
মহাদেবপুর দর্পণ, এমদাদুল হক দুলু, বদলগাছী (নওগাঁ), ৩১ জানুয়ারী ২০২১ :
নওগাঁ জেলা সদর হতে বদলগাছী উপজেলা সদর পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ জনগুরুত্বপূর্ণ প্রধান সড়কটি এলাকাবাসীর কাছে ব্যাপক আলোচিত বিধ্বস্ত সড়ক। সড়কতো নয় যেন মরন ফাঁদ। এ সড়কে মালবাহী চলন্ত যানবাহনের থামাতে গাড়ীর ব্রেকে পা দেওয়ার প্রয়োজন হয়না। সড়ক এমনভাবে বিধ্বস্ত ও ঝুকিপূর্ণ হয়ে পরেছে যে, হঠাৎ করেই দ্রুতগামী চলন্ত যানবাহনের চাকা ডেবে গিয়ে আটকে যায়। সড়ক যেন চলন্ত গাড়ীর ব্রেক।
নওগাঁ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ২০১৫ সালে নওগাঁ বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে বদলগাছী উপজেলার উপর দিয়ে পত্নীতলা পর্যন্ত আঞ্চলিক এই মহাসড়কের দুপার্শ্বে প্রশস্তকরণ সহ পূণনির্মান প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। এলাকাবাসী জানান, এ সড়কের বিভিন ্নস্থানে ভাঙ্গন ঠেকাতে সংষ্কার করলেও যে দিন সংষ্কার করা হয়েছে, ঠিক পরের দিন থেকেই তা আবার নষ্ট হতে শুরু করে। কাজের গুনগত মান নিম্ন হওয়ায় বদলগাছী উপজেলা সদর থেকে চাংলা গ্রাম পর্যন্ত ৩-৪ কিলোমিটার সড়কের বেহাল অবস্থা দেখা দেয়। বিগত বর্ষা মৌসুমের আগে থেকেই ফুটে ওঠে আঞ্চলিক এই মহাসড়কে নিম্নমানের কাজ ও পূণনির্মান প্রকল্পের অনিয়মের চিত্র।
চাংলা গ্রামের মুনসুর আলী, আহসান হাবিবসহ অর্ধশতাধিক গ্রামবাসী জানান, গত বর্ষা মৌসুমের শুরুর দিকে চাংলা গ্রামের কাছে চলন্ত মালবাহী ট্রাকের চাকা ডেবে গিয়ে ট্রাক আটকে যায়। এতে সড়ক বিধ্বস্ত হয়ে পরে। উপজেলা সদরসহ চাংলা গ্রাম পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে চলন্ত যানবাহনের চাকা সড়কে ডেবে গিয়ে আটকে যায়। মারাত্মকভাবে সড়ক বিধ্বস্ত হয়ে পরে। পুরো সড়ক ভারসাম্যহীন হয়ে পরেছে। এলাকাবাসীর মধ্যে এনিয়ে তোলপার সৃষ্টি হয়। এতে সড়ক নির্মাণ ও সংষ্কারের ব্যাপক অনিয়মের চিত্র ফুটে ওঠেছে।
গ্রামবাসী আরো জানান, সড়ক পূণনির্মানে নিম্নমানের ইট খোয়া দিলেও খোয়া পরিমানে কম এবং অতিরিক্ত নিম্নমানের বালু ব্যবহার করায় সড়কের এই দুর্দশা। গাড়ীর চাকা ডেবে গেলে কাঁদা ওঠে আসে।
জানতে চাইলে নওগাঁ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজেদুর রহমান সাজিদ বলেন, ‘সড়কের সমস্যাটি আমরা জরিপ করেছি এবং উপর মহল থেকে লোকজন এসে জরিপও করেছে। সড়কের দুপাশে মাঠ, সড়ক নিচু হওয়ায় পানি চুয়ে বেড নষ্ট হয়েছে। সড়কে মাটি ঢালার পর পুনরায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’#