প্রকাশের সময় :
০৬:৩১:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুন ২০২১
১০৮৪
মহাদেবপুর দর্পণ, নওগাঁ, ১৩ জুন ২০২১ : নওগাঁর মান্দা সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে সাংবাদিক আব্বাস আলীর উপর হামলাকারী পাঁচ দলিল লেখকের অবশেষে ঠাঁই হয়েছে জেলে। (বাম থেকে) প্রসাদপুর দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাবুল আক্তার, সভাপতি এরশাদ আলী ও সাংগঠনিক সম্পাদক আলামিন রানা--------------সাঈদ টিটো
নওগাঁর মান্দা সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে দৈনিক যুগান্তর ও জাগোনিউজের সাংবাদিক আব্বাস আলীর উপর হামলাকারী পাঁচ দলিল লেখকের অবশেষে ঠাঁই হয়েছে জেলে।
শনিবার (১২ জুন) দিবাগত রাতে থানা পুলিশ প্রসাদপুর দলিল লেখক সমিতির সদস্য মিজানুর রহমানকে আটক করে রোববার (১৩ জুন) দুপুরে নওগাঁ কোর্টে চালান দেয়। এছাড়া সমিতির সভাপতি এরশাদ আলী (৫০), সাধারণ সম্পাদক বাবুল আক্তার (৪৫), সাংগঠনিক সম্পাদক আলামিন রানা (৩০) ও খাদেমুল ইসলাম (৫৫) রোববার নওগাঁর ২ নং আমলি আদালতে আত্মসমর্পণ করে। ওই আদালতে পাঁচ জনেরই জামিনের আবেদন করা হয়। শুনানী শেষে বিজ্ঞ বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বিকাশ কুমার বসাক তাদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অভিযোগ করা হয়েছে যে, মান্দা উপজেলার প্রসাদপুর দলিল লেখক সমিতি সাধারণ মানুষদের সঙ্গে প্রতারণা করে দীর্ঘদিন থেকে অতিরিক্ত চাঁদা আদায় করে আসছেন। কেউ চাঁদা দিতে না চাইলে হয়রানি শিকার ও জমি রেজিস্ট্রি বন্ধ করে দেন তারা।
৮ জুন দৈনিক যুগান্তর ও জাগো নিউজের জেলা প্রতিনিধি আব্বাস আলীর বড় ভাই আসাদ আলী তার পারিবারিক জমি রেজিস্ট্রি করতে প্রসাদপুর দলিল লেখক সমিতিতে যান। সেখানে দলিল লেখকের সাধারণ সম্পাদকের বাবুল আক্তারের সঙ্গে আলোচনা করে একটি দলিল ১২ লাখ টাকা মূল্যে করতে চান। এতে ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা খরচ হবে বলে জানানো হয়। যা সরকারি মূল্যের চাইতে অতিরিক্ত টাকা দাবি করা হয়।
বিষয়টি আসাদ আলী তার ছোট ভাই সাংবাদিক আব্বাস আলীকে জানালে তিনি সশরীরে সাধারণ সম্পাদক বাবুল আক্তারের সঙ্গে দেখা করে খরচ কিছু কমানোর অনুরোধ জানান। কোনো কম হবে না বলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন। দলিল রেজিস্ট্রিতে সরকারি খরচের বিষয় জানতে চাইলে বাবুল আক্তারসহ অফিসের আরও কয়েকজন আব্বাস আলীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে মারমুখী আচরণ করে দলিল লেখক সমিতি চত্বর থেকে বের করে দেন।
বিষয়টি সাবরেজিস্ট্রারের সঙ্গে আলোচনা করতে তার এজলাস ঢুকলে ১০-১২ জন তাকে এজলাস কক্ষ থেকে টেনে হেঁচড়ে বারান্দায় নিয়ে মারধর করেন। আব্বাস আলীর কাছে থাকা ব্যাগ ছিনিয়ে নেন তারা। যার মধ্যে জমি রেজিস্ট্রি বাবদ নগদ ৩ লাখ টাকা, ভিডিও ক্যামেরা ও একটি ল্যাপটপ ছিল।
পরে কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। ঘটনায় ভুক্তভোগী আব্বাস আলী বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।#