নওগাঁ ০৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

রাণীনগরে ৪০ দিনের কর্মসূচী : দেড় মাস কাজ করেও মজুরি নেই<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ২৪ মার্চ ২০২২ :

নওগাঁর রাণীনগরে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন ৪০ দিনের কর্মসূচি প্রকল্পের আওতায় কাজ করে গত একমাস ধরে মজুরি পাননি অতি দরিদ্র শ্রমিকরা। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা। শ্রমিকরা বলছেন, চাল কিনতে না পারায় অনেকেই দুপুরের খাবার পর্যন্ত নিয়ে আসতে পারছেন না। পরিবার নিয়ে খেয়ে না খেয়ে কোন রকমে দিন কাটছে তাদের।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্র জানায়, অতি দরিদ্রদের জন্য ২০২১-২০২২ অর্থবছরে কর্মসৃজন প্রকল্পের প্রথম ধাপে কাজ করার জন্য উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৪০টি প্রকল্পের কাজ হাতে নেয়া হয়। এসব কাজ শেষ করতে ৯৭৩ জন অতি দরিদ্র শ্রমিক নিয়োগ করা হয়। প্রতিজন শ্রমিকের মজুরি নির্ধারণ করা হয় ৪০০ টাকা। গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতিটি ইউনিয়নে কাজ শুরু হয়েছে। শ্রমিকরা বলছেন শুরু থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত দেড় মাস ধরে কাজ করেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত এক টাকাও মজুরি পাননি।

কালীগ্রাম ইউনিয়নে কর্মরত শ্রমিক ঝরণা বিবি জানান, প্রতিবেশির কাছ থেকে দুই কেজি চাল ধার নিয়ে সন্তানদের মুখে খাবার দিয়েছি। কিন্তু নিজের খাবার না থাকায় কাজ করতে এসে দলের শ্রমিকদের খাবার থেকে আমাকে খাবার দিয়েছে।

শ্রমিক জাহের আলী জানান, সংসারের চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন এনজিও থেকে কিস্তির ঋণ নিয়েছি। প্রতি সপ্তাহে কিস্তি দিতে হয়। কিন্তু কাজের মজুরি না পেয়ে এনজিওর কিস্তি আর সংসার পরিচালনা করতে পারছিনা। অনেকেই খাবার ভাগা-ভাগী করে খাচ্ছেন।

কালীগ্রাম ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের শ্রমিক দলের সরদার আবুল কালাম আজাদ জানান, তার দলে ৩৮জন অতি দরিদ্র শ্রমিক রয়েছেন। কেউই মজুরি পাননি। ফলে অনেকেই চাল কিনতে না পেরে দুপুরের খাবার পর্যন্ত নিয়ে আসতে পারছেন না। তিনি আরো বলেন, একদিকে বাজার দরে হাহাকার, অন্য দিকে কাজ করে মজুরি না পাওয়ায় ঘোর বিপদে পড়েছেন শ্রমিকরা।

খট্রেশ্বর রাণীনগর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের লেবার সরদার শফিকুল ইসলাম ধলু বলেন, তার দলে ২৫জন শ্রমিক রয়েছেন। মঙ্গলবার (২২ মার্চ) কিছু শ্রমিক টাকা পেলেও তিনিসহ অনেক শ্রমিক টাকা পাননি।

একডালা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের লেবার সরদার রইচ উদ্দীন বলেন, তার দলে ৩১ জন শ্রমিক রয়েছেন। তারাও একটি টাকাও পাননি।

উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদি হাসান বলেন, কিছু সমস্যার কারনে টাকা পেতে দেরি হয়েছে। ইতোমধ্যে কিছু শ্রমিক টাকা পেতে শুরু করেছেন। দুএক দিনের মধ্যেই সব শ্রমিক টাকা পেয়ে যাবেন।#

আপলোডকারীর তথ্য

রাণীনগরে ৪০ দিনের কর্মসূচী : দেড় মাস কাজ করেও মজুরি নেই<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ০৫:১০:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ ২০২২

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ২৪ মার্চ ২০২২ :

নওগাঁর রাণীনগরে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন ৪০ দিনের কর্মসূচি প্রকল্পের আওতায় কাজ করে গত একমাস ধরে মজুরি পাননি অতি দরিদ্র শ্রমিকরা। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা। শ্রমিকরা বলছেন, চাল কিনতে না পারায় অনেকেই দুপুরের খাবার পর্যন্ত নিয়ে আসতে পারছেন না। পরিবার নিয়ে খেয়ে না খেয়ে কোন রকমে দিন কাটছে তাদের।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্র জানায়, অতি দরিদ্রদের জন্য ২০২১-২০২২ অর্থবছরে কর্মসৃজন প্রকল্পের প্রথম ধাপে কাজ করার জন্য উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৪০টি প্রকল্পের কাজ হাতে নেয়া হয়। এসব কাজ শেষ করতে ৯৭৩ জন অতি দরিদ্র শ্রমিক নিয়োগ করা হয়। প্রতিজন শ্রমিকের মজুরি নির্ধারণ করা হয় ৪০০ টাকা। গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতিটি ইউনিয়নে কাজ শুরু হয়েছে। শ্রমিকরা বলছেন শুরু থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত দেড় মাস ধরে কাজ করেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত এক টাকাও মজুরি পাননি।

কালীগ্রাম ইউনিয়নে কর্মরত শ্রমিক ঝরণা বিবি জানান, প্রতিবেশির কাছ থেকে দুই কেজি চাল ধার নিয়ে সন্তানদের মুখে খাবার দিয়েছি। কিন্তু নিজের খাবার না থাকায় কাজ করতে এসে দলের শ্রমিকদের খাবার থেকে আমাকে খাবার দিয়েছে।

শ্রমিক জাহের আলী জানান, সংসারের চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন এনজিও থেকে কিস্তির ঋণ নিয়েছি। প্রতি সপ্তাহে কিস্তি দিতে হয়। কিন্তু কাজের মজুরি না পেয়ে এনজিওর কিস্তি আর সংসার পরিচালনা করতে পারছিনা। অনেকেই খাবার ভাগা-ভাগী করে খাচ্ছেন।

কালীগ্রাম ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের শ্রমিক দলের সরদার আবুল কালাম আজাদ জানান, তার দলে ৩৮জন অতি দরিদ্র শ্রমিক রয়েছেন। কেউই মজুরি পাননি। ফলে অনেকেই চাল কিনতে না পেরে দুপুরের খাবার পর্যন্ত নিয়ে আসতে পারছেন না। তিনি আরো বলেন, একদিকে বাজার দরে হাহাকার, অন্য দিকে কাজ করে মজুরি না পাওয়ায় ঘোর বিপদে পড়েছেন শ্রমিকরা।

খট্রেশ্বর রাণীনগর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের লেবার সরদার শফিকুল ইসলাম ধলু বলেন, তার দলে ২৫জন শ্রমিক রয়েছেন। মঙ্গলবার (২২ মার্চ) কিছু শ্রমিক টাকা পেলেও তিনিসহ অনেক শ্রমিক টাকা পাননি।

একডালা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের লেবার সরদার রইচ উদ্দীন বলেন, তার দলে ৩১ জন শ্রমিক রয়েছেন। তারাও একটি টাকাও পাননি।

উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদি হাসান বলেন, কিছু সমস্যার কারনে টাকা পেতে দেরি হয়েছে। ইতোমধ্যে কিছু শ্রমিক টাকা পেতে শুরু করেছেন। দুএক দিনের মধ্যেই সব শ্রমিক টাকা পেয়ে যাবেন।#