নওগাঁ ০৮:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

মান্দায় এলেঙ্গা মাদরাসা সুপারের বিরুদ্ধে গাছ বিক্রির অভিযোগ<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, জিল্লুর রহমান, মান্দা (নওগাঁ), ১২ জুন ২০২১ :

নওগাঁর মান্দায় সরকারি রাস্তার বেশকিছু তাজা গাছ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে এলেঙ্গা দাখিল মাদরাসার সুপার হাকছেদ আলীর বিরুদ্ধে। ইতোমধ্যে মেহগনি প্রজাতির ওইসব গাছ কেটে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে পাঁজরভাঙ্গা বাজারের আবু সাঈদের স’ মিলে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার (১০ জুন) সকাল থেকে লোকজন মাদরাসা সংলগ্ন রাস্তার ধারের মেহগনি গাছগুলো কাটা শুরু করে। খোঁজ নিয়ে তারা জানতে পারেন গাছগুলো পাঁজরভাঙ্গা বাজারের স’ মিল মালিক আবু সাঈদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন মাদরাসা সুপার হাকছেদ আলী।

মাদরাসা সংলগ্ন এলেঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা আবুল হোসেন, খতিব সরদার, ইসমাইল হোসেনসহ আরও অনেকে জানান, দীর্ঘদিনেও মাদরাসাটি এমপিওভুক্ত হয়নি। শিক্ষার্থী না থাকায় ৬-৭ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে প্রতিষ্ঠানের পাঠদান কার্যক্রম। শিক্ষকরাও আসেন না। ইতোমধ্যে অনেকে পেশা বদল করেছেন। এ অবস্থায় হঠাৎ করেই মাসরাসা সংলগ্ন রাস্তার লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ১১ টি মেহগনি গাছ বিক্রি করে দেন সুপার হাকছেদ আলী। গাছগুলো কিভাবে বিক্রি করা হয়েছে এনিয়েও প্রশ্ন তোলেন তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বর্তমানে মাদরাসার কোনো কমিটি নেই। সর্বশেষ কমিটির সভাপতি ছিলেন সুপার হাকছেদ আলীর আপন শশুর মোজাম্মেল হক। শশুর-জামাই যোগসাজস করে আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্য নিয়েই গাছগুলো বিক্রি করেছেন বলেও অভিযোগ তাদের।

গাছগুলোর ক্রেতা আবু সাঈদ বলেন, মাদরাসা সুপারের নিকট থেকে তিনি ১০ টি মেহগনি ও একটি লাটার গাছ ৩০ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছেন। তাই গাছগুলো কেটে সরিয়ে নিচ্ছেন।

মাদরাসা সুপার হাকছেদ আলী বলেন, মাদরাসার পরিবেশ রক্ষায় তৎকালিন ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তে রাস্তার ধারে গাছগুলো রোপণ করা হয়েছিল। রেজুলেশনের মাধ্যমে তাই গাছগুলো বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। সরকারি রাস্তায় লাগানো তাজা গাছ এভাবে বিক্রি করতে পারেন কি-না জানতে চাইলে প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যান তিনি।

মাদরাসা কমিটির সভাপতি মোজাম্মেল হক বলেন, ‘গাছ বিক্রির বিষয়ে কোনো রেজুলেশন হয়েছে কি-না সেটি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে আমার জামাই মাদরাসা সুপার ভালো বলতে পারবেন।’

মান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল হালিম বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।#

আপলোডকারীর তথ্য

মান্দায় এলেঙ্গা মাদরাসা সুপারের বিরুদ্ধে গাছ বিক্রির অভিযোগ<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ০৬:২১:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুন ২০২১
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, জিল্লুর রহমান, মান্দা (নওগাঁ), ১২ জুন ২০২১ :

নওগাঁর মান্দায় সরকারি রাস্তার বেশকিছু তাজা গাছ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে এলেঙ্গা দাখিল মাদরাসার সুপার হাকছেদ আলীর বিরুদ্ধে। ইতোমধ্যে মেহগনি প্রজাতির ওইসব গাছ কেটে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে পাঁজরভাঙ্গা বাজারের আবু সাঈদের স’ মিলে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার (১০ জুন) সকাল থেকে লোকজন মাদরাসা সংলগ্ন রাস্তার ধারের মেহগনি গাছগুলো কাটা শুরু করে। খোঁজ নিয়ে তারা জানতে পারেন গাছগুলো পাঁজরভাঙ্গা বাজারের স’ মিল মালিক আবু সাঈদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন মাদরাসা সুপার হাকছেদ আলী।

মাদরাসা সংলগ্ন এলেঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা আবুল হোসেন, খতিব সরদার, ইসমাইল হোসেনসহ আরও অনেকে জানান, দীর্ঘদিনেও মাদরাসাটি এমপিওভুক্ত হয়নি। শিক্ষার্থী না থাকায় ৬-৭ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে প্রতিষ্ঠানের পাঠদান কার্যক্রম। শিক্ষকরাও আসেন না। ইতোমধ্যে অনেকে পেশা বদল করেছেন। এ অবস্থায় হঠাৎ করেই মাসরাসা সংলগ্ন রাস্তার লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ১১ টি মেহগনি গাছ বিক্রি করে দেন সুপার হাকছেদ আলী। গাছগুলো কিভাবে বিক্রি করা হয়েছে এনিয়েও প্রশ্ন তোলেন তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বর্তমানে মাদরাসার কোনো কমিটি নেই। সর্বশেষ কমিটির সভাপতি ছিলেন সুপার হাকছেদ আলীর আপন শশুর মোজাম্মেল হক। শশুর-জামাই যোগসাজস করে আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্য নিয়েই গাছগুলো বিক্রি করেছেন বলেও অভিযোগ তাদের।

গাছগুলোর ক্রেতা আবু সাঈদ বলেন, মাদরাসা সুপারের নিকট থেকে তিনি ১০ টি মেহগনি ও একটি লাটার গাছ ৩০ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছেন। তাই গাছগুলো কেটে সরিয়ে নিচ্ছেন।

মাদরাসা সুপার হাকছেদ আলী বলেন, মাদরাসার পরিবেশ রক্ষায় তৎকালিন ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তে রাস্তার ধারে গাছগুলো রোপণ করা হয়েছিল। রেজুলেশনের মাধ্যমে তাই গাছগুলো বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। সরকারি রাস্তায় লাগানো তাজা গাছ এভাবে বিক্রি করতে পারেন কি-না জানতে চাইলে প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যান তিনি।

মাদরাসা কমিটির সভাপতি মোজাম্মেল হক বলেন, ‘গাছ বিক্রির বিষয়ে কোনো রেজুলেশন হয়েছে কি-না সেটি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে আমার জামাই মাদরাসা সুপার ভালো বলতে পারবেন।’

মান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল হালিম বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।#