নওগাঁ ০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

নওগাঁয় একদিনে মাঠে নামলো ১৫ হাজার করোনাযোদ্ধা<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ১ জুলাই ২০২১ :

করোনাভাইরাস মোকাবেলা করতে দেশে চলছে সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন। এই লকডাউন কার্যকর করার পাশাপাশি মহামারী প্রতিরোধে গ্রামে গ্রামে কমিটি গঠন করা হয়েছে নওগাঁ জেলায়। প্রশাসনের কর্মকর্তা, পুলিশ কর্মকর্তা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কর্মিদের সমন্বয়ে এরই মধ্যে প্রায় দেড় হাজার স্বেচ্ছাসেবী নিয়ে কমিটি গঠন হয়েছে। কমিটির সদস্যরা মাঠে নেমে সক্রিয় ভাবে কাজ করছেন।

নওগাঁ জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সবশেষ ভার্চুয়াল বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। ওই বৈঠকে করোনার নতুন ঢেউ মোকাবেলার জন্য বিভিন্ন কৌশল ও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। বৈঠকে মহামারী মোকাবেলায় জেলা থেকে শুরু করে প্রতিটি গ্রামে কমিটি গঠনের পরামর্শ ও নির্দেশনা দেন নওগাঁ-১ (নিয়ামতপুর-পোরশা-সাপাহার) আসনের এমপি, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার। একই সাথে প্রতিটি ইউনিয়নে, উপজেলা ও পৌরসভায় করোনা প্রতিরোধ সহায়তা কন্ট্রোল রুম খোলার পরামর্শ দেন তিনি।

বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রথমে জেলার ১১টি উপজেলা ও ৩টি পৌরসভায় আলাদা আলাদা কমিটি গঠন করা হয়। পরে ওই কমিটির সদস্যরা জেলার ৯৯টি ইউনিয়ন ও গ্রামে-গ্রামে কমিটি গঠন করেন। গ্রাম কমিটিগুলো ওয়ার্ড কমিটি গঠন করেছেন। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) পর্যন্ত জেলায় প্রায় তিন হাজার কমিটি গঠন হয়েছে। এর সদস্য হয়েছেন প্রায় ১৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবী।

গঠিত স্বেচ্ছাসেবী কমিটিতে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা সমন্বয় করছেন। এছাড়া পুলিশ কর্মকর্তা, মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ ও ছাত্র লীগের নেতা কর্মিরা সদস্য হিসেবে সেচ্ছাসেবকের দ্বায়িত্ব পালন করছেন।

নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ উদ্দিন বলেন,‘পাড়া মহল্লা কমিটির সমন্বয় করছেন ইউপি মেম্বার। তারা যে কোন প্রয়োজনে ইউনিয়ন কমিটিকে জানাচ্ছেন। ইউনিয়ন কমিটি উপজেলা কমিটিকে এবং উপজেলা কমিটি জেলা কমিটিকে অবহিত করছেন। এভাবে খুব দ্রুত তথ্য আদান প্রদান ও বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হচ্ছে।’ করোনা প্রতিরোধে এই উদ্যোগ একটি বাস্তবসম্মত ও সময় উপযোগি পদক্ষেপ মন্তব্য করেন ফরিদ উদ্দিন।

পত্নীতলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল গফ্ফার বলেন, ‘লকডাউন বাস্তবায়ন, করোনা উপসর্গ বহনকারীর পরীক্ষা, আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা প্রদান ও মৃত ব্যক্তির দাফনে স্বেচ্ছাসেবী কমিটির সদস্যরা স্বতস্ফুর্ত ও সক্রিয় ভাবে কাজ করছেন।’ এতে মানুষের মনোবল বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়া বিপিএম বলেন,‘লকডাউন কার্যকর ও করোনা প্রতিরোধে জন প্রতিনিধিদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ হচ্ছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মিরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করায় মহামারী মোকাবেলা ও মানুষের আইনী সেবা প্রাপ্তি আরো সহজ হচ্ছে। জেলায় করোনা প্রতিরোধে নতুন গতি সঞ্চার হয়েছে।’ মহামারী মোকাবেলায় সরকারী নির্দেশনা পালনে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান এসপি।

নওগাঁর জেলা প্রশাসক মো. হারুন-অর রশীদ বলেন, ‘কন্ট্রোল রুমে কোন তথ্য আসা মাত্রই সেই বিষয়টি নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। জেলা জুড়ে লকডাউন পালনে মানুষকে আগের চেয়ে আরো সচেতন করার কাজ চলছে। জেলা থেকে গ্রাম ও ওয়ার্ড কমিটির সদস্যরা প্রশাসনিক কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন।’

এ বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘করোনা একটি মহামারী। এই মহামারীর বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ ঘোষনা করেছি। মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ডাকে আমরা আওয়ামী লীগ নেতা কর্মিরা যেমন ঝাঁপিয়ে পরেছিলাম। এই যুদ্ধেও তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাকে আমরা সকলে কাজ করছি।’ দেশবাসীকে সরকারের ঘোষিত সকল বিধি নিশেধ মেনে চলার পরামর্শ ও দূর্যোগ মোকাবেলায় এগিয়ে আসার আহবান জানান মন্ত্রী।#

আপলোডকারীর তথ্য

নওগাঁয় একদিনে মাঠে নামলো ১৫ হাজার করোনাযোদ্ধা<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ১১:৫৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুলাই ২০২১
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ১ জুলাই ২০২১ :

করোনাভাইরাস মোকাবেলা করতে দেশে চলছে সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন। এই লকডাউন কার্যকর করার পাশাপাশি মহামারী প্রতিরোধে গ্রামে গ্রামে কমিটি গঠন করা হয়েছে নওগাঁ জেলায়। প্রশাসনের কর্মকর্তা, পুলিশ কর্মকর্তা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কর্মিদের সমন্বয়ে এরই মধ্যে প্রায় দেড় হাজার স্বেচ্ছাসেবী নিয়ে কমিটি গঠন হয়েছে। কমিটির সদস্যরা মাঠে নেমে সক্রিয় ভাবে কাজ করছেন।

নওগাঁ জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সবশেষ ভার্চুয়াল বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। ওই বৈঠকে করোনার নতুন ঢেউ মোকাবেলার জন্য বিভিন্ন কৌশল ও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। বৈঠকে মহামারী মোকাবেলায় জেলা থেকে শুরু করে প্রতিটি গ্রামে কমিটি গঠনের পরামর্শ ও নির্দেশনা দেন নওগাঁ-১ (নিয়ামতপুর-পোরশা-সাপাহার) আসনের এমপি, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার। একই সাথে প্রতিটি ইউনিয়নে, উপজেলা ও পৌরসভায় করোনা প্রতিরোধ সহায়তা কন্ট্রোল রুম খোলার পরামর্শ দেন তিনি।

বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রথমে জেলার ১১টি উপজেলা ও ৩টি পৌরসভায় আলাদা আলাদা কমিটি গঠন করা হয়। পরে ওই কমিটির সদস্যরা জেলার ৯৯টি ইউনিয়ন ও গ্রামে-গ্রামে কমিটি গঠন করেন। গ্রাম কমিটিগুলো ওয়ার্ড কমিটি গঠন করেছেন। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) পর্যন্ত জেলায় প্রায় তিন হাজার কমিটি গঠন হয়েছে। এর সদস্য হয়েছেন প্রায় ১৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবী।

গঠিত স্বেচ্ছাসেবী কমিটিতে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা সমন্বয় করছেন। এছাড়া পুলিশ কর্মকর্তা, মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ ও ছাত্র লীগের নেতা কর্মিরা সদস্য হিসেবে সেচ্ছাসেবকের দ্বায়িত্ব পালন করছেন।

নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ উদ্দিন বলেন,‘পাড়া মহল্লা কমিটির সমন্বয় করছেন ইউপি মেম্বার। তারা যে কোন প্রয়োজনে ইউনিয়ন কমিটিকে জানাচ্ছেন। ইউনিয়ন কমিটি উপজেলা কমিটিকে এবং উপজেলা কমিটি জেলা কমিটিকে অবহিত করছেন। এভাবে খুব দ্রুত তথ্য আদান প্রদান ও বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হচ্ছে।’ করোনা প্রতিরোধে এই উদ্যোগ একটি বাস্তবসম্মত ও সময় উপযোগি পদক্ষেপ মন্তব্য করেন ফরিদ উদ্দিন।

পত্নীতলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল গফ্ফার বলেন, ‘লকডাউন বাস্তবায়ন, করোনা উপসর্গ বহনকারীর পরীক্ষা, আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা প্রদান ও মৃত ব্যক্তির দাফনে স্বেচ্ছাসেবী কমিটির সদস্যরা স্বতস্ফুর্ত ও সক্রিয় ভাবে কাজ করছেন।’ এতে মানুষের মনোবল বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়া বিপিএম বলেন,‘লকডাউন কার্যকর ও করোনা প্রতিরোধে জন প্রতিনিধিদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ হচ্ছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মিরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করায় মহামারী মোকাবেলা ও মানুষের আইনী সেবা প্রাপ্তি আরো সহজ হচ্ছে। জেলায় করোনা প্রতিরোধে নতুন গতি সঞ্চার হয়েছে।’ মহামারী মোকাবেলায় সরকারী নির্দেশনা পালনে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান এসপি।

নওগাঁর জেলা প্রশাসক মো. হারুন-অর রশীদ বলেন, ‘কন্ট্রোল রুমে কোন তথ্য আসা মাত্রই সেই বিষয়টি নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। জেলা জুড়ে লকডাউন পালনে মানুষকে আগের চেয়ে আরো সচেতন করার কাজ চলছে। জেলা থেকে গ্রাম ও ওয়ার্ড কমিটির সদস্যরা প্রশাসনিক কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন।’

এ বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘করোনা একটি মহামারী। এই মহামারীর বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ ঘোষনা করেছি। মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ডাকে আমরা আওয়ামী লীগ নেতা কর্মিরা যেমন ঝাঁপিয়ে পরেছিলাম। এই যুদ্ধেও তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাকে আমরা সকলে কাজ করছি।’ দেশবাসীকে সরকারের ঘোষিত সকল বিধি নিশেধ মেনে চলার পরামর্শ ও দূর্যোগ মোকাবেলায় এগিয়ে আসার আহবান জানান মন্ত্রী।#