নওগাঁ ১১:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

নওগাঁয় ১০৫৬ ভূমিহীন পরিবার বাড়ি পাচ্ছেন শনিবার<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ২২ জানুয়ারী ২০২১ :

মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে নওগাঁর এগারো উপজেলায় মাথা গোঁজার ঠাঁই পাচ্ছেন এক হাজার ৫৬টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। শনিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০ টায় গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হয়ে বাড়ি হস্তান্তর কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। এরপর এসব ঘর উপকারভোগীদের মাঝে বুঝে দেওয়া হবে।

নওগাঁর জেলা প্রশাসক হারুন অর রশিদ জানান, অধিকাংশ গৃহ নির্মাণের কাজ সমাপ্ত হয়েছে এবং সকল উপজেলায় কবুলিয়ত ও নামজারি সম্পন্ন হয়েছে।

তিনি জানান, জেলার এগার উপজেলার মধ্যে নওগাঁ সদর উপজেলায় ১১০টি, আত্রাই উপজেলায় ১৭৫টি, রাণীনগর উপজেলায় ৯০টি, বদলগাছী উপজেলায় ৪৮টি, সাপাহার উপজেলায় ১২০টি, পত্নীতলা উপজেলায় ১১৪টি, মহাদেবপুর উপজেলায় ৩৪টি, মান্দা উপজেলায় ৯০টি, ধামইরহাট উপজেলায় ১৫০টি, পোরশা উপজেলায় ৫৪টি ও নিয়ামতপুর উপজেলায় ৭১টি জমিসহ নির্মণন কাজ একেবারে শেষ পর্যায়ে।

এরমধ্যে ভিক্ষুক পরিবার ৩১টি, প্রতিবন্ধী পরিবার ১৫টি, অন্যের বাড়িতে-রাস্তার পাশে ও হাটের খোলা জায়গায় ঝুঁপড়ি ঘরে থাকা পরিবার ১১টি, স্বামী পরিত্যক্তা ও বিধবা ৫৫টি, দিনমজুর ১২টি, আদিবাসী ৯১টি এবং ক্ষুদ্র ও নৃগোষ্ঠী পরিবার ৭৩টি।

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘যারা ছিন্নমূল, যাদের জায়গা নেই, মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। তাদের কথা দরদের সাথে বিবেচনা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এইসব গৃহহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণ করে দিচ্ছেন সারাদেশ ব্যাপি। গৃহগুলো পাবার জন্য নওগাঁর গৃহহীনরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। যারা উপকারভোগী তারা এইসব গৃহ দেখে খুবই আনন্দিত। তাদের হাস্যউজ্জল মুখ দেখে আমরা খুবই অনুপ্রাণিত হচ্ছি।

গত ৭ জানুয়ারী অসহায়, ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার দুই শতক জমিসহ পাকা গৃহের কাজ দেখতে আকস্মিক নওগাঁ সফরে আসেন দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের সচিব মোহাম্মদ মোহসীন। তারা নওগাঁর পোরশা উপজেলার মশিদপুর ও ঘাটনগর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি স্থানে নির্মাণাধীন বাড়ী পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শন শেষে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, ‘নওগাঁ জেলার কাজের গুনগত মান খুবই ভালো। কাজ দেখে আমি সন্তুষ্ট।’ তিনি বলেন, ‘মুজিববর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন দেশে কেউ গৃহহীন থাকবেনা। সবার ঠিকানা হবে। এই প্রকল্পের প্রথম ধাপের আমরা ৭০ হাজার বাড়ী নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দিয়েছি।’

মনোরম পরিবেশ লাল ও আকাশি নীল রংয়ের ছাউনির সারি সারি নির্মিয়মান বাড়ীগুলো দেখে অসহায় ভূমিহীন পরিবার গুলোর মাঝে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ, চোখে মুখে উচ্ছাসের বহি:প্রকাশ। মহান স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পূনর্বাসন প্রকল্প গ্রহণ করে সরকার। এরই প্রেক্ষিতে ‘‘আশ্রায়নের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’’ এই প্রতিপাদ্যের আলোকে নওগাঁ জেলার এগারো উপজেলায় ‘ক’ শ্রেণীর গৃহহীন ও ভূমিহীনদের আশ্রায়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার হিসেবে দুই শতক জমিসহ এসব বাড়ী দেয়া হচ্ছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সার্বক্ষনিক তদারকি ও তত্ত্বাবধানে এসব বাড়ি হস্তান্তরের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

নওগাঁ সদর, মহাদেবপুর, মান্দা, পত্নীতলা ও পোরশা উপজেলার কয়েকজন উপকারভোগীর সাথে কথা বলে জানা যায়, কেউ অন্যের বাড়ীতে, কেউ বস্তি এলাকার ভাড়া বাড়ীতে, কেউ কেউ সরকারী খাঁস জমিতে কুড়ে ঘর নির্মাণ করে নিদারুন কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করে আসছেন। প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে নির্মিত বাড়ীগুলো দেখে তারা নিজের ঘরে, নিজের একটি জায়গায় বসবাস করার স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছেন। দীর্ঘ আকাঙ্খিত বাড়ীতে ওঠার সেই স্বপ্নে তারা এখন বিভোর। পরিবারগুলোর সদস্যরা বলেন, এত সুন্দর ইটের বাড়ীতে আমাদের বসবাসের সুযোগ হবে তা তারা কখনই ভাবেননি। তাছাড়া, জমি কিনে এ ধরনের একটি বাড়ী নির্মাণ করা তাদের পক্ষে অসম্ভব একটি বিষয় ছিলো। প্রধানমন্ত্রীর উপহার তাদের কাছে শুধু একটি মাথা গোঁজার ঠাঁই না একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন। উপকারভোগীরা বলেন, আমরা চির কৃতজ্ঞ প্রধানমন্ত্রীর নিকট।

নওগাঁ সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান জানান, নির্মাণাধীন এসব প্রতিটি বাড়ীর জন্য বরাদ্দ রয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। বাড়ীগুলোতে দুইটি ঘর, রয়েছে একটি টয়লট, একটি রান্নাঘর, সামনে খোলা বারান্দা। আমরা এ কাজে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছি। #

আপলোডকারীর তথ্য

নওগাঁয় ১০৫৬ ভূমিহীন পরিবার বাড়ি পাচ্ছেন শনিবার<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ১২:৩০:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ জানুয়ারী ২০২১
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ২২ জানুয়ারী ২০২১ :

মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে নওগাঁর এগারো উপজেলায় মাথা গোঁজার ঠাঁই পাচ্ছেন এক হাজার ৫৬টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। শনিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০ টায় গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হয়ে বাড়ি হস্তান্তর কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। এরপর এসব ঘর উপকারভোগীদের মাঝে বুঝে দেওয়া হবে।

নওগাঁর জেলা প্রশাসক হারুন অর রশিদ জানান, অধিকাংশ গৃহ নির্মাণের কাজ সমাপ্ত হয়েছে এবং সকল উপজেলায় কবুলিয়ত ও নামজারি সম্পন্ন হয়েছে।

তিনি জানান, জেলার এগার উপজেলার মধ্যে নওগাঁ সদর উপজেলায় ১১০টি, আত্রাই উপজেলায় ১৭৫টি, রাণীনগর উপজেলায় ৯০টি, বদলগাছী উপজেলায় ৪৮টি, সাপাহার উপজেলায় ১২০টি, পত্নীতলা উপজেলায় ১১৪টি, মহাদেবপুর উপজেলায় ৩৪টি, মান্দা উপজেলায় ৯০টি, ধামইরহাট উপজেলায় ১৫০টি, পোরশা উপজেলায় ৫৪টি ও নিয়ামতপুর উপজেলায় ৭১টি জমিসহ নির্মণন কাজ একেবারে শেষ পর্যায়ে।

এরমধ্যে ভিক্ষুক পরিবার ৩১টি, প্রতিবন্ধী পরিবার ১৫টি, অন্যের বাড়িতে-রাস্তার পাশে ও হাটের খোলা জায়গায় ঝুঁপড়ি ঘরে থাকা পরিবার ১১টি, স্বামী পরিত্যক্তা ও বিধবা ৫৫টি, দিনমজুর ১২টি, আদিবাসী ৯১টি এবং ক্ষুদ্র ও নৃগোষ্ঠী পরিবার ৭৩টি।

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘যারা ছিন্নমূল, যাদের জায়গা নেই, মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। তাদের কথা দরদের সাথে বিবেচনা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এইসব গৃহহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণ করে দিচ্ছেন সারাদেশ ব্যাপি। গৃহগুলো পাবার জন্য নওগাঁর গৃহহীনরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। যারা উপকারভোগী তারা এইসব গৃহ দেখে খুবই আনন্দিত। তাদের হাস্যউজ্জল মুখ দেখে আমরা খুবই অনুপ্রাণিত হচ্ছি।

গত ৭ জানুয়ারী অসহায়, ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার দুই শতক জমিসহ পাকা গৃহের কাজ দেখতে আকস্মিক নওগাঁ সফরে আসেন দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের সচিব মোহাম্মদ মোহসীন। তারা নওগাঁর পোরশা উপজেলার মশিদপুর ও ঘাটনগর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি স্থানে নির্মাণাধীন বাড়ী পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শন শেষে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, ‘নওগাঁ জেলার কাজের গুনগত মান খুবই ভালো। কাজ দেখে আমি সন্তুষ্ট।’ তিনি বলেন, ‘মুজিববর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন দেশে কেউ গৃহহীন থাকবেনা। সবার ঠিকানা হবে। এই প্রকল্পের প্রথম ধাপের আমরা ৭০ হাজার বাড়ী নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দিয়েছি।’

মনোরম পরিবেশ লাল ও আকাশি নীল রংয়ের ছাউনির সারি সারি নির্মিয়মান বাড়ীগুলো দেখে অসহায় ভূমিহীন পরিবার গুলোর মাঝে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ, চোখে মুখে উচ্ছাসের বহি:প্রকাশ। মহান স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পূনর্বাসন প্রকল্প গ্রহণ করে সরকার। এরই প্রেক্ষিতে ‘‘আশ্রায়নের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’’ এই প্রতিপাদ্যের আলোকে নওগাঁ জেলার এগারো উপজেলায় ‘ক’ শ্রেণীর গৃহহীন ও ভূমিহীনদের আশ্রায়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার হিসেবে দুই শতক জমিসহ এসব বাড়ী দেয়া হচ্ছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সার্বক্ষনিক তদারকি ও তত্ত্বাবধানে এসব বাড়ি হস্তান্তরের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

নওগাঁ সদর, মহাদেবপুর, মান্দা, পত্নীতলা ও পোরশা উপজেলার কয়েকজন উপকারভোগীর সাথে কথা বলে জানা যায়, কেউ অন্যের বাড়ীতে, কেউ বস্তি এলাকার ভাড়া বাড়ীতে, কেউ কেউ সরকারী খাঁস জমিতে কুড়ে ঘর নির্মাণ করে নিদারুন কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করে আসছেন। প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে নির্মিত বাড়ীগুলো দেখে তারা নিজের ঘরে, নিজের একটি জায়গায় বসবাস করার স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছেন। দীর্ঘ আকাঙ্খিত বাড়ীতে ওঠার সেই স্বপ্নে তারা এখন বিভোর। পরিবারগুলোর সদস্যরা বলেন, এত সুন্দর ইটের বাড়ীতে আমাদের বসবাসের সুযোগ হবে তা তারা কখনই ভাবেননি। তাছাড়া, জমি কিনে এ ধরনের একটি বাড়ী নির্মাণ করা তাদের পক্ষে অসম্ভব একটি বিষয় ছিলো। প্রধানমন্ত্রীর উপহার তাদের কাছে শুধু একটি মাথা গোঁজার ঠাঁই না একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন। উপকারভোগীরা বলেন, আমরা চির কৃতজ্ঞ প্রধানমন্ত্রীর নিকট।

নওগাঁ সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান জানান, নির্মাণাধীন এসব প্রতিটি বাড়ীর জন্য বরাদ্দ রয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। বাড়ীগুলোতে দুইটি ঘর, রয়েছে একটি টয়লট, একটি রান্নাঘর, সামনে খোলা বারান্দা। আমরা এ কাজে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছি। #