নওগাঁ ০২:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

নওগাঁয় পৈত্রিক সম্পত্তি উদ্ধারে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ২১ জুলাই ২০২০ :

সন্ত্রাসী ক্যাডরদের হুমকি, অবৈধ দখল থেকে পৈতৃক সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও সহযোগীতা কামনা করে মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন নজরুল ইসলাম নামে এক অসহায় ব্যক্তি।

লিখিত বক্তব্য পাঠকালে তিনি বলেন, নওগাঁয় পিতার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হয়ে অর্ধ যুগেরও বেশি সময় ধরে বিচারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। তিনি বর্তমানে নওগাঁ শহরের শাহী মসজিদ এলাকায় বসবাস করছেন। তার বাবা আব্দুর রহমান পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার গুলবনিয়া গ্রামের মৃত মমতাজ উদ্দীন আহম্মেদের ছেলে।

আব্দুর রহমান ১৯৭২ সালের পর নওগাঁয় এসে ব্যবসা বানিজ্য শুরু করে। ইতোপুর্বে তার ১ম স্ত্রীর ২ ছেলে ও ৩ কন্যা থাকা অবস্থায় আব্দুর রহমান ১৯৮৪ সালে ২য় বিয়ে করলে ঐ স্ত্রীর গর্ভে ২ মেয়ে ও ১ সন্তান জন্ম লাভ করে। পরবর্তীতে আব্দুর রহমান নওগাঁ বালুডাঙ্গা বাসষ্ট্যান্ডে চকপাথুরীয়া এলাকায় .০৯৯২ শতাংশ জমি ক্রয় করে সুফি সজিব নামে সুপার মার্কেট নির্মান করেন।

গত ১৩ জুন ২০১৩ আব্দুর রহমান মৃত্যু বরন করলে তার ২য় স্ত্রী রেবেকা সুলতানা ১ম স্ত্রী ও তার সন্তানদের সুকৌশলে নাম বাদ দিয়ে নওগাঁ পৌরসভা থেকে তার ২ মেয়ে ও ১ ছেলের নামে মোট ৪ জনের ওয়ারিশান সনদপত্র গ্রহন করেন। বিষয়টি জানতে পেরে নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে নওগাঁ পৌরসভায় অভিযোগ করলে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ দাখিলকৃত কাগজপত্র পর্যালোচনা করে গত ১৩ই মার্চ ১৪ সালে ২য় স্ত্রীকে দেওয়া ওয়ারিশান সনদপত্র বাতিল করে ১১ জনকে ওয়ারিশ করে সনদপত্র প্রদান করেন। কিন্তু ২য় পক্ষের ছেলে সজীব পৌরসভার সনদপত্র না মেনে পৌর কর্তৃপক্ষের প্রদত্ত সনদপত্র বাতিল করার জন্য পৌর কর্তৃপক্ষকে বিবাদী করে আদালতে নাম মাত্র মামলা করে দীর্ঘদিন থেকে কালক্ষেণ করছে।

অপরদিকে উক্ত সম্পত্তির দাবিদার নজরুল ইসলাম গং ওই সম্পত্তি বার বার বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করলেও ২য় পক্ষ বিভিন্ন ক্যাডার বাহিনী দিয়ে তাদের উচ্ছেদ করে দেয়। ফলে তিনি মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এ নিয়ে স্থানীয় ও প্রশাসনের নিকট বার বার আবেদন নিবেদন করেও কোন সুবিচার পাননি।

এ বিষয়ে ২য় স্ত্রী রেবেকা সুলতানার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি। #

আপলোডকারীর তথ্য

নওগাঁয় পৈত্রিক সম্পত্তি উদ্ধারে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশের সময় : ০২:১৩:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জুলাই ২০২০
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ২১ জুলাই ২০২০ :

সন্ত্রাসী ক্যাডরদের হুমকি, অবৈধ দখল থেকে পৈতৃক সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও সহযোগীতা কামনা করে মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন নজরুল ইসলাম নামে এক অসহায় ব্যক্তি।

লিখিত বক্তব্য পাঠকালে তিনি বলেন, নওগাঁয় পিতার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হয়ে অর্ধ যুগেরও বেশি সময় ধরে বিচারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। তিনি বর্তমানে নওগাঁ শহরের শাহী মসজিদ এলাকায় বসবাস করছেন। তার বাবা আব্দুর রহমান পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার গুলবনিয়া গ্রামের মৃত মমতাজ উদ্দীন আহম্মেদের ছেলে।

আব্দুর রহমান ১৯৭২ সালের পর নওগাঁয় এসে ব্যবসা বানিজ্য শুরু করে। ইতোপুর্বে তার ১ম স্ত্রীর ২ ছেলে ও ৩ কন্যা থাকা অবস্থায় আব্দুর রহমান ১৯৮৪ সালে ২য় বিয়ে করলে ঐ স্ত্রীর গর্ভে ২ মেয়ে ও ১ সন্তান জন্ম লাভ করে। পরবর্তীতে আব্দুর রহমান নওগাঁ বালুডাঙ্গা বাসষ্ট্যান্ডে চকপাথুরীয়া এলাকায় .০৯৯২ শতাংশ জমি ক্রয় করে সুফি সজিব নামে সুপার মার্কেট নির্মান করেন।

গত ১৩ জুন ২০১৩ আব্দুর রহমান মৃত্যু বরন করলে তার ২য় স্ত্রী রেবেকা সুলতানা ১ম স্ত্রী ও তার সন্তানদের সুকৌশলে নাম বাদ দিয়ে নওগাঁ পৌরসভা থেকে তার ২ মেয়ে ও ১ ছেলের নামে মোট ৪ জনের ওয়ারিশান সনদপত্র গ্রহন করেন। বিষয়টি জানতে পেরে নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে নওগাঁ পৌরসভায় অভিযোগ করলে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ দাখিলকৃত কাগজপত্র পর্যালোচনা করে গত ১৩ই মার্চ ১৪ সালে ২য় স্ত্রীকে দেওয়া ওয়ারিশান সনদপত্র বাতিল করে ১১ জনকে ওয়ারিশ করে সনদপত্র প্রদান করেন। কিন্তু ২য় পক্ষের ছেলে সজীব পৌরসভার সনদপত্র না মেনে পৌর কর্তৃপক্ষের প্রদত্ত সনদপত্র বাতিল করার জন্য পৌর কর্তৃপক্ষকে বিবাদী করে আদালতে নাম মাত্র মামলা করে দীর্ঘদিন থেকে কালক্ষেণ করছে।

অপরদিকে উক্ত সম্পত্তির দাবিদার নজরুল ইসলাম গং ওই সম্পত্তি বার বার বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করলেও ২য় পক্ষ বিভিন্ন ক্যাডার বাহিনী দিয়ে তাদের উচ্ছেদ করে দেয়। ফলে তিনি মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এ নিয়ে স্থানীয় ও প্রশাসনের নিকট বার বার আবেদন নিবেদন করেও কোন সুবিচার পাননি।

এ বিষয়ে ২য় স্ত্রী রেবেকা সুলতানার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি। #