নওগাঁ ০৩:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

নওগাঁয় দেশী মাছের উৎপাদন বেড়েছে<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ২৯ আগস্ট ২০২১ :

চলতি বছর নওগাঁয় দেশী মাছের উৎপাদন বেড়েছে বেড়েছে তিন হাজার মেট্রিক টন। তবে চাষ করা মাছের দানাদার খাবারের দাম বেশি হওয়ায় কাঙ্খিত লভ্যাংশ পাচ্ছেন না চাষীরা।

জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, নওগাঁয় পুকুর বা দিঘি রয়েছে ৪৭ হাজার ৩২৬টি। আয়তন ১২ হাজার ৮৪৯ দশমিক ৯০ হেক্টর। এছাড়া উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছ চাষের আয়তন ৩৪ হাজার ৯০০ দশমিক ৮৫ হেক্টর।

এ বছর জেলায় বদ্ধ ও উন্মুক্ত জলাশয়ে ৮৩ হাজার ৬০৯ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়েছে। বছর উৎপাদন হয়েছিল ৮০ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন। সেই হিসেবে এ বছর তিন হাজার ৯ মেট্রিক টন বেশি মাছ উদপাদন হয়েছে।

জেলায় মাছের চাহিদা রয়েছে ৬১ হাজার ২১০ মেট্রিক টন। উদ্বৃত্ত ২২ হাজার ৩৯৯ মেট্রিক টন মাছ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়।

নিচু এলাকা হিসেবে পরিচিত জেলার আত্রাই ও রাণীনগর উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে আত্রাই নদী। এ দুই উপজেলার মৎস্যজীবীরা আত্রাই নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন।এ নদীতে দেশীয় প্রজাতির শিং, মাগুর, কৈ, পুঁটি, খলিশাসহ অন্য মাছ পাওয়া যায়।

দেশীয় মাছকে কেন্দ্র করে আত্রাই উপজেলার আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের পাশে ভরতেঁতুলিয়া শুকটি পল্লী গড়ে ওঠেছে। এখানকার শুটকি রাজধানী ঢাকাসহ উত্তরাঞ্চলের রংপুর, নিলফামারী, সৈয়দপুর, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুরসহ দেশের ২০টি জেলায় সরবরাহ হয়ে থাকে।

বদলগাছী উপজেলার কাস্টোডোব গ্রামের মাছচাষী রমজান আলী বলেন, ‘এক বিঘা পরিমাণ পুকুর ইজারা নিয়ে গত তিন বছর থেকে শিং ও টেংরা এবং রুই, মৃগেল ও কাতলা চাষ করছি। দেড় বছর আগে কোয়ালিটি ফিডের দাম ছিল প্রতিবস্তা ৯০০-১০০০ টাকা। বর্তমানে সেই ফিডের দাম বেড়ে হয়েছে ১২৮০-১৩০০ টাকা। এতে দানাদার খাবারে প্রতিমাসে ছয়-সাত হাজার টাকা বেশি খরচ হচ্ছে। মৎস্য খামারিদের বাঁচাতে দানাদার খাবারের দাম কমানোর দরকার।’

একই উপজেলার কাশিমালা গ্রামের চঞ্চল হোসেন বলেন, ‘দেশীয় প্রজাতির মাছের চাহিদা মিটাতে হ্যাচারী করেছি। শিং, টেংরা, পাবদা, গুচি ও পুঁটিসহ অন্য প্রজাতির রেনু সরবরাহ করি। প্রতিমাসে ২০০-৩০০ কেজি দেশীয় মাছের রেনু বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করি। তবে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ করা সম্ভব হয় না।’
নওগাঁ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ফিরোজ আহম্মেদ বলেন, ‘চলতি অর্থবছরে সরকার আমদানি শুষ্ক কমিয়েছে। এটা বাস্তবায়ন হলে মাছের খাবারের দাম কমবে।’

‘বেশি বেশি মাছ চাষ করি, বেকারত্ব দূর করি’ স্লোগানে নওগাঁয় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষ্যে শনিবার (২৮ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা মৎস্য অফিসের সভাকক্ষে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। জেলা মৎস্য কর্মকর্তার সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইব্রাহিম।#

আপলোডকারীর তথ্য

নওগাঁয় দেশী মাছের উৎপাদন বেড়েছে<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ১১:৩৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২১
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ২৯ আগস্ট ২০২১ :

চলতি বছর নওগাঁয় দেশী মাছের উৎপাদন বেড়েছে বেড়েছে তিন হাজার মেট্রিক টন। তবে চাষ করা মাছের দানাদার খাবারের দাম বেশি হওয়ায় কাঙ্খিত লভ্যাংশ পাচ্ছেন না চাষীরা।

জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, নওগাঁয় পুকুর বা দিঘি রয়েছে ৪৭ হাজার ৩২৬টি। আয়তন ১২ হাজার ৮৪৯ দশমিক ৯০ হেক্টর। এছাড়া উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছ চাষের আয়তন ৩৪ হাজার ৯০০ দশমিক ৮৫ হেক্টর।

এ বছর জেলায় বদ্ধ ও উন্মুক্ত জলাশয়ে ৮৩ হাজার ৬০৯ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়েছে। বছর উৎপাদন হয়েছিল ৮০ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন। সেই হিসেবে এ বছর তিন হাজার ৯ মেট্রিক টন বেশি মাছ উদপাদন হয়েছে।

জেলায় মাছের চাহিদা রয়েছে ৬১ হাজার ২১০ মেট্রিক টন। উদ্বৃত্ত ২২ হাজার ৩৯৯ মেট্রিক টন মাছ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়।

নিচু এলাকা হিসেবে পরিচিত জেলার আত্রাই ও রাণীনগর উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে আত্রাই নদী। এ দুই উপজেলার মৎস্যজীবীরা আত্রাই নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন।এ নদীতে দেশীয় প্রজাতির শিং, মাগুর, কৈ, পুঁটি, খলিশাসহ অন্য মাছ পাওয়া যায়।

দেশীয় মাছকে কেন্দ্র করে আত্রাই উপজেলার আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের পাশে ভরতেঁতুলিয়া শুকটি পল্লী গড়ে ওঠেছে। এখানকার শুটকি রাজধানী ঢাকাসহ উত্তরাঞ্চলের রংপুর, নিলফামারী, সৈয়দপুর, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুরসহ দেশের ২০টি জেলায় সরবরাহ হয়ে থাকে।

বদলগাছী উপজেলার কাস্টোডোব গ্রামের মাছচাষী রমজান আলী বলেন, ‘এক বিঘা পরিমাণ পুকুর ইজারা নিয়ে গত তিন বছর থেকে শিং ও টেংরা এবং রুই, মৃগেল ও কাতলা চাষ করছি। দেড় বছর আগে কোয়ালিটি ফিডের দাম ছিল প্রতিবস্তা ৯০০-১০০০ টাকা। বর্তমানে সেই ফিডের দাম বেড়ে হয়েছে ১২৮০-১৩০০ টাকা। এতে দানাদার খাবারে প্রতিমাসে ছয়-সাত হাজার টাকা বেশি খরচ হচ্ছে। মৎস্য খামারিদের বাঁচাতে দানাদার খাবারের দাম কমানোর দরকার।’

একই উপজেলার কাশিমালা গ্রামের চঞ্চল হোসেন বলেন, ‘দেশীয় প্রজাতির মাছের চাহিদা মিটাতে হ্যাচারী করেছি। শিং, টেংরা, পাবদা, গুচি ও পুঁটিসহ অন্য প্রজাতির রেনু সরবরাহ করি। প্রতিমাসে ২০০-৩০০ কেজি দেশীয় মাছের রেনু বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করি। তবে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ করা সম্ভব হয় না।’
নওগাঁ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ফিরোজ আহম্মেদ বলেন, ‘চলতি অর্থবছরে সরকার আমদানি শুষ্ক কমিয়েছে। এটা বাস্তবায়ন হলে মাছের খাবারের দাম কমবে।’

‘বেশি বেশি মাছ চাষ করি, বেকারত্ব দূর করি’ স্লোগানে নওগাঁয় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষ্যে শনিবার (২৮ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা মৎস্য অফিসের সভাকক্ষে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। জেলা মৎস্য কর্মকর্তার সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইব্রাহিম।#