মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ :
নওগাঁয় জাতভেদে আম পাড়ার তারিখ নির্ধারণ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। নিরাপদ, বিষমুক্ত ও পরিপক্ব আম বাজারজাত নিশ্চিত করতে স্থানীয় আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ২০ মের আগে কোনো জাতের আম নামানো যাবে না।
মঙ্গলবার (১১ মে) নওগাঁ জেলা প্রশাসনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ভোক্তা অধিকারের স্বার্থে ও নওগাঁর আমের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে প্রতিবছর এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়ে থকে। তবে আবহাওয়া, তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাতসহ কোনো কারণে এই তারিখ পরিবর্তন করতে হলে তা সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনের পূর্বানুমতি নিতে হবে। এই আদেশ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনকে আমবাগানগুলোতে কঠোর নজদারি রাখতে বলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক হারুণ-অর রশিদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নওগাঁয় সাধারণত গুটি জাতের কিছু আম সবার আগে পাকে। জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবার আগামী ২০ মে থেকে এই আমটি গাছ থেকে নামাতে পারবেন চাষিরা। আর উন্নত জাতের আমগুলোর মধ্যে গোপালভোগ, রাণী, পছন্দ ২৭ মে, এবং ক্ষীরশাপাত বা হিমসাগর ২ জুন থেকে নামানো যাবে
এছাড়া নাগ ফজলি ৪ জুন, ল্যাংড়া আম ১০ জুন, ফজলি ২০ জুন এবং আম্রপালি ২২ জুন থেকে নামানো যাবে। আর সবার শেষে ৮ জুলাই থেকে নামানো যাবে আশ্বিনা ও বারি-৪ জাতের আম।
জেলা প্রশাসক হারুণ-অর রশিদ বলেন, ‘অসময়ে আম পাড়া বন্ধে এবং ক্যালসিয়াম, কার্বাইড, পিজিআর, ফরমালিন, ইথিফনের মতো কেমিক্যাল ব্যবহারের মাধ্যমে যেন আম পাকানো না হয়, তার জন্য গাছ থেকে আম নামানোর ক্ষেত্রে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং পুলিশ কঠোরভাবে মনিটরিং করবে।’
তিনি বলেন, ‘তবে আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে কোথাও নির্ধারিত সময়ের আগে গাছে আম পাকলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়ে চাষিরা আম পাড়তে পারবেন।’
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, ‘কৃষি ও খাদ্য পণ্যবাহী পরিবহণ লকডাউনের আওতার বাইরে আছে। তাই আমচাষিদের আম রপ্তানিতে কোনো বেগ পেতে হবে না।’
উল্লেখ্য, চলতি মৌসুমে নওগাঁয় ২৮ হাজার সাতশ ৫০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ করা হয়েছে। গত বছর ২৫ হাজার পাঁচশ ৭৩ হেক্টর জমিতে আম চাষ করা হয়েছিল। এবার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তিন লাখ ২০ মেট্রিক টন। #