নওগাঁ ০৮:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

রাণীনগরে চাকরি দেয়ার নামে নয় লাখ টাকা ঘুষের তদন্ত অনুষ্ঠিত

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ :

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা কৃষি অফিসে কমর্রত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেয়ার নাম করে ৯ লাখ ১৫ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগের বিষয়ে সোমবার সকালে সরেজমিনে তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আত্রাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কে এম কাউসার হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম এই তদন্ত করেন।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের ২৩ জানুয়ারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইডে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদে মোট ১৬৫০ জন লোক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ওই বিজ্ঞপ্তির আলোকে জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার যোগীভিটা গ্রামের রফিকুল আলম আকন্দের ছেলে নাছিমুজ্জামান আবেদন করেন।

রপর ওই পদে চাকুরী দেয়ার কথা বলে ভাইভা পরীক্ষার আগে ও পরে দফায় দফায় চেকের মাধ্যমে এবং নগদসহ মোট ৯ লাখ ১৫ হাজার টাকা ঘুষ নেন নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা কৃষি অফিসে কমর্রত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন।

কিন্তু সেই পদে নাসিমুজ্জামানের চাকরি না হওয়ায় আনোয়ারের কাছ থেকে টাকা ফেরত চাইলে টাকা ফেরত না দিয়ে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিয়ে ভয়ভীতি দেখায়।

অবশেষে টাকা ফেরত পেতে ও সুষ্ঠু প্রতিকার চেয়ে গত ১৭ আগষ্ট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রাজশাহী অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৫ সেপ্টেম্বর নওগাঁর আত্রাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কেএম কাওছার হোসেনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

ভুক্তভোগী নাছিমুজ্জামান জানান, “আমার এক বন্ধু রাণীনগর উপজেলা কৃষি অফিসে চাকরি করেন। তার মাধ্যমে পরিচয় ঘটে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনের সাথে। তিনি আমাকে চাকরি দেয়ার নাম করে টাকা নেন। চাকরি মা হওয়ায় টাকা ফেরৎ না দিয়ে হুমকি দিচ্ছে।”

অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, তদন্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নওগাঁ উপ-পরিচালক বরাবর পাঠানো হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁর উপ-পরিচালক ছামছুল ওয়াদুদ বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন আংশিক হাতে পেয়েছি। পুরো কাগজপত্র হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#

আপলোডকারীর তথ্য

রাণীনগরে চাকরি দেয়ার নামে নয় লাখ টাকা ঘুষের তদন্ত অনুষ্ঠিত

প্রকাশের সময় : ০১:৪১:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ :

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা কৃষি অফিসে কমর্রত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেয়ার নাম করে ৯ লাখ ১৫ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগের বিষয়ে সোমবার সকালে সরেজমিনে তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আত্রাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কে এম কাউসার হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম এই তদন্ত করেন।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের ২৩ জানুয়ারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইডে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদে মোট ১৬৫০ জন লোক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ওই বিজ্ঞপ্তির আলোকে জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার যোগীভিটা গ্রামের রফিকুল আলম আকন্দের ছেলে নাছিমুজ্জামান আবেদন করেন।

রপর ওই পদে চাকুরী দেয়ার কথা বলে ভাইভা পরীক্ষার আগে ও পরে দফায় দফায় চেকের মাধ্যমে এবং নগদসহ মোট ৯ লাখ ১৫ হাজার টাকা ঘুষ নেন নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা কৃষি অফিসে কমর্রত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন।

কিন্তু সেই পদে নাসিমুজ্জামানের চাকরি না হওয়ায় আনোয়ারের কাছ থেকে টাকা ফেরত চাইলে টাকা ফেরত না দিয়ে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিয়ে ভয়ভীতি দেখায়।

অবশেষে টাকা ফেরত পেতে ও সুষ্ঠু প্রতিকার চেয়ে গত ১৭ আগষ্ট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রাজশাহী অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৫ সেপ্টেম্বর নওগাঁর আত্রাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কেএম কাওছার হোসেনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

ভুক্তভোগী নাছিমুজ্জামান জানান, “আমার এক বন্ধু রাণীনগর উপজেলা কৃষি অফিসে চাকরি করেন। তার মাধ্যমে পরিচয় ঘটে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনের সাথে। তিনি আমাকে চাকরি দেয়ার নাম করে টাকা নেন। চাকরি মা হওয়ায় টাকা ফেরৎ না দিয়ে হুমকি দিচ্ছে।”

অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, তদন্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নওগাঁ উপ-পরিচালক বরাবর পাঠানো হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁর উপ-পরিচালক ছামছুল ওয়াদুদ বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন আংশিক হাতে পেয়েছি। পুরো কাগজপত্র হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#