নওগাঁ ১১:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

সরকারি গাড়ি নিয়ে কারাগারে জামাইকে দেখতে গেলেন মান্দা উপজেলা চেয়ারম্যান মোল্লা এমদাদ (ভিডিও)<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ১৬ জুন ২০২১ :

নওগাঁর মান্দা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোল্লা এমদাদুল হক সরকারি জিপ গাড়ি নিয়ে কারাগারে জামাইকে দেখতে আসার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১৪ জুন) দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে নওগাঁ জেলা কারাগার থেকে সরকারি এ গাড়িটি বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। সরকারি গাড়ি ও তেল খরচ করে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করায় জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নওগাঁর মান্দায় প্রসাদপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে সাংবাদিক আব্বাস আলীকে প্রসাদপুর দলিল লেখক সমিতি নেতাদের নির্যাতনের মামলায় এজাহারভুক্ত চারজন আসামি রোববার (১৩ জুন) বেলা ৩টার দিকে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। নওগাঁর ২নং আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিকাশ কুমার বসাক এ নির্দেশ দেন।

আসামিরা হলেন, মামলার ২ নম্বর আসামি প্রসাদপুর দলিল লেখক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মান্দা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোল্লা এমদাদুল হকের জামাই আলামিন রানা (৩০), প্রসাদপুর দলিল লেখক সমিতির সভাপতি এরশাদ আলী (৫০), সাধারণ সম্পাদক বাবুল আক্তার (৪৫), খাদেমুল ইসলাম (৫৫) ও উপজেলার পরানপুর ইউনিয়নের দাওইল গ্রামের মিজানুর রহমান। বর্তমানে পাঁচ আসামি কারাগারে।
সোমবার দুপুরে জেলার মান্দা উপজেলা থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে সরকারি জিপ গাড়িতে চেপে কারাগারে থাকা জামাইকে দেখতে আসেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোল্লা এমদাদুল হক। দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে তিনি জেলা কারাগার থেকে গাড়িটি নিয়ে বেরিয়ে যান।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের অনুকূলে বরাদ্দ করা জিপগাড়ি কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে নিজ উপজেলা এবং জেলার বাইরে ব্যবহারের সুযোগ নেই। বিনা অনুমতিতে নিজ উপজেলা এবং জেলার বাইরে ব্যবহার করা হয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হলে সংশ্নিষ্ট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে এর দায় গ্রহণ করতে হবে এবং উপজেলা পরিষদ আইন-১৯৯৮ এর ১৩ ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়িচালক আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ করে বলেন, তিনি দুপুরের খাবার খাচ্ছেন। খেয়ে উঠে কথা বলবেন। তার আধাঘণ্টা পর আবার যোগাযোগ করা হলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি।

মান্দা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোল্লা এমদাদুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘নতুন চেয়ারম্যান হয়েছি। সরকারি গাড়ি নিয়ে কোথায় যাওয়া যাবে বা যাবে না তা আমার জানা নেই। তবে সরকারি গাড়ি নিয়ে জেলখানায় গিয়েছিলাম।’

মান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল হালিম এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

নওগাঁর স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক উত্তম কুমার রায় বলেন, ‘উপজেলা চেয়ারম্যানদের দেয়া গাড়ি ব্যবহারের কিছু বিধিমালা আছে। তিনি সরকারি কোনো কাজে ওই গাড়ি নিয়ে যেতে পারেন।’ তার মেয়েজামাই জেলা কারাগারে দুদিন ধরে বন্দি। তাকে দেখতে সরকারি গাড়ি নিয়ে যেতে পারেন কি-না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়টি জানা নেই।’

নওগাঁ জেল সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, ‘মান্দা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোল্লা এমদাদুল হক দুপুরে আসামিদের দেখতে এসেছিলেন। পরে অফিস কক্ষে বসিয়ে তার সঙ্গে কিছু কথা হয়। তবে করোনার মধ্যে আসামিদের দেখানো সম্ভব না বলে তাকে জানিয়ে দিলে তিনি চলে যান।’# —জাগো নিউজ

আপলোডকারীর তথ্য

সরকারি গাড়ি নিয়ে কারাগারে জামাইকে দেখতে গেলেন মান্দা উপজেলা চেয়ারম্যান মোল্লা এমদাদ (ভিডিও)<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ১২:৫০:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুন ২০২১
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ১৬ জুন ২০২১ :

নওগাঁর মান্দা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোল্লা এমদাদুল হক সরকারি জিপ গাড়ি নিয়ে কারাগারে জামাইকে দেখতে আসার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১৪ জুন) দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে নওগাঁ জেলা কারাগার থেকে সরকারি এ গাড়িটি বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। সরকারি গাড়ি ও তেল খরচ করে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করায় জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নওগাঁর মান্দায় প্রসাদপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে সাংবাদিক আব্বাস আলীকে প্রসাদপুর দলিল লেখক সমিতি নেতাদের নির্যাতনের মামলায় এজাহারভুক্ত চারজন আসামি রোববার (১৩ জুন) বেলা ৩টার দিকে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। নওগাঁর ২নং আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিকাশ কুমার বসাক এ নির্দেশ দেন।

আসামিরা হলেন, মামলার ২ নম্বর আসামি প্রসাদপুর দলিল লেখক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মান্দা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোল্লা এমদাদুল হকের জামাই আলামিন রানা (৩০), প্রসাদপুর দলিল লেখক সমিতির সভাপতি এরশাদ আলী (৫০), সাধারণ সম্পাদক বাবুল আক্তার (৪৫), খাদেমুল ইসলাম (৫৫) ও উপজেলার পরানপুর ইউনিয়নের দাওইল গ্রামের মিজানুর রহমান। বর্তমানে পাঁচ আসামি কারাগারে।
সোমবার দুপুরে জেলার মান্দা উপজেলা থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে সরকারি জিপ গাড়িতে চেপে কারাগারে থাকা জামাইকে দেখতে আসেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোল্লা এমদাদুল হক। দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে তিনি জেলা কারাগার থেকে গাড়িটি নিয়ে বেরিয়ে যান।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের অনুকূলে বরাদ্দ করা জিপগাড়ি কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে নিজ উপজেলা এবং জেলার বাইরে ব্যবহারের সুযোগ নেই। বিনা অনুমতিতে নিজ উপজেলা এবং জেলার বাইরে ব্যবহার করা হয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হলে সংশ্নিষ্ট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে এর দায় গ্রহণ করতে হবে এবং উপজেলা পরিষদ আইন-১৯৯৮ এর ১৩ ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়িচালক আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ করে বলেন, তিনি দুপুরের খাবার খাচ্ছেন। খেয়ে উঠে কথা বলবেন। তার আধাঘণ্টা পর আবার যোগাযোগ করা হলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি।

মান্দা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোল্লা এমদাদুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘নতুন চেয়ারম্যান হয়েছি। সরকারি গাড়ি নিয়ে কোথায় যাওয়া যাবে বা যাবে না তা আমার জানা নেই। তবে সরকারি গাড়ি নিয়ে জেলখানায় গিয়েছিলাম।’

মান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল হালিম এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

নওগাঁর স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক উত্তম কুমার রায় বলেন, ‘উপজেলা চেয়ারম্যানদের দেয়া গাড়ি ব্যবহারের কিছু বিধিমালা আছে। তিনি সরকারি কোনো কাজে ওই গাড়ি নিয়ে যেতে পারেন।’ তার মেয়েজামাই জেলা কারাগারে দুদিন ধরে বন্দি। তাকে দেখতে সরকারি গাড়ি নিয়ে যেতে পারেন কি-না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়টি জানা নেই।’

নওগাঁ জেল সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, ‘মান্দা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোল্লা এমদাদুল হক দুপুরে আসামিদের দেখতে এসেছিলেন। পরে অফিস কক্ষে বসিয়ে তার সঙ্গে কিছু কথা হয়। তবে করোনার মধ্যে আসামিদের দেখানো সম্ভব না বলে তাকে জানিয়ে দিলে তিনি চলে যান।’# —জাগো নিউজ