
মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ১৩ অক্টোবর ২০২০ :
নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার চৌরাপাড়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় সরকারি বিধি মোতাবেক অভিজ্ঞতা ছাড়াই অবৈধভাবে অধ্যক্ষ নিয়োগের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
১৩ সেপ্টেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রাজশাহী অঞ্চলের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. শরমিন ফেরদৌস চৌধুরীর স্বাক্ষরিত এক চিঠি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, সভাপতি, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও অভিযোগকারী বরাবর প্রেরণ করেন। চিঠি প্রাপ্তির ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন জেলা শিক্ষা অফিসারকে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. নিয়ামত উল্লাহ ৫ অক্টোবর ১৯৯৭ সালে মাদ্রাসায় প্রভাষক পদে যোগদান করেন। ২০০২ সালের ১৫ জুলাই দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকায় অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা অথবা প্রভাষক পদে ৮ বছর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। কিন্তু নিয়ামত উল্লাহকে আলিম পর্যায়ে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ প্রদান করা হয় ২০০৩ সালের ১ ডিসেম্বর। তার অভিজ্ঞতা তখন হয়েছিল ৬ বছর ১ মাস ২৬ দিন। সরকারি বিধি মোতাবেক অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও তৎকালিন পরিচালনা কমিটি তাকে অবৈধভাবে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ প্রদান করে।
মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি নূরে আলম জানান, গত ১৩ সেপ্টেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রাজশাহী অঞ্চলের উপ-পরিচালকের একটি চিঠি পেয়েছি। সেখানেই উল্লেখ রয়েছে অধ্যক্ষ নিয়ামত উল্লাহ সরকারি বিধি মোতাবেক নিয়োগ নেন নি। তিনি মাদ্রাসাকে পরিবার বানিয়ে ফেলেছেন।
মাদ্রাসায় নিজে অধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োগ নেওয়ার পর ভাই, বোন, ভগ্নিপতি, ভাগ্নি জামাইকে নিয়োগ দিয়েছেন। ২০০৫ সালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাদ্রাসার সভাপতি থাকাকালিন নিজের চাচাকে সভাপতি বানিয়ে মাদ্রাসার জমি বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়া তিনি নিয়োগ বাণিজ্যসহ সব রকমের অনিয়ম করে মাদ্রাসা পরিচালনা করেন।
অধ্যক্ষ নিয়ামত উসল্লাহ বলেন, আমি যখন নিয়োগ নেই তখন আমার অভিজ্ঞতা ছিল প্রায় ৯ বছর। ৬ বছর ১ মাস ২৬ দিন এই মাদ্রাসায় এবং আগে আমি রাজশাহী জেলার পবা উপজেলার সারাংপুর দাখিল মাদ্রাসায় প্রায় ৩ বছর সুপারিনটেনডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছি। তিনি জানান, ১ জানুয়ারি ১৯৮২ সালে জনবল কাঠামার এক প্রজ্ঞাপনে ৭ বছরের অভিজ্ঞতা উল্লেখ ছিল। পরে ২৪ অক্টোবর ১৯৯৫ সালে তা ৮ বছর করে। আবার ১৬ জানুয়ারি ১৯৯৬ সালে প্রজ্ঞাপন স্থগিত করে পুনরায় ১৯৮২ সালের প্রজ্ঞাপন বহাল করে।
ভারপ্রাপ্ত জেলা শিক্ষা অফিসার মোবারুল ইসলাম বলেন, আমি তদন্তের চিঠি পেয়েছি। এমপিও এর কাজের জটিলতার কারণে তদন্ত করতে পারি নাই। খুব শীঘ্রই নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করবো।#