নওগাঁ ০৭:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

খুঁড়িয়ে চলছে নওগাঁ আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন প্রজনন খামার<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১ :

প্রায় দুইযুগ আগে নওগাঁর সদর উপজেলার সান্তাহার-ঢাকা রোডের শাহাপুর নামক স্থানে স্থাপিত ‘নওগাঁ আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামার’ সংস্কারের অভাবে এখন নানা সমস্যায় জর্জরিত। রাস্তায় উপর পানি জমে থেকে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দেয়ালে নোনা ধরে পলেস্তারা খসে পড়ছে। এছাড়া নেটগুলোতে মরিচা ধরে নষ্ট হচ্ছে। আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামারের মধ্যে এটি সর্ববৃহৎ হলেও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে এখন খুঁড়িয়ে চলছে খামারের কার্যক্রম।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ১৯৯৯ সালে সাত একর জমির ওপর খামারটি প্রতিষ্ঠিত হয়। খামারে আটটি শেড, গুদাম ঘর, হ্যাচিং, অফিস কক্ষ ও আবাসিক ব্যবস্থা রয়েছে। সেবছর ডিসেম্বর থেকেই খামারে বাচ্চা পালনসহ যাবতীয় কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে খামারে খাকি ক্যাম্পবেল ৩৫০ পিস, জেন্ডিং ৩১০ পিস এবং বেইজিং ৬০০ পিস জাতের হাঁস রয়েছে। এখানে বাচ্চা উৎপাদন, প্রজনন ও একদিন বয়সের বাচ্চা বিক্রি করা হয়।

এখানে বাৎসরিক লক্ষ্যমাত্রা বাচ্চা উৎপাদন ১ লাখ ৩০ হাজার পিস, বাচ্চা পালন ৫ হাজার পিস ও ডিমের উৎপাদন ৩ লাখ ২৪ হাজার পিস। প্রতিমাসে পাঁচদিন পর পর হ্যাচিং থেকে বাচ্চা বের হয়। খামার থেকে উন্নত জাতের হাঁসের মাংস ও ডিমের চাহিদা পূরণ হচ্ছে।

এ খামার থেকে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের নওগাঁ, পাবনা, নাটোর, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জয়পুরহাট, দিনাজপুরসহ ২০টি জেলায় উৎপাদিত খাকি ক্যাম্পবেল, জেন্ডিং ও বেইজিং হাঁসের বাচ্চা সরবরাহ করা হয়ে থাকে। তবে চাহিদার তুলনায় বাচ্চার উৎপাদন কম।

খামারের ভেতরে প্রায় এক কিলোমিটার ইটের হেয়ারিং রাস্তা রয়েছে। রাস্তা নিচু হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে পানি জমে থাকে। খামারটি স্থাপিত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের সংস্কার করা হয়নি। দেয়ালে নোনা ধরে পলেস্তারা খসে পড়ছে, ছাউনির টিনে মচিরা এবং নেটগুলোতে রং না করায় মরিচা ধরে নষ্ট হয়েছে। অনেক জায়গায় মরিচা ধরে নেট ছিঁড়ে যাওয়ায় জোড়াতালি দেয়া হয়েছে। আবাসিক ভবনের অবস্থাও জরাজীর্ণ।

নওগাঁ আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামারের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এটি সরকারের একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। সরকারি খামার হওয়ায় ভালো সেবা পেয়ে উদ্যোক্তারা উপকৃত হচ্ছেন। তবে বাচ্চার চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম। সাধ্যমতো চেষ্টা করছি খামারিদের চাহিদা মেটানোর জন্য।’

তিনি বলেন, এখানে মঞ্জুরিকৃত ১৪টি পদ থাকলেও কর্মরত আছেন ১২ জন। এর মধ্যে দুইজন প্রেষণে আছেন এবং ডাক অ্যাটেনডেন্ট পদ ফাঁকা রয়েছে।’

‘খামারটি বর্তমানে নানা সমস্যায় জর্জরিত। সবকিছু নতুন করে সংস্কার করা প্রয়োজন। শেডের নেট ও রাস্তা সংস্কার করা জরুরি। রাস্তার ইটগুলো অপসারণ করে পাকা রাস্তা নির্মাণ, অতিরিক্ত আরও দুইটি শেড নির্মাণ করা প্রয়োজন। চাহিদা মাফিক একটা বরাদ্দ পাঠানো হয়েছে। সমস্যাগুলো সমাধান করা হলে জাতীয় অর্থনীতিতে খামারটি বড় ভূমিকা রাখবে।’#

আপলোডকারীর তথ্য

খুঁড়িয়ে চলছে নওগাঁ আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন প্রজনন খামার<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ০৪:৩০:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১ :

প্রায় দুইযুগ আগে নওগাঁর সদর উপজেলার সান্তাহার-ঢাকা রোডের শাহাপুর নামক স্থানে স্থাপিত ‘নওগাঁ আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামার’ সংস্কারের অভাবে এখন নানা সমস্যায় জর্জরিত। রাস্তায় উপর পানি জমে থেকে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দেয়ালে নোনা ধরে পলেস্তারা খসে পড়ছে। এছাড়া নেটগুলোতে মরিচা ধরে নষ্ট হচ্ছে। আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামারের মধ্যে এটি সর্ববৃহৎ হলেও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে এখন খুঁড়িয়ে চলছে খামারের কার্যক্রম।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ১৯৯৯ সালে সাত একর জমির ওপর খামারটি প্রতিষ্ঠিত হয়। খামারে আটটি শেড, গুদাম ঘর, হ্যাচিং, অফিস কক্ষ ও আবাসিক ব্যবস্থা রয়েছে। সেবছর ডিসেম্বর থেকেই খামারে বাচ্চা পালনসহ যাবতীয় কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে খামারে খাকি ক্যাম্পবেল ৩৫০ পিস, জেন্ডিং ৩১০ পিস এবং বেইজিং ৬০০ পিস জাতের হাঁস রয়েছে। এখানে বাচ্চা উৎপাদন, প্রজনন ও একদিন বয়সের বাচ্চা বিক্রি করা হয়।

এখানে বাৎসরিক লক্ষ্যমাত্রা বাচ্চা উৎপাদন ১ লাখ ৩০ হাজার পিস, বাচ্চা পালন ৫ হাজার পিস ও ডিমের উৎপাদন ৩ লাখ ২৪ হাজার পিস। প্রতিমাসে পাঁচদিন পর পর হ্যাচিং থেকে বাচ্চা বের হয়। খামার থেকে উন্নত জাতের হাঁসের মাংস ও ডিমের চাহিদা পূরণ হচ্ছে।

এ খামার থেকে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের নওগাঁ, পাবনা, নাটোর, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জয়পুরহাট, দিনাজপুরসহ ২০টি জেলায় উৎপাদিত খাকি ক্যাম্পবেল, জেন্ডিং ও বেইজিং হাঁসের বাচ্চা সরবরাহ করা হয়ে থাকে। তবে চাহিদার তুলনায় বাচ্চার উৎপাদন কম।

খামারের ভেতরে প্রায় এক কিলোমিটার ইটের হেয়ারিং রাস্তা রয়েছে। রাস্তা নিচু হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে পানি জমে থাকে। খামারটি স্থাপিত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের সংস্কার করা হয়নি। দেয়ালে নোনা ধরে পলেস্তারা খসে পড়ছে, ছাউনির টিনে মচিরা এবং নেটগুলোতে রং না করায় মরিচা ধরে নষ্ট হয়েছে। অনেক জায়গায় মরিচা ধরে নেট ছিঁড়ে যাওয়ায় জোড়াতালি দেয়া হয়েছে। আবাসিক ভবনের অবস্থাও জরাজীর্ণ।

নওগাঁ আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামারের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এটি সরকারের একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। সরকারি খামার হওয়ায় ভালো সেবা পেয়ে উদ্যোক্তারা উপকৃত হচ্ছেন। তবে বাচ্চার চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম। সাধ্যমতো চেষ্টা করছি খামারিদের চাহিদা মেটানোর জন্য।’

তিনি বলেন, এখানে মঞ্জুরিকৃত ১৪টি পদ থাকলেও কর্মরত আছেন ১২ জন। এর মধ্যে দুইজন প্রেষণে আছেন এবং ডাক অ্যাটেনডেন্ট পদ ফাঁকা রয়েছে।’

‘খামারটি বর্তমানে নানা সমস্যায় জর্জরিত। সবকিছু নতুন করে সংস্কার করা প্রয়োজন। শেডের নেট ও রাস্তা সংস্কার করা জরুরি। রাস্তার ইটগুলো অপসারণ করে পাকা রাস্তা নির্মাণ, অতিরিক্ত আরও দুইটি শেড নির্মাণ করা প্রয়োজন। চাহিদা মাফিক একটা বরাদ্দ পাঠানো হয়েছে। সমস্যাগুলো সমাধান করা হলে জাতীয় অর্থনীতিতে খামারটি বড় ভূমিকা রাখবে।’#