মহাদেবপুর দর্পণ, কাজী রওশন জাহান, নওগাঁ, ১৬ জানুয়ারী ২০২১ :
ধান রোপণের ভরা মৌসুমে নানা অজুহাতে নওগাঁয় সারের ডিলাররা বস্তাপ্রতি দেড়শ’ থেকে ২০০ টাকা বেশি নিচ্ছে। কৃষকদের অভিযোগ, অতিরিক্ত মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছে ডিলাররা। ব্যবসায়ী নেতাদের দাবি, কোনো অজুহাতে সারের বাড়তি দর নেওয়ার সুযোগ নেই। আর নির্ধারিত দরের অতিরিক্ত অর্থ নিলে ডিলারদের বিরুদ্ধে লাইসেন্স বাতিলসহ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি কৃষি বিভাগের।
নওগাঁর হাপানিয়া এলাকার কৃষক লুৎফর রহমান। ৩ বিঘা জমিতে ধান রোপণের প্রস্তুতি নিয়ে সার কিনতে আসেন স্থানীয় ডিলারের কাছে। সরকারি বেঁধে দেওয়া দরের চেয়ে বস্তা প্রতি দেড়শ’ টাকা বেশি দিয়ে সার কেনায় লুৎফরের মতো অনেক কৃষকেরই হিসাবের খাতা ওলটপালট হয়ে যাচ্ছে।
বোরো আবাদে ভর মৌসুম মাঠে চাষাবাদে ব্যস্ত চাষিরা। ভালো ফলন পেতে সার প্রয়োগ করেন চাষিরা। আর সারের চাহিদা বাড়ায় নানা কারণ দেখিয়ে ডিলাররা বেশি টাকা নিচ্ছে। কৃষকদের অভিযোগ, সঠিক নজরদারি না থাকায় অধিক মুনাফার সুযোগ নিচ্ছে ব্যবসায়ীরা।
ডিলারদের কাছ থেকে বেশি দরে সার কেনার কারণে মাঠপর্যায়ে বাড়তি দর নিচ্ছে বলে দাবি প্রান্তিক ব্যবসায়ীদের।
নওগাঁর হাপানিয়ার সার ডিলার মো. আবু হাসান বলেন, ভাড়া বেশি, মাল পাওয়া যাচ্ছে না, ইমপোর্ট কম হচ্ছে; এসব কারণে মালের দাম বেড়ে যাচ্ছে।
তবে সরকার নির্ধারিত দরের বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছেনা বলে দাবি ব্যবসায়ী নেতার। আর অধিক মূল্য নেওয়া হলে ডিলারশিপ বাতিলসহ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানায় কৃষি বিভাগ।
নওগাঁর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. সামসুল ওয়াদুদ বলেন, অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব।
ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশন নওগাঁ শাখার সভাপতি মো. রেজাউল ইসলাম বলেন, কোনোভাবেই যাতে সরকার নির্ধারিত দামের চাইতে বেশি না নেওয়া হয় সেটা ডিলারদের নির্দেশনা দেওয়া আছে।
কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি মাসে বিসিআইসি এবং বিএডিসির কাছ থেকে ইউরিয়া, ডিওপি ও এমওপি জাতের ৩৩ হাজার ৩৯৮ মেট্রিক টন সার উত্তোলন করেছেন ডিলাররা। জেলায় নিবন্ধিত ডিলার ৩২৬ জন।#