নওগাঁ ০৩:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

আত্রাইয়ে জমে উঠেছে নৌকার হাট<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, রওশন আরা পারভীন শিলা, আত্রাই (নওগাঁ), ৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ :

নওগাঁর আত্রাই উপজেলার নদ-নদী ও খাল বিল বন্যায় ডুবে যাওয়ায় ঐতিহ্যবাহী বিশা ইউনিয়নের সমসপাড়া হাটে নৌকা বিক্রির ধুম পড়েছে। এলাকার পানিবন্দী গ্রাম গুলোর মানুষের চলাচল ও অবসর সময়ে বিলে মাছ ধরার জন্য নৌকার কদর বেড়েছে। সমসপাড়ায় সপ্তাহে শুক্রবার ও সোমবার হাটবারে বিক্রি হচ্ছে অসংখ্য নৌকা।

কয়েক সপ্তাহ ধরে লাগাতর বৃষ্টিপাত হওয়ায় ও উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে আত্রাই নদী ফুঁসে উঠেছে। সেই সাথে বিভিন্ন স্লুইচগেট দিয়ে বন্যার পানি নদী, খাল, বিলে প্রবেশ করায় এবং রক্তদহ বিলের পানিতে উপজেলার পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের মাঠগুলো এখন পানিতে থৈ থৈ করছে। কয়েক দিনের প্রবল বৃষ্টিপাতে উপজেলার বিশা, কালিকাপুর, হাটকালুপাড়া, পাঁচুপুর, ভোঁপাড়া ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রামের মানষ এখন পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। এসব এলাকার মানুষের চলাচলের একমাত্র বাহন নৌকার বিকল্প নেই। এছাড়া খাল বিল, নদী, নালা, ফসলের মাঠ বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় কৃষকদের চলছে অবসর সময় পার করার পালা। তাই এ অবসর সময়ে উন্মুক্ত মাঠে মাছ শিকারের জন্য নৌকা কিনছেন।

নৌকা কিনে একদিকে সুফল পাচ্ছেন এলাকার পানি বন্দী মানুষ। অপর দিকে নৌকা তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন অনেক কারিগর। কারিগররা শুস্ক মৌসুমে কাজের অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করেছেন। এখন তাদের কাজে ফিরেছে প্রাণচাঞ্চল্যতা। হাঁসি ফুটেছে কারিগর পরিবারে।

সমসপাড়া হাটে নৌকা বিক্রি করতে আসা উপজেলার পারমোহনঘোষ গ্রামের আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা কৃষক মানুষ। বর্ষায় আমাদের মাঠ ডুবে যাওয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়েছি। বিভিন্ন গ্রামে নৌকার চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা নৌকা বিক্রির পেশায় নিয়োজিত হয়েছি। বর্তমানে কাঠ-বাঁশ, লোহার দাম ও মিস্ত্রির মজুরী বেশি হওয়ায় খুব বেশি লাভ না হলেও যা হয় তা দিয়ে সংসারের হাট-বাজার করা চলে। শুধু আত্রাই নয় পার্শ্ববতী রাণীনগর, নাটোরের সিংড়া ও চলনবিল এলাকার লোকজনও এ হাট থেকে আমাদের নৌকা কেনেন।

নৌকা কিনতে আসা খরসতি গ্রামের শাহিন বলেন, ‘আমরা র্বষা মৌসুমে মাঠে মাছ শিকার ও চলাচলের জন্য নৌকা কিনি। এ সময় নৌকাই আমাদের একমাত্র বাহন।’

সমসপাড়া হাটের ইজারাদার আবদুল মান্নান মোল্ল্যার প্রতিনিধি সোহেল রানা জানান, প্রতিবছরের মত এ বছরও স্বাভাবিকভাবেই নৌকা প্রতি একশ থেকে দেড়শ টাকা করে খাজনা আদায় করা হয়। আগের বছরের তুলনায় খাজনার পরিমাণ বাড়ানো হয়নি। এই ঐতিহ্যবাহী নৌকার হাটের সরকারী ডাক বাড়লেও ক্রেতা বিক্রেতাদের সুবিধার্থে খাজনা বাড়েনি।#

আপলোডকারীর তথ্য

আত্রাইয়ে জমে উঠেছে নৌকার হাট<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ০৩:০৭:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, রওশন আরা পারভীন শিলা, আত্রাই (নওগাঁ), ৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ :

নওগাঁর আত্রাই উপজেলার নদ-নদী ও খাল বিল বন্যায় ডুবে যাওয়ায় ঐতিহ্যবাহী বিশা ইউনিয়নের সমসপাড়া হাটে নৌকা বিক্রির ধুম পড়েছে। এলাকার পানিবন্দী গ্রাম গুলোর মানুষের চলাচল ও অবসর সময়ে বিলে মাছ ধরার জন্য নৌকার কদর বেড়েছে। সমসপাড়ায় সপ্তাহে শুক্রবার ও সোমবার হাটবারে বিক্রি হচ্ছে অসংখ্য নৌকা।

কয়েক সপ্তাহ ধরে লাগাতর বৃষ্টিপাত হওয়ায় ও উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে আত্রাই নদী ফুঁসে উঠেছে। সেই সাথে বিভিন্ন স্লুইচগেট দিয়ে বন্যার পানি নদী, খাল, বিলে প্রবেশ করায় এবং রক্তদহ বিলের পানিতে উপজেলার পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের মাঠগুলো এখন পানিতে থৈ থৈ করছে। কয়েক দিনের প্রবল বৃষ্টিপাতে উপজেলার বিশা, কালিকাপুর, হাটকালুপাড়া, পাঁচুপুর, ভোঁপাড়া ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রামের মানষ এখন পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। এসব এলাকার মানুষের চলাচলের একমাত্র বাহন নৌকার বিকল্প নেই। এছাড়া খাল বিল, নদী, নালা, ফসলের মাঠ বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় কৃষকদের চলছে অবসর সময় পার করার পালা। তাই এ অবসর সময়ে উন্মুক্ত মাঠে মাছ শিকারের জন্য নৌকা কিনছেন।

নৌকা কিনে একদিকে সুফল পাচ্ছেন এলাকার পানি বন্দী মানুষ। অপর দিকে নৌকা তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন অনেক কারিগর। কারিগররা শুস্ক মৌসুমে কাজের অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করেছেন। এখন তাদের কাজে ফিরেছে প্রাণচাঞ্চল্যতা। হাঁসি ফুটেছে কারিগর পরিবারে।

সমসপাড়া হাটে নৌকা বিক্রি করতে আসা উপজেলার পারমোহনঘোষ গ্রামের আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা কৃষক মানুষ। বর্ষায় আমাদের মাঠ ডুবে যাওয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়েছি। বিভিন্ন গ্রামে নৌকার চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা নৌকা বিক্রির পেশায় নিয়োজিত হয়েছি। বর্তমানে কাঠ-বাঁশ, লোহার দাম ও মিস্ত্রির মজুরী বেশি হওয়ায় খুব বেশি লাভ না হলেও যা হয় তা দিয়ে সংসারের হাট-বাজার করা চলে। শুধু আত্রাই নয় পার্শ্ববতী রাণীনগর, নাটোরের সিংড়া ও চলনবিল এলাকার লোকজনও এ হাট থেকে আমাদের নৌকা কেনেন।

নৌকা কিনতে আসা খরসতি গ্রামের শাহিন বলেন, ‘আমরা র্বষা মৌসুমে মাঠে মাছ শিকার ও চলাচলের জন্য নৌকা কিনি। এ সময় নৌকাই আমাদের একমাত্র বাহন।’

সমসপাড়া হাটের ইজারাদার আবদুল মান্নান মোল্ল্যার প্রতিনিধি সোহেল রানা জানান, প্রতিবছরের মত এ বছরও স্বাভাবিকভাবেই নৌকা প্রতি একশ থেকে দেড়শ টাকা করে খাজনা আদায় করা হয়। আগের বছরের তুলনায় খাজনার পরিমাণ বাড়ানো হয়নি। এই ঐতিহ্যবাহী নৌকার হাটের সরকারী ডাক বাড়লেও ক্রেতা বিক্রেতাদের সুবিধার্থে খাজনা বাড়েনি।#