নওগাঁ ১২:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

নওগাঁয় শুরু হয়েছে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ (ভিডিও)<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ২৩ জুলাই ২০২১ :

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সারাদেশের মত নওগাঁতেও শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল থেকে শুরু হয়েছে সরকার ঘোষিত ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ (লকডাউন)। বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন।

জেলা প্রশাসক মো: হারুন-অর-রশীদ জানিয়েছেন, কঠোর বিধিনিষেধ সফল করতে জেলা প্রশাসনের ৩৪ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছেন। গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে পুলিশের চেকপোস্ট।

সকাল থেকেই জেলা সদরের দোকানপাট, অফিস আদালত, বিপনী বিতান বন্ধ রয়েছে। কিছু কিছু ব্যাটারী চালিত অটোচার্জার, চার্জার ভ্যান চলাচল করতে দেখা গেছে। যারা অযথা বাড়ির বাইওে এসেছেন তাদেরকে পড়তে হয়েছে পুলিশি জেরার মুখে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, লকডাউনের প্রথম দিন নওগাঁয় কঠোরভাবে পালিত হচ্ছে। শহরের বিভিন্ন রাস্তায় পুলিশী চেকপোষ্ট স্থাপন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের মোবাইল কোর্ট, পুলিশ, র‍্যাব, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও আনসার বাহিনী বিভিন্ন এলাকায় থাকলেও সকাল থেকেই বিভিন্ন সড়কে ছোট যানবাহনের পাশাপাশি কিছু মানুষের চলাচল করতে দেখা গেছে। তাদের অনেককেই পুলিশের জেরার মুখে পরতে হয়েছে । দোকানপাট ও গণপরিবহণ বন্ধ রয়েছে। রাস্তায় রিকশা, মোটরসাইকেল, কিছু ব্যক্তিগত গাড়ি চলতে দেখা গেছে। মোড়ে মোড়ে অনেককে যানবাহনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তাদের বেশির ভাগই ঈদ উদযাপন শেষে সকালে শহরে পৌঁছছেন। বিভিন্ন স্থানে চলাচল করা গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা গেছে।

শহরের তাজের মোড়ে পথচারী রুবেল হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমার ছোট ছেলে খুব অসুস্থ। তাই ব্যাধ্য হয়ে ওষুধ নিতে এসেছি। এসে দেখি রাস্তাঘাট ফাঁকা। ওষুধ নিয়েই বাড়ি ফিরে যাব।’

রুবির মোড়ে রিকসা চালক মো: মুন্টু মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘বাপো পেটের দায়ে রাস্তাত বের হচি। গরীব মানুষ রিকসা না চালালে খামু কি। ভয়ও লাগিচ্ছে যদি পুলিশ ধরে। তারপরও অনেকে তো জরুরী কামোত বের হয়। তারকোক রিকসাত লিচ্ছি। তো ভাড়া বেশি মারবার পারিচ্ছিনা বাপো। যেডাই হয় সেডাই লিয়া সন্ধ্যাত বাড়িত যামু ।’

লকডাউনের প্রথম দিনে জেলার বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেছেন নওগাঁর পুলিশ সুপার আবদুল মান্ন্নান মিয়া, বিপিএম। পুলিশ সদস্যদের কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে বিভিন্ন দিক দির্দেশনা প্রদান করেন তিনি। সেই সাথে রাস্তায় চলাচলকারী পথচারিদের খুব বেশি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হবার অনুরোধ জানান।

পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়া, বিপিএম এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘সরকার যতদিন চাইবে লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশ কাজ করে যাবে। জনগণের কথা ভেবেই সরকার আবারও কঠোর লকডাউন দিয়েছেন। রাষ্ট্র জনগণের জন্য কাজ করেন। জনগণের ভালোর জন্যই কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সকাল থেকেই পুরো জেলায় গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জেলার সকল থানার ওসিদের দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে। জেলায় পুলিশের এক হাজার একশ’জন পুলিশ সদস্য কাজ করছেন লকডাউন বাস্তবায়নে। এছাড়া ১৫০জন পুলিশ রিজার্ভ রয়েছে। আগামী ১৪দিনের কঠোর লকডাউন পালনে পুলিশ মাঠে থাকবে।’ লকডাউন বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন পুলিশ সুপার।

জেলা প্রশাসক মো. হারুন-অর-রশীদ সবাইকে যতটুকু সম্ভব ঘরে থেকেই ইদের আমেজ উপভোগ করার আহ্বান জানিয়েছেন। অযথা বাহিরে বের না হওয়ার জন্য তিনি পুরো জেলাবাসিকে অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি আরো জানান, কঠোর বিধিনিষেধ সফল করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং তা বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভ্রাম্যমান দল কাজ করছে। কঠোর বিধিনিষেধ অমান্য করা কাউকে কোনো প্রকারের ছাড় দেওয়া হবে না। সরকারের জারি করা কঠোর বিধি নিষেধকে সম্মান জানিয়ে তা মেনে চলার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।#

আপলোডকারীর তথ্য

নওগাঁয় শুরু হয়েছে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ (ভিডিও)<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ১০:০১:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ জুলাই ২০২১
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ২৩ জুলাই ২০২১ :

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সারাদেশের মত নওগাঁতেও শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল থেকে শুরু হয়েছে সরকার ঘোষিত ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ (লকডাউন)। বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন।

জেলা প্রশাসক মো: হারুন-অর-রশীদ জানিয়েছেন, কঠোর বিধিনিষেধ সফল করতে জেলা প্রশাসনের ৩৪ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছেন। গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে পুলিশের চেকপোস্ট।

সকাল থেকেই জেলা সদরের দোকানপাট, অফিস আদালত, বিপনী বিতান বন্ধ রয়েছে। কিছু কিছু ব্যাটারী চালিত অটোচার্জার, চার্জার ভ্যান চলাচল করতে দেখা গেছে। যারা অযথা বাড়ির বাইওে এসেছেন তাদেরকে পড়তে হয়েছে পুলিশি জেরার মুখে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, লকডাউনের প্রথম দিন নওগাঁয় কঠোরভাবে পালিত হচ্ছে। শহরের বিভিন্ন রাস্তায় পুলিশী চেকপোষ্ট স্থাপন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের মোবাইল কোর্ট, পুলিশ, র‍্যাব, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও আনসার বাহিনী বিভিন্ন এলাকায় থাকলেও সকাল থেকেই বিভিন্ন সড়কে ছোট যানবাহনের পাশাপাশি কিছু মানুষের চলাচল করতে দেখা গেছে। তাদের অনেককেই পুলিশের জেরার মুখে পরতে হয়েছে । দোকানপাট ও গণপরিবহণ বন্ধ রয়েছে। রাস্তায় রিকশা, মোটরসাইকেল, কিছু ব্যক্তিগত গাড়ি চলতে দেখা গেছে। মোড়ে মোড়ে অনেককে যানবাহনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তাদের বেশির ভাগই ঈদ উদযাপন শেষে সকালে শহরে পৌঁছছেন। বিভিন্ন স্থানে চলাচল করা গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা গেছে।

শহরের তাজের মোড়ে পথচারী রুবেল হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমার ছোট ছেলে খুব অসুস্থ। তাই ব্যাধ্য হয়ে ওষুধ নিতে এসেছি। এসে দেখি রাস্তাঘাট ফাঁকা। ওষুধ নিয়েই বাড়ি ফিরে যাব।’

রুবির মোড়ে রিকসা চালক মো: মুন্টু মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘বাপো পেটের দায়ে রাস্তাত বের হচি। গরীব মানুষ রিকসা না চালালে খামু কি। ভয়ও লাগিচ্ছে যদি পুলিশ ধরে। তারপরও অনেকে তো জরুরী কামোত বের হয়। তারকোক রিকসাত লিচ্ছি। তো ভাড়া বেশি মারবার পারিচ্ছিনা বাপো। যেডাই হয় সেডাই লিয়া সন্ধ্যাত বাড়িত যামু ।’

লকডাউনের প্রথম দিনে জেলার বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেছেন নওগাঁর পুলিশ সুপার আবদুল মান্ন্নান মিয়া, বিপিএম। পুলিশ সদস্যদের কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে বিভিন্ন দিক দির্দেশনা প্রদান করেন তিনি। সেই সাথে রাস্তায় চলাচলকারী পথচারিদের খুব বেশি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হবার অনুরোধ জানান।

পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়া, বিপিএম এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘সরকার যতদিন চাইবে লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশ কাজ করে যাবে। জনগণের কথা ভেবেই সরকার আবারও কঠোর লকডাউন দিয়েছেন। রাষ্ট্র জনগণের জন্য কাজ করেন। জনগণের ভালোর জন্যই কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সকাল থেকেই পুরো জেলায় গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জেলার সকল থানার ওসিদের দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে। জেলায় পুলিশের এক হাজার একশ’জন পুলিশ সদস্য কাজ করছেন লকডাউন বাস্তবায়নে। এছাড়া ১৫০জন পুলিশ রিজার্ভ রয়েছে। আগামী ১৪দিনের কঠোর লকডাউন পালনে পুলিশ মাঠে থাকবে।’ লকডাউন বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন পুলিশ সুপার।

জেলা প্রশাসক মো. হারুন-অর-রশীদ সবাইকে যতটুকু সম্ভব ঘরে থেকেই ইদের আমেজ উপভোগ করার আহ্বান জানিয়েছেন। অযথা বাহিরে বের না হওয়ার জন্য তিনি পুরো জেলাবাসিকে অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি আরো জানান, কঠোর বিধিনিষেধ সফল করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং তা বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভ্রাম্যমান দল কাজ করছে। কঠোর বিধিনিষেধ অমান্য করা কাউকে কোনো প্রকারের ছাড় দেওয়া হবে না। সরকারের জারি করা কঠোর বিধি নিষেধকে সম্মান জানিয়ে তা মেনে চলার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।#