মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ১১ মে ২০২০ :
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, চলতি বোরো মৌসুমে সারাদেশে বাম্পার ফলন হয়েছে। দেশে খাদ্যের অভাব হবে না। সঠিক সময়ে নতুন ফসল ঘরে তুলতে পারলে খাদ্যের সমস্যা হবে না। বরং খাদ্য উদ্বৃত্ত থাকবে।
শনিবার দুপুরে তিনি ঢাকায় তাঁর মিন্টো রোডের সরকারী বাসভবন থেকে নওগাঁ জেলা প্রশাসকের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দানকালে কথাগুলো বলেন।
তিনি ভিডিও কনফারেন্সে জেলার করোনা মোকাবেলা পরিস্থিতি, চলতি বোরো ধান কাটা-মাড়াই, সরকারীভাবে ধান-চাল সংগ্রহ, আম উৎপাদন ও বাজার ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আশা করা যাচ্ছে চলতি বোরো মৌসুমে ৩ কোটি ৫০ লাখ মেট্রিক টন চাল উৎপাদিত হবে। ২০ থেকে ২৫ লাখ মেট্রিক টন আউশ ধান উৎপাদিত হবে। এই উৎপাদন দিয়ে দেশের চাহিদা পূরণ করেও উদ্বৃত্ত থাকবে। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সরকারীভাবে অন্য যে কোন বছরের তুলনায় এবার বেশী ধান চাল সংগ্রহ করা হচ্ছে। যা করোনা দুর্যোগ মোকাবেলায় বড় সহায়ক হবে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে ধান ও চাল সংগ্রহ শুরু হয়েছে। খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা করোনা মোকাবেলা করে এই সংগ্রহ কার্যক্রম চালাচ্ছেন। শস্য সংগ্রহে যাতে কোন অনিয়ম না হয়, সেজন্য খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখতে বলেন। তিনি সংগ্রহ কার্যক্রমে সবাইকে সহযোগিতা ও করোনা মোকাবেলায় সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপদ দূরত্ব মেনে চলার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, লটারীর মাধ্যমে প্রকৃত কৃষকদের মধ্য থেকে কৃষক নির্বাচন করা হবে। যদি কোন কৃষক তার টিকিট মধ্য স্বত্বভোগীদের নিকট বিক্রি করেন, তাহলে সেই কৃষকের কার্ড বাতিল করা হবে এবং সে সব মধ্য স্বত্বভোগীকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি প্রদান করা হবে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের জীবন ও জীবিকা নিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আগে থেকেই সারাদেশে ৫০ লাখ পরিবারকে বছরে পাঁচ মাস প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল কেজি প্রতি ১০ টাকা করে বিতরণ করা হচ্ছে।
করোনাকালীন সময়ে কর্মহীন দরিদ্র মানুষের কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আরো ৫০ লাখ পরিবারের মাঝে প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল প্রতি কেজি ১০ টাকা করে দেয়ার জন্য সারাদেশে তালিকা তৈরীর কাজ এগিয়ে চলছে।
তিনি বলেন, যদি কেউ সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত দোকান খোলেন, তবে তাকে অবশ্যই সরকারী নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। গ্রাহকদের প্রবেশের সময় হ্যান্ড গ্লাভস ও মুখে মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করতে হবে। প্রবেশ পথে হাত ধোয়ার জন্য সাবান এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।
ভিডিও কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন নওগাঁর জেলা প্রশাসক হারুন-অর-রশীদ। নওগাঁ-৪ (মান্দা) আসনের এমপি সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী ইমাজ উদ্দিন প্রামানিক, নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছী) আসনের এমপি আলহাজ্ব মো: ছলিম উদ্দিন তরফদার সেলিম, নওগাঁ-৫ (সদর) আসনের এমপি ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন, পুলিশ সুপার প্রকৌশলী মো: আব্দুল মান্নান মিয়া বিপিএম, জেলা সিভিল সার্জন ডা: আকন্দ মো: আখতারুজ্জামান আলাল, সেনা, বিজিবি, খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা, জন প্রতিনিধি ও গণমাধ্যম কর্মীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
জেলার ১১ টি উপজেলার উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা অংশ নিয়ে মতামত তুলে ধরেন। #