নওগাঁ ০৪:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

ঠাকুরমান্দার রঘুনাথ মন্দিরে রামনবমীর পুজা অনুষ্ঠিত<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

মহাদেবপুর দর্পণ, জিল্লুর রহমান, মান্দা (নওগাঁ), ২১ এপ্রিল ২০২১ :

স্বাস্থ্যবিধি মেনে নওগাঁর মান্দা উপজেলার ঠাকুরমান্দায় অবস্থিত রঘুনাথ মন্দিরে রামনবমীর পুজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বল্প পরিসরে বুধবার সকাল ৬টা থেকে রামচন্দ্রের বিগ্রহে পূজা-অর্চনা শুরু করা হয়। এরপর আগত ভক্তরা দুরত্ব মেনে মন্দিরে ভোগ প্রদান করেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, চৈত্র মাসের নবম শুক্লা তিথিতে রামনবমী পুজা ও মেলা উপলক্ষে মন্দির প্রাঙ্গণে দেশ-বিদেশের ভক্তদের আগমন ঘটে। কিন্তু করোনাভাইরাসের মহামারীর কারণে এবছর অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। মন্দিরটি ঘিরে কিংবদন্তি রয়েছে এখানে মানত করে বন্ধ্যা নারীরা সন্তান লাভ করে, দৃষ্টি শক্তি ফিরে পায় অন্ধরা। আরো অনেকে আসেন বিভিন্ন অসুখবিসুখ থেকে আরোগ্য লাভের আশায়।

উল্লেখ্য, মান্দা উপজেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার পশ্চিমে ঠাকুরমান্দা জনপদে অবস্থিত এই মন্দিরটি হিন্দুদের অন্যতম তীর্থস্থান। পুন্ড্রবর্ধনের অন্যতম প্রাচীন জনপদ হিসেবে ঠাকুরমান্দার ঐতিহাসিক পরিচিতি রয়েছে। পাল আমলের বিভিন্ন প্রতœ নিদর্শন এই জনপদ থেকে আবিষ্কৃত হয়।

১৯৯৭ সাল থেকে মন্দিরটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন চন্দন কুমার মৈত্র। তিনি জানান, ঠাকুরমান্দার রঘুনাথ মন্দির উত্তরাঞ্চলের অন্যতম তীর্থস্থান। এ তীর্থ দর্শনে প্রতিবছর দেশ-বিদেশ থেকে লাখ-লাখ ভক্ত দর্শনার্থীর আগমন ঘটে। অনেকে মনোবসনা পুরণের লক্ষে মন্দিরে মানত করেন। উৎসবকে ঘিরে সকল সম্প্রদায়ের মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয় মন্দির প্রাঙ্গণ।
তিনি আরও বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে এবছর পুজা-অর্চনা ছাড়া সবকিছুই সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে যতটুকু সম্ভব সেটুকুই পালন করেছেন ভক্তরা।

মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক সত্যেন্দ্রনাথ প্রামানিক জানান, মন্দিরের আবাসন সমস্যা দীর্ঘদিনের। লাখো ভক্ত-দর্শনার্থীরা মন্দিরে মানত করতে এসে খোলা আকাশের নিচে রাত যাপন করেন। ভারত সরকারের দেওয়া অনুদানে একটি আবাসন তৈরি করা হয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।#

আপলোডকারীর তথ্য

ঠাকুরমান্দার রঘুনাথ মন্দিরে রামনবমীর পুজা অনুষ্ঠিত<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ০১:০৫:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ এপ্রিল ২০২১

মহাদেবপুর দর্পণ, জিল্লুর রহমান, মান্দা (নওগাঁ), ২১ এপ্রিল ২০২১ :

স্বাস্থ্যবিধি মেনে নওগাঁর মান্দা উপজেলার ঠাকুরমান্দায় অবস্থিত রঘুনাথ মন্দিরে রামনবমীর পুজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বল্প পরিসরে বুধবার সকাল ৬টা থেকে রামচন্দ্রের বিগ্রহে পূজা-অর্চনা শুরু করা হয়। এরপর আগত ভক্তরা দুরত্ব মেনে মন্দিরে ভোগ প্রদান করেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, চৈত্র মাসের নবম শুক্লা তিথিতে রামনবমী পুজা ও মেলা উপলক্ষে মন্দির প্রাঙ্গণে দেশ-বিদেশের ভক্তদের আগমন ঘটে। কিন্তু করোনাভাইরাসের মহামারীর কারণে এবছর অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। মন্দিরটি ঘিরে কিংবদন্তি রয়েছে এখানে মানত করে বন্ধ্যা নারীরা সন্তান লাভ করে, দৃষ্টি শক্তি ফিরে পায় অন্ধরা। আরো অনেকে আসেন বিভিন্ন অসুখবিসুখ থেকে আরোগ্য লাভের আশায়।

উল্লেখ্য, মান্দা উপজেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার পশ্চিমে ঠাকুরমান্দা জনপদে অবস্থিত এই মন্দিরটি হিন্দুদের অন্যতম তীর্থস্থান। পুন্ড্রবর্ধনের অন্যতম প্রাচীন জনপদ হিসেবে ঠাকুরমান্দার ঐতিহাসিক পরিচিতি রয়েছে। পাল আমলের বিভিন্ন প্রতœ নিদর্শন এই জনপদ থেকে আবিষ্কৃত হয়।

১৯৯৭ সাল থেকে মন্দিরটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন চন্দন কুমার মৈত্র। তিনি জানান, ঠাকুরমান্দার রঘুনাথ মন্দির উত্তরাঞ্চলের অন্যতম তীর্থস্থান। এ তীর্থ দর্শনে প্রতিবছর দেশ-বিদেশ থেকে লাখ-লাখ ভক্ত দর্শনার্থীর আগমন ঘটে। অনেকে মনোবসনা পুরণের লক্ষে মন্দিরে মানত করেন। উৎসবকে ঘিরে সকল সম্প্রদায়ের মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয় মন্দির প্রাঙ্গণ।
তিনি আরও বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে এবছর পুজা-অর্চনা ছাড়া সবকিছুই সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে যতটুকু সম্ভব সেটুকুই পালন করেছেন ভক্তরা।

মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক সত্যেন্দ্রনাথ প্রামানিক জানান, মন্দিরের আবাসন সমস্যা দীর্ঘদিনের। লাখো ভক্ত-দর্শনার্থীরা মন্দিরে মানত করতে এসে খোলা আকাশের নিচে রাত যাপন করেন। ভারত সরকারের দেওয়া অনুদানে একটি আবাসন তৈরি করা হয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।#