নওগাঁ ০১:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

রাণীনগরে দুইকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত জীবাণুনাশক ট্যানেল অকেজো<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ২১ এপ্রিল ২০২১ :

নওগাঁর রাণীনগরে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চারটি জীবাণুনাশক ট্যানেল স্থাপন করা হয় গত বছরের ১৪ জুলাই। স্থাপনের মাস খানেক পর থেকে ট্যানেলগুলো বন্ধ রয়েছে। দিন দিন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। অথচ মহামারির এমন ক্রান্তিলগ্নে গুরুত্বপূর্ণ এই ট্যানেলগুলো সচল করার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো পদক্ষেপ নেই।

সূত্রে জানা গেছে, গত বছর করোনা ভাইরাস মহামারির সময় এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের করোনাভাইরাস প্রতিরোধের বিশেষ প্রকল্পের আওতায় এক লাখ ৭৩ হাজার টাকা ব্যয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গনে একটি, উপজেলা পরিষদের নতুন ভবনের প্রধান গেইটে দুইটি ও থানার গেইটে একটিসহ মোট চারটি জীবাণুনাশক ট্যানেল স্থাপন করা হয়।

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই ট্যানেলগুলো নির্মাণ করা হয়েছিলো। উপজেলার এই তিনটি জায়গা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন বিভিন্ন কাজে অসংখ্য মানুষকে এই তিনটি অফিসে বিভিন্ন কাজে আসতে হয়। তাই এই অফিসগুলোতে আসা মানুষদের জীবাণুমুক্ত করার লক্ষে যে কোনো মানুষ এই ট্যানেলের মধ্যে দিয়ে যাবার সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওই ব্যক্তির শরীরে তরল জীবাণুনাশক স্প্রে হবে।

কিন্তু পরবর্তিতে কর্তৃপক্ষের যথাযথ পদক্ষেপের অভাবে এই ট্যানেল চারটি অচল হয়ে পড়ে রয়েছে। বর্তমানে আবার নতুন করে করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করেছে। এই ট্যানেলগুলো স্থাপনের পর থেকে সচল রাখা প্রয়োজন হলেও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে আজোও তা চালু রাখা হয়নি।

উপজেলায় আসা বীরমুক্তিযোদ্ধা রথীন্দ্রনাথ সরকার জানান, আবার নতুন করে যে ভাবে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে তাতে করে স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি জনমুখর স্থানগুলোতে এই ধরনের জীবাণুনাশক ট্যানেলগুলো সকলের জন্য খুবই প্রয়োজন। কিন্তু রাণীনগরে স্থাপন করা এই সব গুরুত্বপূর্ণ ট্যানেলগুলো কী কারণে বন্ধ রয়েছে তা আমার জানা নেই। এগুলো অতিদ্রুত চালু করা প্রয়োজন।

উপজেলা প্রকৌশলী শাহ মো: শহীদুল হক বলেন তৎকালীন সময়ে যে কর্মকর্তা এই দপ্তরে ছিলেন তার নেতৃত্বেই এই কাজটি সম্পন্ন করা হয়। আমার জানা মতে এই ট্যানেলগুলো ভালো আছে শুধুমাত্র তরল জীবাণুনাশক দিলেই আবার এগুলো চালু হবে। তবে আমি বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে আবার এগুলো সচল করার দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।#

আপলোডকারীর তথ্য

রাণীনগরে দুইকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত জীবাণুনাশক ট্যানেল অকেজো<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ১২:০৫:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ এপ্রিল ২০২১
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ২১ এপ্রিল ২০২১ :

নওগাঁর রাণীনগরে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চারটি জীবাণুনাশক ট্যানেল স্থাপন করা হয় গত বছরের ১৪ জুলাই। স্থাপনের মাস খানেক পর থেকে ট্যানেলগুলো বন্ধ রয়েছে। দিন দিন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। অথচ মহামারির এমন ক্রান্তিলগ্নে গুরুত্বপূর্ণ এই ট্যানেলগুলো সচল করার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো পদক্ষেপ নেই।

সূত্রে জানা গেছে, গত বছর করোনা ভাইরাস মহামারির সময় এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের করোনাভাইরাস প্রতিরোধের বিশেষ প্রকল্পের আওতায় এক লাখ ৭৩ হাজার টাকা ব্যয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গনে একটি, উপজেলা পরিষদের নতুন ভবনের প্রধান গেইটে দুইটি ও থানার গেইটে একটিসহ মোট চারটি জীবাণুনাশক ট্যানেল স্থাপন করা হয়।

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই ট্যানেলগুলো নির্মাণ করা হয়েছিলো। উপজেলার এই তিনটি জায়গা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন বিভিন্ন কাজে অসংখ্য মানুষকে এই তিনটি অফিসে বিভিন্ন কাজে আসতে হয়। তাই এই অফিসগুলোতে আসা মানুষদের জীবাণুমুক্ত করার লক্ষে যে কোনো মানুষ এই ট্যানেলের মধ্যে দিয়ে যাবার সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওই ব্যক্তির শরীরে তরল জীবাণুনাশক স্প্রে হবে।

কিন্তু পরবর্তিতে কর্তৃপক্ষের যথাযথ পদক্ষেপের অভাবে এই ট্যানেল চারটি অচল হয়ে পড়ে রয়েছে। বর্তমানে আবার নতুন করে করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করেছে। এই ট্যানেলগুলো স্থাপনের পর থেকে সচল রাখা প্রয়োজন হলেও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে আজোও তা চালু রাখা হয়নি।

উপজেলায় আসা বীরমুক্তিযোদ্ধা রথীন্দ্রনাথ সরকার জানান, আবার নতুন করে যে ভাবে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে তাতে করে স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি জনমুখর স্থানগুলোতে এই ধরনের জীবাণুনাশক ট্যানেলগুলো সকলের জন্য খুবই প্রয়োজন। কিন্তু রাণীনগরে স্থাপন করা এই সব গুরুত্বপূর্ণ ট্যানেলগুলো কী কারণে বন্ধ রয়েছে তা আমার জানা নেই। এগুলো অতিদ্রুত চালু করা প্রয়োজন।

উপজেলা প্রকৌশলী শাহ মো: শহীদুল হক বলেন তৎকালীন সময়ে যে কর্মকর্তা এই দপ্তরে ছিলেন তার নেতৃত্বেই এই কাজটি সম্পন্ন করা হয়। আমার জানা মতে এই ট্যানেলগুলো ভালো আছে শুধুমাত্র তরল জীবাণুনাশক দিলেই আবার এগুলো চালু হবে। তবে আমি বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে আবার এগুলো সচল করার দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।#