নওগাঁ ০৫:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

নওগাঁয় আমে উঁকুন পোকার আক্রমন<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ২২ এপ্রিল ২০২১ :

দেশের অন্যতম শীর্ষ আম উৎপাদনকারি জেলা নওগাঁয় চলতি মৌসুমের প্রায় ছয়মাস ধরে অনাবৃষ্টির ফলে তীব্র খরায় গাছ থেকে অনবরত ঝড়ে পড়ছে গোপালভোগ, লেংড়া, আমরুপালী, আশ্বিনা বানানা মাংগো. ফজলীসহ ছোট বড় বিভিন্ন প্রজাতির আম।
সেই সাথে জেলার বরেন্দ্র অঞ্চল হিসেবে পরিচিত সাপাহার, পোরশা, নিয়ামতপুর, পতœীতলায় আমে হপার, উঁকুনপোকাসহ বিভিন্ন পোকা মাকড়ের আক্রমন দেখা দিয়েছে। এয়াড়া মরিচা রোগ দেখা দেয়ায় আমের শরীরে মরিচাসহ আম ফেটে যাচ্ছে। এই রোগাক্রান্ত বেশিরভাগ আম ধারণ করছে কালো রঙ।

এসব আমে কীটনাশক,প্রতিষেধক ব্যবহার করেও কোন সুফল মিলছেনা বলে অভিযোগ আম চাষিদের। এ অবস্থা চলতে থাকলে জেলায় আমের উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে। আমচাষিরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবার আশংকা করছেন।

জেলায় চলতি মৌসুমে ২৫ হাজার ৭৮৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ করা হয়েছে। এ থেকে তিন লাখ মেট্রিক টন আম উৎপাদিত হবে বলে আশা করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

সাপাহার উপজেলার আমচাষি আজিজুল হক বলেন, এ বছর অতিরিক্ত খরায় আমে হপার ও মাকর পোকার আক্রমন খুব বেশি। ১৫ দিন পর পর ওষুধ স্প্রে করছি। কিন্তু এসব পোকা দমন হচ্ছেনা। একমাত্র বৃষ্টিপাত হলেই পোকার হাত থেকে আম রক্ষা পাবে বলে জানান এই আম চাষি।

মহাদেবপুর উপজেলার আম চাষি মাহফুজুর রহমান জানান, অনাবৃষ্টিতে এ বছর আমে হপার, পোকা মাকড় ও এক জাতীয় মাছির আক্রমন হচ্ছে। এতে আম কালো হয়ে যাচ্ছে। কোন ওষুধ দিয়েই কাজ হচ্ছেনা। এ বছর বৃষ্টির পানি না থাকায় আমের ফলনও কম হবে বলে মনে করছেন এই আম চাষি।

সাপাহারের আমচাষি ইউনুছ আলী জানান, দীর্ঘ সময় ধরে অনাবৃষ্টির ফলে আমের দাগ ও ছত্রাক কোন ওষুধ দিয়ে দূর করতে পারছিনা। ঝড়ে পড়ায় আম উৎপাদন অনেকটা কম হবে। একমাত্র বৃষ্টিপাত হলেই এসব পোকা মাকড় ও ছত্রাক দূর হতে পারে বলে জানান তিনি।

পোরশার আমচাষি আমির হোসেন বাবু বলেন, আমে এমন পোকা মাকড়ের আক্রমন কখনও হয়নি। এ অবস্থায় আমরা দিশেহারা হয়ে পড়েছি। বারবার ওষুধ দিয়েও পোকা মাকড় দমন হচ্ছেনা। এ অবস্থা চলতে থাকলে এবং শীঘ্রই বৃষ্টিপাত না হলে এবার আম চাষিরা ক্ষতির মুখে পড়বেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁর উপ-পরিচালক মো: সামশুল ওয়াদুদ জানান, জেলার সাপাহার উপজেলাসহ কিছু এলাকায় আম ধরা ও রোগ বালাইয়ের কারণে ঝড়ে পড়লেও এতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রায় কোন প্রভার পড়বেনা। আর যে সব আমে মরিচাসহ অন্যান্য রোগবালাই পোকা-মাকড়ের আক্রমন দেখা দিয়েছে কৃষি বিভাগের পরামর্শ মোতাবেক ওইসব আমে কীটনাশক ও প্রতিষেধক ব্যবহার করলে রোগ বালাই ও পোকা-মাকড়ের আক্রমন থেকে আম রক্ষা করা সম্ভব। আর বৃষ্টিপাত হলে আমের ঝড়ে পড়া রোধ করা সম্ভব হবে।#

আপলোডকারীর তথ্য

নওগাঁয় আমে উঁকুন পোকার আক্রমন<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ০৮:২০:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল ২০২১
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ২২ এপ্রিল ২০২১ :

দেশের অন্যতম শীর্ষ আম উৎপাদনকারি জেলা নওগাঁয় চলতি মৌসুমের প্রায় ছয়মাস ধরে অনাবৃষ্টির ফলে তীব্র খরায় গাছ থেকে অনবরত ঝড়ে পড়ছে গোপালভোগ, লেংড়া, আমরুপালী, আশ্বিনা বানানা মাংগো. ফজলীসহ ছোট বড় বিভিন্ন প্রজাতির আম।
সেই সাথে জেলার বরেন্দ্র অঞ্চল হিসেবে পরিচিত সাপাহার, পোরশা, নিয়ামতপুর, পতœীতলায় আমে হপার, উঁকুনপোকাসহ বিভিন্ন পোকা মাকড়ের আক্রমন দেখা দিয়েছে। এয়াড়া মরিচা রোগ দেখা দেয়ায় আমের শরীরে মরিচাসহ আম ফেটে যাচ্ছে। এই রোগাক্রান্ত বেশিরভাগ আম ধারণ করছে কালো রঙ।

এসব আমে কীটনাশক,প্রতিষেধক ব্যবহার করেও কোন সুফল মিলছেনা বলে অভিযোগ আম চাষিদের। এ অবস্থা চলতে থাকলে জেলায় আমের উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে। আমচাষিরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবার আশংকা করছেন।

জেলায় চলতি মৌসুমে ২৫ হাজার ৭৮৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ করা হয়েছে। এ থেকে তিন লাখ মেট্রিক টন আম উৎপাদিত হবে বলে আশা করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

সাপাহার উপজেলার আমচাষি আজিজুল হক বলেন, এ বছর অতিরিক্ত খরায় আমে হপার ও মাকর পোকার আক্রমন খুব বেশি। ১৫ দিন পর পর ওষুধ স্প্রে করছি। কিন্তু এসব পোকা দমন হচ্ছেনা। একমাত্র বৃষ্টিপাত হলেই পোকার হাত থেকে আম রক্ষা পাবে বলে জানান এই আম চাষি।

মহাদেবপুর উপজেলার আম চাষি মাহফুজুর রহমান জানান, অনাবৃষ্টিতে এ বছর আমে হপার, পোকা মাকড় ও এক জাতীয় মাছির আক্রমন হচ্ছে। এতে আম কালো হয়ে যাচ্ছে। কোন ওষুধ দিয়েই কাজ হচ্ছেনা। এ বছর বৃষ্টির পানি না থাকায় আমের ফলনও কম হবে বলে মনে করছেন এই আম চাষি।

সাপাহারের আমচাষি ইউনুছ আলী জানান, দীর্ঘ সময় ধরে অনাবৃষ্টির ফলে আমের দাগ ও ছত্রাক কোন ওষুধ দিয়ে দূর করতে পারছিনা। ঝড়ে পড়ায় আম উৎপাদন অনেকটা কম হবে। একমাত্র বৃষ্টিপাত হলেই এসব পোকা মাকড় ও ছত্রাক দূর হতে পারে বলে জানান তিনি।

পোরশার আমচাষি আমির হোসেন বাবু বলেন, আমে এমন পোকা মাকড়ের আক্রমন কখনও হয়নি। এ অবস্থায় আমরা দিশেহারা হয়ে পড়েছি। বারবার ওষুধ দিয়েও পোকা মাকড় দমন হচ্ছেনা। এ অবস্থা চলতে থাকলে এবং শীঘ্রই বৃষ্টিপাত না হলে এবার আম চাষিরা ক্ষতির মুখে পড়বেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁর উপ-পরিচালক মো: সামশুল ওয়াদুদ জানান, জেলার সাপাহার উপজেলাসহ কিছু এলাকায় আম ধরা ও রোগ বালাইয়ের কারণে ঝড়ে পড়লেও এতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রায় কোন প্রভার পড়বেনা। আর যে সব আমে মরিচাসহ অন্যান্য রোগবালাই পোকা-মাকড়ের আক্রমন দেখা দিয়েছে কৃষি বিভাগের পরামর্শ মোতাবেক ওইসব আমে কীটনাশক ও প্রতিষেধক ব্যবহার করলে রোগ বালাই ও পোকা-মাকড়ের আক্রমন থেকে আম রক্ষা করা সম্ভব। আর বৃষ্টিপাত হলে আমের ঝড়ে পড়া রোধ করা সম্ভব হবে।#