
মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ২৮ নভেম্বর :
নওগাঁ জেলার ১১ উপজেলায় ২৪ হাজার ৪শ’ চাষীর মধ্যে ৮টি ফসলের জন্য ২ কোটি ৬৯ লক্ষ ১৭ হাজার টাকার প্রণোদনার কৃষি পূণর্বাসন কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই এসব বিতরণের কাজ শুরু হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো: শামসুল ওয়াদুদ জানিয়েছেন, ২০২০-’২১ অর্থ বছরের রবি মওসুমে কৃষি পূণর্বাসন কর্মসূচীর আওতায় বিভিন্ন ফসলের জন্য ৩২ হাজার ৫শ কৃষকের মধ্যে প্রত্যেকের ১ বিঘা জমির অনুকুলে বীজ ও সার বিতরণের কার্যক্রম চলছে। কর্মসূচীর আওতায় রয়েছে ৫ হাজার গম চাষী, ১০ হাজার সরিষা চাষী, ২ হাজার ৫শ সূর্যমুখী চাষী, ২ হাজার চিনাবাদাম চাষী, ৪ হাজার মসুর ডাল চাষী, ৪ হাজার খেসারী ডাল চাষী, ২ হাজার টমেটো চাষী এবং ৩ হাজার মরিচ চাষী।
উপেজেলা ভিত্তিক ফসলওয়ারী কৃষকের সংখ্যা হচ্ছে নওগাঁ সদর উপজেলায় ২৫০ জন গম চাষী, ৭শ’ জন সরিষা চাষী, ৩৫০ জন সূর্যমুখী চাষী, ২৫০ জন চিনাবাদাম চাষী, ৪শ’ জন মসুর ডাল চাষী, ৫শ’ জন খেসারী ডাল চাষী, ২৫০ জন টমেটো চাষী ও ৪শ’ জন মরিচ চাষী।
রানীনগর উপজেলায় ১৫০ জন গম চাষী, ১ হাজার জন সরিষা চাষী, ৩শ’ জন সূর্যমুখী চাষী, ২৫০ জন চিনাবাদাম চাষী, ৩৫০ জন মসুর চাসী, ৪শ’ জন খেসারী ডাল চাষী, ২শ’ জন টমেটো চাষী ও ২শ জন মরিচ চাষী।
আত্রাই উপজেলায় ১শ’ জন গমচাষী, ১ হাজার জন সরিষা চাষী, ৩শ’ জন সূর্যমুখী চাষী, ৪শ’ জন চিনা বাদাম চাষী, ৪শ’ জন মসুর ডাল চাষী, ৫শ’ জন খেসারী ডাল চাষী, ১৫০ জন টমেটো চাষী ও ৩শ’ জন মরিচ চাষী।
বদলগাছি উপজেলায় ১শ’ জন গম চাষী, ৪শ’ জন সরিষা চাষী, ১শ’ জন সূর্যমুখী চাষী, ১শ’ জন চিনাবাদাম চাষী, ৪শ’ জন মসুর ডাল চাষী, ৩শ’ জন খেসারী ডাল চাষী, ২শ’ জন টমেটো চাষী ও ৩শ’ জন মরিচ চাষী।
মহাদেবপুর উপজেলায় ২শ’ জন গম চাষী, ৫শ’ জন সরিষা চাষী, ২শ’ জন সূর্যমুখী চাষী, ১শ’ জন চিনাবাদাম চাষী, ৩শ’ জন মুসর ডাল চাষী, ৩শ’ জন খেসারী ডাল চাষী, ২৫০ জন টমেটো চাষী ও ৩শ’ জন মরিচ চাষী।
পত্নীতলা উপজেলায় ৫শ’ জন গম চাষী, ১ হাজার জন সরিষা চাষী, ২শ’ জন সূর্যমুখী চাষী, ১শ’ জন চিনাবাদাম চাষী, ৩শ’ জন মসুর ডাল চাষী, ৩শ’ জন খেসারী ডাল চাষী, ২শ’ জন টমেটো চাষী ও ২৫০ জন মরিচ চাষী।
ধামইরহাট উপজেলায় ৩শ’ জন গম চাষী, ৫শ’ জন সরিষা চাষী, ১৫০ জনসূর্যমুখী চাষী, ১শ’ জন চিনাবাদাম চাষী, ৪শ’ জন মসুর ডাল চাষী, ২শ’ জন খেসারী ডাল চাষী, ১৫০ জন টমেটো চাষী ও ২৫০ জন মরিচ চাষী।
সাপাহার উপজেলায় ১ হাজার জন গম চাষী, ৯শ’ জন সরিষা চাষী, ২শ’ জন সূর্যমুখী চাষী, ১শ’ জন চিনাবাদাম চাষী, ৩শ’ জন মসুর ডাল চাষী, ২শ’ জন খেসারী ডাল চাষী, ১শ’ জন টমেটো চাষী ও ১শ’ জন মরিচ চাষী।
পোরশা উপজেলায় ১ হাজার জন গম চাষী, ৮শ’ জন সরিষা চাষী, ২শ’ জন সূর্যমুখী চাষী, ১শ’ জন চিনাবাদাম চাষী, ২৫০ জন মসুর ডাল চাষী, ২৫০ জন খেসারী ডাল চাষী, ১শ’ জন টমেটো চাষী ও ১শ’ জন মরিচ চাষী।
মান্দা উপজেলায় ৬শ’ জন গম চাষী, ২ হাজার ২শ’ জন সরিষা চাষী, ৩৫০ জন সূর্যমুখী চাষী, ৪শ’ জন চিনাবাদাম চাষী, ৬শ’ জন মসুর ডাল চাষী, ৮শ’ জন ডাল খেসারী চাষী, ৩শ’ জন টমেটো চাষী ও ৬শ’ জন মরিচ চাষী।
নিয়ামতপুর উপজেলায় ৮শ’ জন গমচাষী, ১ হাজার জন সরিষা চাষী, ১৫০ জন সূর্যমুখী চাষী, ১শ’ জন চিনাবাদাম চাষী, ৩শ’ জন মসুর চাষী, ২৫০ জন খেসারী ডাল চাষী, ১শ’ জন টমেটো চাষী ও ২শ’ জন মরিচ চাষী।
সুত্রমতে ৫ হাজার জন গমচাষীর মধ্যে ৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে প্রত্যেককে বিঘাপ্রতি ২০ কেজি করে মোট ১০ হাজার কেজি বীজ, ১০ হাজার জন সরিষা চাষীর মধ্যে ৩৫ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রত্যেককে ১ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার ও ১০ কেজি করে এমওপি সার, ২ হাজার ৫শ’ সূর্যমুখী চাষীর মধ্যে ৩৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে প্রত্যেককে বিঘাপ্রতি ১ কেজি করে মোট ২ হাজার ৫শ কেজি বীজ, ২ হাজার জন চিনাবাদাম চাষীর মধ্যে ২৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রত্যেককে ১০ কেজি করে ২০ হাজার কেজি বীজ, ৪ হাজার জন মসুর ডাল চাষীর মধ্যে ২৯ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রত্যেককে ৫ কেজি বীজ, ৫ কেজি ডিএপি সার ও ৫ কেজি করে এমওপি সার, ৪ হাজার জন খেসারী ডাল চাষীর মধ্যে ৩৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রত্যেককে ৮ কেজি বীজ, ৫ কেজি ডিএপিসার ও ৫ কেজি করে এমওপি সার, ২ হাজার জন টমেটো চাষীর মধ্যে ৭ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রত্যেককে ৫০ গ্রাম বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার ও ১০ কেজি করে এমওপি সার, ৩ হাজার জন মরিচ চাষীর মধ্যে ১৫ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রত্যেককে ৩শ গ্রাম বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার ও ৫ কেজি করে এমওপি সার বিতরণ করা হবে।
এসব বীজ, ডিএপি সার ও এমওপি সারের মোট মুল্য ১ কোচি ৮৮ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা। এ ছাড়াও বীজ, সার পরিবহণ এবং অন্যান্য খরচ বাবদ আরও ৮১ লক্ষ ২ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।#