মহাদেবপুর দর্পণ, এম, এ, মালেক, স্টাফ রিপোর্টার, ধামইরহাট (নওগাঁ), ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১ :
রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারী) বেলা ১১টায় নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের সামনে যাচাই-বাছাইয়ে বাদপড়া ৫৭ জন বীরমুক্তিযোদ্ধা, তাদের পরিবার, সন্তান ও সচেতন সমাজের উদ্যোগে ঘন্টা কালব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
গত ৬, ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল জামুকার অনুমোদন ব্যতীত বেসামরিক গেজেটধারী বীরমুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠিত হয়। এতে সাক্ষী না থাকা, সাক্ষীদের সাক্ষ্য কমিটির নিকট সঠিক মনে না হওয়া ও সংশ্লিষ্ট প্রমানক না থাকায় ৫৭ বীরমুক্তিযোদ্ধার নাম বাদ দেয়া হয়। এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন জামুকার নিয়োগ করা কমিটি গত ২২ ফেব্রুয়ারী জামুকার মহাপরিচালক বরাবর পাঠায়।
মানববন্ধন চলাকালে বীরমুক্তিযোদ্ধা ইয়াকুব আলী, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ফারুক হোসেন, প্রভাষক সুলতান মাহমুদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা অভিযোগ করেন যে, বাদপড়া সকলেই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। তাদেরকে অন্যায়ভাবে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বাদপড়ার খবর পেয়েই বীরমুক্তিযোদ্ধা সাহার আলী হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু ঘটেছে। যাচাই-বাছাই কমিটিতে যুদ্ধকালীন কমান্ডার ছাড়াই বীরমুক্তিযোদ্ধা বদিউজ্জামানকে সভাপতি করা হয়েছে- যা জামুকার নীতিমালার পরিপন্থি।
উপজেলা সাবেক কমান্ডার ও যুদ্ধকালীন কমান্ডার ফরমুদ হোসেন বলেন, কমিটিতে প্রথমে জামুকা ধামইরহাটের যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে আমাকে সভাপতি নিয়োগ করেন। পরে যাচাই-বাছাইয়ের ২ দিন পূর্বে আমাকে বাদ দিয়ে অন্য একজনকে সভাপতি নিয়োগ করা হয়েছে- যা বিধি বহিভর্ূূত। অনেক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার নাম তালিকায় না আসায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা বদিউজ্জামান বলেন, ‘আমরা যা করেছি সঠিক ভাবেই কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মতামত নিয়েই করেছি। এতে কোন অনিয়ম হয়নি।’#