নওগাঁ ০৩:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

রাণীনগরে রেলওয়ের আড়াইশ’ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

মহাদেবপুর দর্পণ, সাইদুজ্জামান সাগর, রাণীনগর (নওগাঁ), ৮ আগষ্ট ২০২০ :

নওগাঁর রাণীনগর রেলওয়ে ষ্টেশনের জায়গা থেকে আড়াই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও ডিভিশনাল এস্টেট কর্মকর্তা মো: নুরুজ্জামন মঙ্গলবার সকাল থেকে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।

রাণীনগর রেলওয়ে লাইনের পশ্চিম পাশ দিয়ে নির্মিত নওগাঁ-নাটোর মহাসড়কের দুই পাশ দিয়ে আধা কিলোমিটার এলাকা জুরে নিচু ডোবা ছিল। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের ছত্রছায়ায় ডোবায় মাটি ভরাট করে ২৮৪ টি পাকা ভবন নির্মাণ করে দোকান চালু করা হয়। গত একমাস ধরে মাইকিং করে স্থাপনা অপসারণ করার নির্দেশ দিলেও তাতে কেউ ভ্রুক্ষেপ করেনি।
মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় অভিযান চালিয়ে স্কেবেটার মেশিন দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া শুরু হয় এসব অবৈধ স্থাপনা।

অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকারী মামুন হোসেন সাংবাদিকদের জানান, স্থাপনা নির্মানকারীদের বৈধ কাগজপত্র করে দেয়া হবে বলে মরহুম এমপি ইসরাফিল আলমের আশ্বাসে ১৫ লক্ষ টাকা খরচ করে ইট দিয়ে চারটি দোকান ঘড় নির্মাণ করেছেন। কিন্তু স্থাপনা উচ্ছেদের ফলে এখন তিনি পথে বসেছেন। এমন কথা জানিয়েছেন আরো কয়েকজন। তারা বলছেন, স্থাপনা উচ্ছেদে কয়েকশ পরিবার আজ পথে বসল। কিভাবে তারা চলবেন, কিভাবে সংসার ছেলেমেয়ে পরিবার চলবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ঘুম হারাম হয়ে গেল তাদের।

অভিযান পরিচালনাকারী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জানান, দখল ও অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের সময় আমরা বারবার বন্ধ করতে ও দখল মুক্ত করতে তাগিদ দিয়ে মাইকিং করেও কোন ফল হয়নি। তাই অভিযান পরিচালনা করে রেলওয়ের জায়গা অবৈধ দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কেউ অবৈধভাবে রেলওয়ের জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করার চেষ্টা করে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাকিবুল ইসলাম, রাণীনগর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) তারিকুর রহমান, রাণীনগর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার আতাউর রহমান প্রমুখ।#

আপলোডকারীর তথ্য

রাণীনগরে রেলওয়ের আড়াইশ’ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

প্রকাশের সময় : ০২:০১:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

মহাদেবপুর দর্পণ, সাইদুজ্জামান সাগর, রাণীনগর (নওগাঁ), ৮ আগষ্ট ২০২০ :

নওগাঁর রাণীনগর রেলওয়ে ষ্টেশনের জায়গা থেকে আড়াই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও ডিভিশনাল এস্টেট কর্মকর্তা মো: নুরুজ্জামন মঙ্গলবার সকাল থেকে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।

রাণীনগর রেলওয়ে লাইনের পশ্চিম পাশ দিয়ে নির্মিত নওগাঁ-নাটোর মহাসড়কের দুই পাশ দিয়ে আধা কিলোমিটার এলাকা জুরে নিচু ডোবা ছিল। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের ছত্রছায়ায় ডোবায় মাটি ভরাট করে ২৮৪ টি পাকা ভবন নির্মাণ করে দোকান চালু করা হয়। গত একমাস ধরে মাইকিং করে স্থাপনা অপসারণ করার নির্দেশ দিলেও তাতে কেউ ভ্রুক্ষেপ করেনি।
মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় অভিযান চালিয়ে স্কেবেটার মেশিন দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া শুরু হয় এসব অবৈধ স্থাপনা।

অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকারী মামুন হোসেন সাংবাদিকদের জানান, স্থাপনা নির্মানকারীদের বৈধ কাগজপত্র করে দেয়া হবে বলে মরহুম এমপি ইসরাফিল আলমের আশ্বাসে ১৫ লক্ষ টাকা খরচ করে ইট দিয়ে চারটি দোকান ঘড় নির্মাণ করেছেন। কিন্তু স্থাপনা উচ্ছেদের ফলে এখন তিনি পথে বসেছেন। এমন কথা জানিয়েছেন আরো কয়েকজন। তারা বলছেন, স্থাপনা উচ্ছেদে কয়েকশ পরিবার আজ পথে বসল। কিভাবে তারা চলবেন, কিভাবে সংসার ছেলেমেয়ে পরিবার চলবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ঘুম হারাম হয়ে গেল তাদের।

অভিযান পরিচালনাকারী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জানান, দখল ও অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের সময় আমরা বারবার বন্ধ করতে ও দখল মুক্ত করতে তাগিদ দিয়ে মাইকিং করেও কোন ফল হয়নি। তাই অভিযান পরিচালনা করে রেলওয়ের জায়গা অবৈধ দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কেউ অবৈধভাবে রেলওয়ের জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করার চেষ্টা করে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাকিবুল ইসলাম, রাণীনগর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) তারিকুর রহমান, রাণীনগর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার আতাউর রহমান প্রমুখ।#