নওগাঁর ১১ উপজেলায় কোরবানির চামড়া গত বছরের তুলনায় কম দামে কেনা-বেচা হচ্ছে। চামড়ার প্রত্যাশীত দাম না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। জেলার ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, ট্যানারি মালিকরা গত বছর ১৮ ভাগ চামড়া বিদেশে রপ্তানি করলেও জেলার চামড়া ব্যবসায়ীদের সময়মতো টাকা দেননি। তারপর চামড়া রক্ষায় ঋণ নিয়ে বেশি দামে চামড়া কিনছেন তারা।
নওগাঁয় প্রতি বছর কোরবানি ঈদকে কেন্দ্র করে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন এলাকা থেকে গবাদিপশুর চামড়া কিনে জেলা শহরের এনে বিক্রি করে থাকেন। এ বছরও তারা কোরবানির চামড়া কিনে লাভের আশায় শহরের নিয়ে হতাশ হয়েছেন।
মৌসুমী ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, প্রতি বছর জেলা শহরে ৮ থেকে ১০ জন চামড়া কিনে থাকেন। কিন্তু এ বছর জেলার ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকের মাধ্যমে ২ থেকে ৩ জন গত বছরের তুলনায় গরুর চামড়া অর্ধেক দামে কিনছেন। আর ছাগলের চামড়া নিচ্ছেন না।
নওগাঁ জেলা চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সাবেক কোষাধ্যক্ষ সাদেক হোসেন বলেন, কোরবানি ঈদের আগে ট্যানারি মালিকরা তাদের পাওনা টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও টাকা দেননি। তারপরও ঋণ করে তারা বেশি দামে চামড়া কিনছেন।
নওগাঁর জেলা চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সভাপতি মমতাজ হোসেন বলেন, ট্যানারি মালিকরা তাদের পাওনা দেন না।
প্রসঙ্গত, নওগাঁয় প্রতি বছর কোরবানি ঈদে প্রায় ৪০ হাজার গরুর চামড়া কেনা-বেচা হয়ে থাকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দেশে চামড়া রক্ষায় হিমাগার স্থাপন বাস্তবায়ন হলে চামড়া শিল্প রক্ষা পাবে বলে মত সংশ্লিষ্টদের।#