
মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ,এম,সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ২ মে ২০২০ :
এবার করোনায় আক্রান্ত হলেন জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি নওগাঁ-২ (পত্নীতলা-ধামইরহাট) আসনের এমপি এ্যাডভোকেট শহীদুজ্জামান সরকার বাবলু (৬৫)।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর এই প্রথম কোন সংসদ সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন। আক্রান্তের খবরে সারাদেশের মত তাঁর নির্বাচনী এলাকাতেও আলোচনার ঝড় উঠেছে। এলাকার মানুষেরা তার সুস্থ্যতা কামনা করেছেন।
শুক্রবার (১ মে) দিবাগত রাতে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরিন শারমীন চৌধুরী তার আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি যে, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
জাতীয় সংসদের সরকার দলীয় হুইপ আতিউর রহমান আতিক শুক্রবার রাতে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। ওনার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তবে ওনার এখনও শারীরিক কোনো অসুবিধা নেই। ভালো আছেন। মোটামুটি সুস্থ্য আছেন। তেমন সিমটম নাই। শুধু জ্বর উঠছিল। জ্বর পরীক্ষা করতে গিয়ে করোনা ধরা পড়েছে। কিন্তু গলা ব্যাথা, কাশি বা অন্য কিছু নাই। তাও নিজেকে আইসোলেশনে রেখেছেন তিনি। উনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।”
নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনের এমপি ইসরাফিল আলম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন,“উত্তরাঞ্চলের একজন মাননীয় সংসদ সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় আমি উদ্বিগ্ন। দোয়া করি সৃষ্টিকর্তা তাকে যেন দ্রুত সুস্থ করেন। আমি তার জন্য সবার কাছে দোয়াপ্রার্থী।”
এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয় ৩ বার নির্বাচিত এমপি শহীদুজ্জামান সরকার কিভাবে করোনায় আক্রান্ত হলেন তা জানা যায়নি। তবে তিনি ডায়াবেটিসে ভূগছিলেন। গত ২৮ এপ্রিল তিনি তার গ্রামের বাড়ী নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার বীরগ্রাম থেকে ঢাকায় যান। সেখানে তার নামে বরাদ্দ করা ন্যাম ফ্ল্যাটে সরকারী বাসভবনে ওঠেন। সে রাতেই জ্বর ও গলা ব্যথায় আক্রান্ত হন তিনি। অসুস্থতা না কমলে বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) আইইডিসিআর থেকে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। শুক্রবার বিকেলে আইইডিসিআর থেকে তার কাছে রিপোর্ট পাঠানো হয়। রিপোর্টে বলা হয় তার শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি রয়েছে।
তবে ন্যাম ফ্ল্যাট অবরুদ্ধ করার কোনো পদপে নেয়নি পুলিশ। জানতে চাইলে শেরেবাংলা থানার ওসি জানে আলম মুনশী বলেন, “আমরা কোন লকডাউন করিনি। ওই জায়গা এমনিতেই সেফ জোন।”
“ওইখানে যারা বসবাস করেন, তারা বিষয়টি জানেন এবং সবাই নিজে নিজে আইসোলেশনে চলে গেছেন। পুলিশ বাইরে আছে এবং সহযোগিতা করছেন কার কী প্রয়োজন।” #