
মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ,এম,সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ২২ এপ্রিল ২০২০ :
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি বলেছেন, দেশের একটি মানুষকেও যেন না খেয়ে থাকতে না হয়। এটা তার দিক নির্দেশনা।
তিনি বলেন, খাদ্যের কোন ঘাটতি বাংলাদেশে নাই। তবে এখন আমাদের ধান কাটা মাড়াইয়ের সময়। প্রকৃতি যদি বিরাগ ভাজন না হয়, আমরা মনে করি সৃষ্টিকর্তা আমাদের সহায় হবেন।

মন্ত্রী বলেন, আমরা সম্পূর্ণরুপে ধানগুলো কেটে ঘরে তুলতে পারি। তার জন্য যা যা বিধি ব্যবস্থা নেয়ার দরকার সেই দিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হব। এটা হল আমার মূলকথা ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ।
তিনি বলেন, ধান কেটে ঘরে তুলতে হবে। তার জন্য জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জন প্রতিনিধি, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ যারা রিলিফের আওতায় আছে তাদের সবাইকে কাজে লাগাতে হবে।

তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় যারা কাজ করতো, তাদেরকে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। একদিকে রিলিফ পাবে, অন্যদিকে ধান কাটার মজুরীও পাবে।
মন্ত্রী বলেন, কৃষকদের ধানের নায্য মূল্য নিশ্চিত করতে এ মৌসুমে সর্বোচ্চ পরমিাণ ধান কেনা হবে। চলতি বোরো মৌসুমে কৃষকদের কাছ থেকে ৮ লাখ মেট্রিক টন ধান ও সাড়ে ১১ লাখ মেট্রিক টন চাল কিনবে সরকার। যা আগামী ২৬ এপ্রিল থেকে সারাদেশে এক সাথে শুরু হবে। কোন জায়গায় কৃষকদের হয়রানী না করা হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
মন্ত্রী বুধবার দুপুর ২ টায় নওগাঁ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে তার পক্ষ থেকে ১২০ টি পিপিই, ৩০ হাজার মাস্ক, ১ হাজার করোনাভাইরাস টেষ্টিং কীট ও ৬০ টি থার্মাল স্ক্যানার বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে ভিডিও কনফারেন্সে কথাগুলো বলেন।
এসময় অন্যদের মধ্যে জেলা প্রশাসক হারুন অর রশীদ, পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিঞা বিপিএম, সিভিল সার্জন ডা: আ: ম: আখতারুজ্জামান আলাল, নওগাঁ সদর হাসপাতালের উপ-পরচিালক ডা: মমিনুল হক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জি,এম, ফারুক হোসেন পাটোয়ারী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মালেক, জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো: রফিকুল ইসলাম রফিক, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিমান কুমার রায়সহ সরকারী কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরে জেলা প্রশাসকের নিকট মন্ত্রীর পক্ষে পিপিই, মাস্ক ও থারমাল স্ক্যানার হস্তান্তর করা হয়। #