নওগাঁ জেলায় শনিবার (১২ জুন) সকাল ৮টা থেকে রোববার (১৩ জুন) সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ৫১। এর মধ্যে চলতি জুন মাসের গত ১২ দিনে মারা গেলো ১১ জন। রোববার সকালে নওগাঁর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের দেয়া প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে গত ৪৮ ঘণ্টা করোনায় মৃত্যুহীন দিন পার করেছিল নওগাঁ। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৪৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। ২১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়, যাতে শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৩২ শতাংশ। আগের ২৪ ঘণ্টায় ২৩১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ছিল ২৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
নওগাঁর সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া দুজন হলেন, বদলগাছী উপজেলার খলসি গ্রামের দেলোয়ার হোসেন (৩৫) ও আত্রাই উপজেলার চৌরবাড়ি গ্রামের রাজিয়া বেগম (৬৮)। গত বৃহস্পতিবার দেলোয়ার হোসেন ও রাজিয়া বেগমের করোনা শনাক্ত হয়। শনিবার বিকেলে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নওগাঁ আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যু হয়। শনিবার দিবাগত রাতে নিজ বাড়িতে মৃত্যু হয় করোনায় আক্রান্ত রাজিয়া বেগমের।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত ৪৮ জনের মধ্যে সাপাহার উপজেলায় ১০ জন, নিয়ামতপুর উপজেলায় নয় জন, নওগাঁ সদর, রাণীনগর ও মান্দা উপজেলায় পাঁচ জন করে, মহাদেবপুর ও পত্নীতলা উপজেলায় চার জন করে এবং বদলগাছী ও পোরশা উপজেলায় তিন জন করে।
নওগাঁয় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত বছরের ২৩ এপ্রিল। এ পর্যন্ত ১৮ হাজার ৭৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় দুই হাজার ৮৫৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির ফোকাল পার্সন ও ডেপুটি সিভিল সার্জন মঞ্জুর-এ মোর্শেদ বলেন, এক সপ্তাহ ধরে জেলায় করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। এ সময়ে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে দেখা গেছে, সংক্রমণের হার ২০ থেকে ২৫ শতাংশের মধ্যে রয়েছে। তবে প্রতিদিন যে পরিমাণ নমুনা সংগ্রহ হচ্ছে, তার চেয়ে আরও বেশি নমুনা সংগ্রহ করতে পারলে সংক্রমণ পরিস্থিতি আরও ভালোভাবে বোঝা যেত। নমুনা দিতে মানুষের অনাগ্রহের পাশাপাশি জেলায় আরটি-পিসিআর ল্যাব না থাকা এবং স্বাস্থ্য বিভাগের জনবল সংকটের কারণে নমুনা সংগ্রহের পরিমাণ বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৩৫০টি নমুনা সংগ্রহ হচ্ছে। এ সংখ্যা অন্তত ৬০০ থেকে ৭০০ হলে ভালো হতো।#