নওগাঁ ০৪:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

করোনার সংক্রমন বাড়ার ঝুকিতে জয়পুরহাট : স্বাস্থ্যবিধি মানছেননা অধিকাংশ (ভিডিও)<<জয়পুরহাট দর্পণ>>

জয়পুরহাট দর্পন, জয়পুরহাট, ১২ আগস্ট ২০২১ : জয়পুরহাট রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীদের ভীড়। স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই-------ছবি : কাজী সান

Spread the love

জয়পুরহাট দর্পন, জয়পুরহাট থেকে কাজী সান ও মো: ফিরোজ, ১২ আগস্ট ২০২১ :

লকডাউন শিথিল হতেই জয়পুরহাটে মানুষের চলাফেরা বেড়ে গেছে। শহরের রাস্তা গুলো যানবাহন ও মানুষের চাপে যানজট লেগেই থাকছে। মার্কেট ও সব রকম দোকান খোলাতে মানুষের আনাগনা বেড়েছে কিন্তু কেউ সঠিক ভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানছেননা। ভারতীয় বর্ডার সংলগ্ন এই জেলায় করোনার ডেল্টা সংক্রমন বাড়ার আশংকা করছেন অভিজ্ঞ মহল।

যাত্রী বহনকারী বাসগুলো সিট সংখ্যার চেয়ে বেশি যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। জয়পুরহাট থেকে বিভিন্ন রুটের বাসগুলো বিশেষ করে হিলি রুটের বাসগুলো অতিরিক্ত যাত্রী বহনে ভারতের করোনার ডেল্টা ভাইরাসের সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেক বেশি। জয়পুরহাট জেলা সদর থেকে হিলি স্থলবন্দর মাত্র ২৬ কিলোমিটার দূরে।

জয়পুরহাট রেলওয়ে স্টেশনে দেখা যায় যাত্রী সমাগম অনেক বেশি। ট্রেনের জন্য অপেক্ষারত যাত্রীরা সামাজিক দূরত্ব মানছেননা। বেশিরভাগ যাত্রী মাস্ক ব্যবহার করছেননা। স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন।

এব্যাপারে কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা চেষ্টা করছি, বারবার মাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য সামাজিক দূরত্ব বাজায় রাখার জন্য। কিন্তু কেউ মানছেন, আবার কেউ মানছেননা।

জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, লোকজন বেশি ভাগই মাস্ক ব্যবহার করছেননা। চায়ের দোকানে, প্রতিটি মোড়ে সামাজিক দূরত্ব না মেনে জটলা করে আড্ডা দিচ্ছেন। কারো কাছে মাস্ক আছে, আবার কারো কাছে মাস্কই নেই।

স্বাস্থ্যবিধি না মানার ব্যাপারে সিনিয়র ডা: আলহাজ্ব কাজী এ, এইচ মোস্তফা কামালের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে করোনা রোগী চিকিৎসার জন্য গ্রাম থেকে শহরে আসছেন। কিন্তু হাসপাতালগুলোতে বেড সংকট, আইসিইউ সংকট। ফলে করোনা আক্রান্ত অনেক রোগী ইচ্ছা থাকলেও সুচিকিৎসা পাচ্ছেননা। আমরা একটা খারাপ অবস্থার মধ্যে আছি। যদি সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি না মানা হয়, তবে অবস্থা আরো খারাপ হবে।’

তিনি বলেন, ‘জয়পুরহাট বর্ডার সংলগ্ন হওয়ায় ডেল্টা ঝুকি বেশি এবং এই ভাইরাস খুব দ্রুত একজনের থেকে ৪/৫ জনের মাঝে ছড়িয়ে পরে। তাই সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাহির যাওয়া যাবেনা। বাহিরে গেলে ফিরে আগে হাত স্যানিটাইজার বা সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। সম্ভব হলে পরিহিত জামা কাপড় ধুয়ে ফেলতে হবে। এব্যাপারে আমাদের সচেতন হতে হবে।’ প্রচারনা বাড়ানোসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহন না করলে যেভাবে জনসাধারণ চলছেন তাতে আরো খারাপ অবস্থা হতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।#

আপলোডকারীর তথ্য

করোনার সংক্রমন বাড়ার ঝুকিতে জয়পুরহাট : স্বাস্থ্যবিধি মানছেননা অধিকাংশ (ভিডিও)<<জয়পুরহাট দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ০৫:২৩:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অগাস্ট ২০২১
Spread the love

জয়পুরহাট দর্পন, জয়পুরহাট থেকে কাজী সান ও মো: ফিরোজ, ১২ আগস্ট ২০২১ :

লকডাউন শিথিল হতেই জয়পুরহাটে মানুষের চলাফেরা বেড়ে গেছে। শহরের রাস্তা গুলো যানবাহন ও মানুষের চাপে যানজট লেগেই থাকছে। মার্কেট ও সব রকম দোকান খোলাতে মানুষের আনাগনা বেড়েছে কিন্তু কেউ সঠিক ভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানছেননা। ভারতীয় বর্ডার সংলগ্ন এই জেলায় করোনার ডেল্টা সংক্রমন বাড়ার আশংকা করছেন অভিজ্ঞ মহল।

যাত্রী বহনকারী বাসগুলো সিট সংখ্যার চেয়ে বেশি যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। জয়পুরহাট থেকে বিভিন্ন রুটের বাসগুলো বিশেষ করে হিলি রুটের বাসগুলো অতিরিক্ত যাত্রী বহনে ভারতের করোনার ডেল্টা ভাইরাসের সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেক বেশি। জয়পুরহাট জেলা সদর থেকে হিলি স্থলবন্দর মাত্র ২৬ কিলোমিটার দূরে।

জয়পুরহাট রেলওয়ে স্টেশনে দেখা যায় যাত্রী সমাগম অনেক বেশি। ট্রেনের জন্য অপেক্ষারত যাত্রীরা সামাজিক দূরত্ব মানছেননা। বেশিরভাগ যাত্রী মাস্ক ব্যবহার করছেননা। স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন।

এব্যাপারে কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা চেষ্টা করছি, বারবার মাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য সামাজিক দূরত্ব বাজায় রাখার জন্য। কিন্তু কেউ মানছেন, আবার কেউ মানছেননা।

জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, লোকজন বেশি ভাগই মাস্ক ব্যবহার করছেননা। চায়ের দোকানে, প্রতিটি মোড়ে সামাজিক দূরত্ব না মেনে জটলা করে আড্ডা দিচ্ছেন। কারো কাছে মাস্ক আছে, আবার কারো কাছে মাস্কই নেই।

স্বাস্থ্যবিধি না মানার ব্যাপারে সিনিয়র ডা: আলহাজ্ব কাজী এ, এইচ মোস্তফা কামালের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে করোনা রোগী চিকিৎসার জন্য গ্রাম থেকে শহরে আসছেন। কিন্তু হাসপাতালগুলোতে বেড সংকট, আইসিইউ সংকট। ফলে করোনা আক্রান্ত অনেক রোগী ইচ্ছা থাকলেও সুচিকিৎসা পাচ্ছেননা। আমরা একটা খারাপ অবস্থার মধ্যে আছি। যদি সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি না মানা হয়, তবে অবস্থা আরো খারাপ হবে।’

তিনি বলেন, ‘জয়পুরহাট বর্ডার সংলগ্ন হওয়ায় ডেল্টা ঝুকি বেশি এবং এই ভাইরাস খুব দ্রুত একজনের থেকে ৪/৫ জনের মাঝে ছড়িয়ে পরে। তাই সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাহির যাওয়া যাবেনা। বাহিরে গেলে ফিরে আগে হাত স্যানিটাইজার বা সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। সম্ভব হলে পরিহিত জামা কাপড় ধুয়ে ফেলতে হবে। এব্যাপারে আমাদের সচেতন হতে হবে।’ প্রচারনা বাড়ানোসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহন না করলে যেভাবে জনসাধারণ চলছেন তাতে আরো খারাপ অবস্থা হতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।#