
মহাদেবপুর দর্পণ, এম, এ, মালেক, স্টাফ রিপোর্টার, ধামইরহাট (নওগাঁ), ৬ অক্টোবর ২০২০ :
নওগাঁর ধামইরহাটে আত্রাই নদীর বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। প্রায় ১শ মিটার জায়গা ধসে যাওয়ার যে কোন মূহুর্তে বাঁধ ভেঙ্গে যেতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। এতে লোকালয় এবং হাজার হাজার আমন ধান ও সবজি ক্ষেত পানিতে তলিয়ে যেতে পারে। গ্রোথ সেন্টার সংযোগকারী সড়কগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রুপ ধারণ করতে পারে।
উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের রাঙ্গামাটি বাজার থেকে পত্নীতলা উপজেলা সদর পর্যন্ত আত্রাই নদীর পূর্বপাশে ১০ ফুট চওড়া প্রায় ১০ কিলোমিটার বাঁধ সংলগ্ন পাকা রাস্তা রয়েছে। এ রাস্তা দিয়ে উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ স্বল্প সময়ে অতি সহজে পত্নীতলা উপজেলা দিয়ে জেলা সদরে যেতে পারেন। এ সড়ক নির্মাণ হওয়ায় আগে ওই এলাকার লোকজনকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার ঘুরে পত্নীতলায় যেতে হতো। তাছাড়া আত্রাই নদীর তীরবর্তী এলাকার হাজার হাজার কৃষক বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষি তাদের উৎপাদিত ফসল পত্নীতলা উপজেলার নজিপুরহাট ও বাজারে প্রতিদিন বিক্রি করেন।
বর্তমানে আত্রাই নদীর রাঙ্গামাটি জামুরঘাট (লেবুতলা) এলাকার রাস্তা সংলগ্ন বাঁধের প্রায় ১শ মিটার এলাকার মাটি পানিতে ধসে গেছে। যে কোনো মূহুর্তে বাঁধ কাম রাস্তা ভেঙ্গে যেতে পারে।
ছালিগ্রামের কৃষক মো. আব্দুল খালেক বলেন, এ বাঁধ ভেঙ্গে গেলে ২০-২৫ গ্রামের বাড়িঘর ও হাজার হাজার একর জমির আমন ধান ও সবজি ক্ষেত পানিতে তলিয়ে যেতে যাবে। সেই সাথে রাঙ্গামাটি থেকে পত্নীতলা উপজেলা সদরের যাওয়ারা রাস্তাটি বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশংকা রয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. আলী হোসেন বলেন, আত্রাই নদীর বাঁধ ধসে গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি ভেঙ্গে যেতে পারে। এতে এলাকার হাজার হাজার মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়তে হতে পারেন। এলজিইডির পক্ষ থেকে রাস্তাটি প্রশস্তসহ পাকাকরণ করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করেছি। এখনই নদীর গতি প্রবাহের দিক পরিবর্তন করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে।
নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জোয়ারদার মো. আসাদুল্লাহ বলেন, আমাদের লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বর্তমানে নদীর পানি কমতে থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। তবে পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়ে বাঁধটি রক্ষার প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রয়েছে। এছাড়া ধামইরহাটের শীমুলতলী থেকে মহাদেবপুর উপজেলার কালনা পর্যন্ত প্রায় ২৭কিলোমিটার নদী ড্রেজিং উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা পাস হয়েছে। বন্যার কারণে কাজ শুরু হতে বিলম্ব হচ্ছে। নদী ড্রেজিং করতে পারলে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধন হবে। #