মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ,এম,সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ১ মে ২০২০ :
নওগাঁ শহর থেকে আটক করোনা আক্রান্ত রাণীনগরের যুবক মোস্তাফিজুর রহমান এখন অসহায় দিন যাপন করছেন। তিনি তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। তিনি উপজেলার খাগড়া গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে।
নওগাঁর সিভিল সার্জন ডা: আকন্দ মো: আখতারুজ্জামান আলাল জানান, ঢাকা ফেরৎ ওই যুবককে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। মঙ্গলবার আইইডিসিআর থেকে পাঠানো ফলাফলে তার করোনা পজেটিভ পাওয়া যায়। কিন্তু তিনি কোয়ারেন্টাইন লঙ্ঘন করে নওগাঁ শহরের ঘুরছিলেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে অভিযানে নামে পুলিশ। শহরের লিটন ব্রিজের উপর তাকে খুঁজে পেয়ে সেখান থেকে এ্যাম্বুলেন্সে তুলে বাড়ীতে আইসোলেশনে থাকতে পাঠানো হয়। তার বাড়ী লকডাউন করে পুলিশ মোতায়েন করার নির্দেশ দেয়া হয়।
শুক্রবার দুপুরে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে ওই যুবক জানান, গাজীপুরের মাওনা শ্রীপুকুর এলাকায় একটি টেক্সটাইল মিলে কাজ করতেন তিনি। ৭ এপ্রিল তিনি তার শ্বশুড়বাড়ী নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার বিল পালশা গ্রামে এসে নিজেই হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকেন। ২১ এপ্রিল স্বাস্থ্য কর্মীরা তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পাঠায়।
কিন্তু এখন পর্যন্ত তার জ্বর, সর্দি, কাশি, গলা ব্যাথা, শ্বাসকষ্ট বা অন্য কোন উপসর্গ না থাকায় তিনি স্বাভাবিক চলাফেরা করতে থাকেন। বুধবার বিকেলে তার মোবাইলফোন ট্যাগ করে পুলিশ তাকে ধরে এনে তার শ্বশুড়বাড়ীতে রেখে যায়। কিন্তু করোনা টেষ্টের কি রেজাল্ট তা এখনও তাকে জানানো হয়নি।
তিনি আপে করে বলেন, তার করোনা হয়েছে, এটা জানতে পারলে তিনি নিজেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতেন। এখন তাকে একটি ঘরে আবদ্ধ করে রাখা হলেও একই বাড়ীতে তার স্ত্রী, ছোট সন্তান, শ্বশুড়, শ্বাশুড়ী, শ্যালক, শ্যালিকা রয়েছেন। গাজীপুর থেকে আসার পর থেকেই তাদের সাথে আছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের কারো নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি।
তিনি অভিযোগ করেন যে, বুধবার তাকে নওগাঁ থেকে ধরে এনে বাড়ীতে বন্দী করে রাখা হয়েছে। পুরো বাড়ী লকডাউন করা হয়েছে। কিন্তু গত দুই দিন প্রশাসনের কেউ তাদের কোন খোঁজ রাখেনি। কোন খাবার দেয়নি। এমনকি কোন ওষুধও সরবরাহ করা হয়নি। তবে একটি প্রেসক্রিপশন দেয়া হয়েছে। তার মামা শ্বশুড় খাবার এনে দূরে রেখে গেছেন।
মোস্তাফিজুর রহমান কান্নাজড়িত কন্ঠে জানান, তার ছোট সন্তান নিয়ে খুব দু:শ্চিন্তায় আছেন। তার নিজেরই চিকিৎসা হচ্ছেনা। এখন তাদের কি হবে ?
এব্যাপারে কথা বলার জন্য রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সরকারী মোবাইলফোনে রিং দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। #