নি। যার কারণে এই বিষয়ে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।#

আপলোডকারীর তথ্য

রাণীনগর মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অফিস সহকারির খুটির জোড় কোথায়<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ০১:১৮:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অক্টোবর ২০২০

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ২৬ অক্টোবর ২০২০ :

গ্রাম পর্যায়ে নির্যাতিত, অবহেলিত, পিছিয়ে পড়া নারীদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে ও এগিয়ে নিয়ে আসার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে আসছে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর। কিন্তু এই কর্মকর্তার কার্যালয় নিয়ন্ত্রণ করছে অফিসের প্রভাবশালী অফিস সহকারি। ২০ বছর ধরে একই ষ্টেশনে কিভাবে চাকরি করছেন তা নিয়ে স্থানীয় জনমনে নানা প্রশ্নের উদয় হয়েছে। তার খুটির জোড় কোথায় তা খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

ওই অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ উত্থাপন করে তাকে অন্যত্র বদলীর জন্য উর্ধতন কর্মকর্তার নিকট লিখিত আবেদন জানানোর এক বছরেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা খোন্দকার মাক্বামাম মাহমুদা ২০১৯ সালের ১৪ আগস্ট ওই অফিস সহকারির বদলি চেয়ে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও নওগাঁর উপ-পরিচালক বরাবর একটি আবেদন করেন। যার স্মারক নং উমবিককা/রাণীনগর/নওগাঁ/১৫। ওই আবেদনে উল্লেখ করা হয়, অফিস সহকারিকে কোনো কাজ দিলে কাজটি দীর্ঘ সূত্রিতার মতো জটিল অবস্থার সৃষ্টি করে। সে নিজে কম্পিউটারের কাজ জানে না বিধায় অধিদপ্তরসহ সব জায়গায় রিপোর্ট প্রেরণে বিলম্ব ঘটিয়ে অনাঙ্খিত পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। প্রশিক্ষাণার্থী মেয়েসহ অনেকের সঙ্গেই দুর্ব্যবহার করে। এমনকি কর্মকর্তার সঙ্গেও সে উচ্চস্বরে কথা বলে যা সরকারী কর্মচারী শৃঙ্খলার পরিপন্থি। তাকে নিষেধ করা সত্ত্বেও প্রচণ্ড বাজেভাবে কথাবার্তা বলে। অফিসের সব তথ্য বাহিরে প্রচার করে দেয়। সে দীর্ঘদিন যাবত একই কর্মস্থলে থাকার সুবাদে ভাতাভোগীদের (বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, ভাতা কার্যক্রমের), ইউপি সদস্যসহ বিভিন্ন জনের সঙ্গে যোগাযোগ পূর্বক নিয়মনীতি বহির্ভুত তালিকা প্রস্তুত করে। ওই বিষয়গুলোসহ ওই কর্মচারীর বিষয়ে আবেদনে মোট ৭টি বিষয় উল্লেখ্য করা হয়। যাবতীয় বিষয়াদি জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে অবহিত করার বিষয়টিও ওই কর্মকর্তা আবেদনে উল্লেখ্য করেন।

ওই কর্মকর্তা বলেন, এই ধরনের প্রভাবশালী কর্মচারী সরকারের এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি অফিসের জন্য হুমকিস্বরূপ। এই সব কর্মচারী দ্বারা সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডসহ সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। তাই এই কর্মচারীদের একটি অফিসে দীর্ঘদিন রাখা উচিত নয় বলে আমি মনে করি। এতে করে সরকারি কর্মকাণ্ডগুলো আরো ত্বারস্বিত ও বেগবান হবে।

জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ইশরাত জাহানের অফিসে গিয়ে না পাওয়ায় তার মুঠোফোনে অর্ধশতাধিকবার ফোন দিলেও রিসিভ হয়নি। এমনকি ফেরত ফোনও পাওয়া যায়নি। যার কারণে এই বিষয়ে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।#