নওগাঁ ০৯:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

করোনা আপডেট : নিয়ামতপুর ইউএনও জয়া মারীয়া পেরেরার প্রতিবেদন<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ১২ জুন ২০২১ :

নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে প্রায়ই মর্মস্পর্শি বিষয় অত্যন্ত দরদের সাথে তুলে ধরেন। শনিবার (১২ জুন) দিবাগত রা ১২ টা ৫০ মিনিটে পোষ্ট করা স্ট্যাটাসটি মহাদেবপুর দর্পণের অগণিত পাঠক পাঠিকার জন্য হুবহু পত্রস্থ করা হলো—

‘‘প্রিয় নিয়ামতপুরবাসী,
বর্তমানে নিয়ামতপুরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১১৫ জন। গতকাল সংখ্যাটি ছিল ১৩৫। ১২/০৬/২১ তারিখে ২০ জনকে সুস্থ ঘোষণা করা হয়।

বর্তমানে নিয়ামতপুর সদরে আক্রান্ত ৫০,হাজীনগরে ৪, চন্দননগরে ১, ভাবিচায় ২৩, রসুলপুরে ৯, পাঁড়ইলে ৬, শ্রীমন্তপুরে ২০ এবং বাহাদুরপুরে ২জন আক্রান্ত। নিয়ামতপুর সদর এবং ভাবিচা ইউনিয়নে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গেছে। শ্রীমন্তপুরের অবস্থা স্থিতিশীল। মানে শ্রীমন্তপুরে যতজন রোগী সুস্থ হয়েছে তার প্রায় সমসংখ্যক নতুন করে সনাক্ত হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পর্যবেক্ষণ বলছে একজন আক্রান্ত হলে তার পরিবারের সদস্য বা সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিবর্গকে টেস্ট করে অধিকাংশ পজিটিভ পাওয়া যাচ্ছে। যার অর্থ হলো ভাইরাসটি অত্যন্ত সংক্রামক। আবার আশার কথা হলো উপসর্গ গোপন না করে সঠিক সময়ে চিকিৎসা করালে বা ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চললে সুস্থতার হারও বেশি।

গত তিনদিনে নিয়ামতপুরে ১৫+১+২০ জন মোট ৩৬ জনকে সুস্হ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী কয়েকদিনে আরো বেশ কয়েকজনকে সুস্থ ঘোষণা করতে পারবে বলে মনে করছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

আপনারা অনেকে অনেক প্রকার আর্থিক ক্ষতি মেনে নিয়ে চলমান বিধি নিষেধ বাস্তবায়নে প্রশাসনকে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাদের।

সকলের সহযোগিতার কারণেই লড়াইটা লড়া সম্ভব হচ্ছে। ফলে করোনা পরিস্থিতির তেমন অবনতি হয়নি।
আর কয়েকটি দিন সকলে ধৈর্য ধারণ করলে উপজেলার করোনা পরিস্থিতি আরো অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে সার্বিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সহজ হবে।

সকলে সুস্থ থাকুন। নিরাপদ থাকুন।
বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করুন।

কারো জ্বর,সর্দিকাশি, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি যেকোন উপসর্গ থাকলে উপজেলা হেল্থ কমপ্লেক্সে এসে অবশ্যই নমুনা পরীক্ষা করাবেন। নমুনার ফলাফল না আসা অবধি হোম আইসোলেশনে থাকবেন।

আক্রান্ত প্রতিবেশীকে বাঁকা চোখে দেখবেন না।
তার কিছু প্রয়োজন কিনা খোঁজ নিন।তাকে সহযোগিতা করুন এবং হোম কোয়ারেন্টিন মেনে চলার পরমর্শ দিন।

আপনার জানা মতে লকডাউনে থাকা কোন পরিবারে জরুরি খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন হলে স্হানীয় জনপ্রতিনিধি অথবা উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করুন।

আল্লাহ সকলকে হেফাজতে রাখুন। আমিন।’’#

আপলোডকারীর তথ্য

করোনা আপডেট : নিয়ামতপুর ইউএনও জয়া মারীয়া পেরেরার প্রতিবেদন<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ০৭:৪৭:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুন ২০২১
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ১২ জুন ২০২১ :

নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে প্রায়ই মর্মস্পর্শি বিষয় অত্যন্ত দরদের সাথে তুলে ধরেন। শনিবার (১২ জুন) দিবাগত রা ১২ টা ৫০ মিনিটে পোষ্ট করা স্ট্যাটাসটি মহাদেবপুর দর্পণের অগণিত পাঠক পাঠিকার জন্য হুবহু পত্রস্থ করা হলো—

‘‘প্রিয় নিয়ামতপুরবাসী,
বর্তমানে নিয়ামতপুরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১১৫ জন। গতকাল সংখ্যাটি ছিল ১৩৫। ১২/০৬/২১ তারিখে ২০ জনকে সুস্থ ঘোষণা করা হয়।

বর্তমানে নিয়ামতপুর সদরে আক্রান্ত ৫০,হাজীনগরে ৪, চন্দননগরে ১, ভাবিচায় ২৩, রসুলপুরে ৯, পাঁড়ইলে ৬, শ্রীমন্তপুরে ২০ এবং বাহাদুরপুরে ২জন আক্রান্ত। নিয়ামতপুর সদর এবং ভাবিচা ইউনিয়নে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গেছে। শ্রীমন্তপুরের অবস্থা স্থিতিশীল। মানে শ্রীমন্তপুরে যতজন রোগী সুস্থ হয়েছে তার প্রায় সমসংখ্যক নতুন করে সনাক্ত হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পর্যবেক্ষণ বলছে একজন আক্রান্ত হলে তার পরিবারের সদস্য বা সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিবর্গকে টেস্ট করে অধিকাংশ পজিটিভ পাওয়া যাচ্ছে। যার অর্থ হলো ভাইরাসটি অত্যন্ত সংক্রামক। আবার আশার কথা হলো উপসর্গ গোপন না করে সঠিক সময়ে চিকিৎসা করালে বা ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চললে সুস্থতার হারও বেশি।

গত তিনদিনে নিয়ামতপুরে ১৫+১+২০ জন মোট ৩৬ জনকে সুস্হ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী কয়েকদিনে আরো বেশ কয়েকজনকে সুস্থ ঘোষণা করতে পারবে বলে মনে করছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

আপনারা অনেকে অনেক প্রকার আর্থিক ক্ষতি মেনে নিয়ে চলমান বিধি নিষেধ বাস্তবায়নে প্রশাসনকে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাদের।

সকলের সহযোগিতার কারণেই লড়াইটা লড়া সম্ভব হচ্ছে। ফলে করোনা পরিস্থিতির তেমন অবনতি হয়নি।
আর কয়েকটি দিন সকলে ধৈর্য ধারণ করলে উপজেলার করোনা পরিস্থিতি আরো অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে সার্বিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সহজ হবে।

সকলে সুস্থ থাকুন। নিরাপদ থাকুন।
বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করুন।

কারো জ্বর,সর্দিকাশি, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি যেকোন উপসর্গ থাকলে উপজেলা হেল্থ কমপ্লেক্সে এসে অবশ্যই নমুনা পরীক্ষা করাবেন। নমুনার ফলাফল না আসা অবধি হোম আইসোলেশনে থাকবেন।

আক্রান্ত প্রতিবেশীকে বাঁকা চোখে দেখবেন না।
তার কিছু প্রয়োজন কিনা খোঁজ নিন।তাকে সহযোগিতা করুন এবং হোম কোয়ারেন্টিন মেনে চলার পরমর্শ দিন।

আপনার জানা মতে লকডাউনে থাকা কোন পরিবারে জরুরি খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন হলে স্হানীয় জনপ্রতিনিধি অথবা উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করুন।

আল্লাহ সকলকে হেফাজতে রাখুন। আমিন।’’#