নওগাঁ ০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

স্কোয়াশ চাষে সফল রাণীনগরের সব্জি চাষী আনোয়ার : ধারণা নেই কৃষি অফিসারের

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ,এম,সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ২০ জানুয়ারী ২০২০ :

মিষ্টি কুমড়ার মত সব্জি স্কোয়াশ চাষ সম্পর্কে কোন ধারনা নেই নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা কৃষি অফিসার শহীদুল ইসলামের। অথচ এই উপজেলার বেশ কয়েক জন চাষী স্কোয়াশ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন।

জানতে চাইলে তিনি বলেন, ”স্কোয়াশ সবজি চাষে আমাদের তেমন ধারণা নেই । এই এলাকায় যে দু’একজন চাষ করেছেন তারা সফল ও লাভবান হয়েছেন। তাদের দেখাদেখি অনেকেই অফিসে আসছেন পরামর্শ নিতে। কিন্তু স্কোয়াশ চাষে সঠিক ধারণা না থাকায় কৃষকদের পরামর্শ দিতে পারছিনা। তার পরেও আমরা যেটুকু ধারণা নিয়েছি, তা থেকে বলা যায়, স্কোয়াশ চাষ বেশ লাভজনক । আশা করছি আগামী মৌসুমে ব্যাপক আকারে স্কোয়াশ চাষ হবে।

এই উপজেলার কালিগ্রাম দীঘির পার গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে যুবক চাষী আনোয়ার হোসেন স্কোয়াশ চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন। শীত মৌসুমে অন্যান্য সবজির পাশাপাশি স্বল্প পরিমাণ জমিতে পরীক্ষামূলক স্কোয়াশ চাষ করে লাভবান হয়েছেন।

তিনি জানান, বেশ কয়েক বছর ধরে ঝিঙ্গা, লাউ, মূলা, টমেটো, বাঁধা কপি ও ফুল কপিসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করে থাকেন। এর মধ্যে ধাপের হাটে এই সবজি দেখে এসে আদমদীঘি উপজেলার একজন বীজ বিক্রেতার পরামর্শে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষামূলক স্কোয়াশের বীজ নেন।

বাড়ীতে মিষ্টি কুমড়া বা লাউয়ের মত বীজ বপন করে গাছ গজিয়ে পরে জমিতে রোপণ করেন। দেড় মাস পর ফল আসতে শুরু করে ।

স্কোয়াশ গাছ একদম মিষ্টি কুমড়ার মত। পাতা, ডগা, কান্ড দেখে বোঝার উপাই নেই যে এটি মিষ্টি কুমড়া নাকি স্কোয়াশ গাছ।

মিষ্টি কুমড়া গোল হলেও স্কোয়াশ দেখতে বাঙ্গির মত লম্বা । স্বাদে ও পুষ্টিতে মিষ্টি কুমড়ার মত। তবে মিষ্টি কুমড়ার গাছ অনেক লম্বা হলেও স্কোয়াশের গাছ দেড় ফিট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে।

এই সবজি পাহাড়ী এলাকা এবং বিভিন্ন দেশে চাষ হলেও দেশের এই অঞ্চলে এটি একেবারেই নতুন বলছেন কৃষি কর্মকর্তা। স্কোয়াশ রাণীনগর উপজেলায় প্রথমবার পরীক্ষামূলক চাষ হয়েছে দু’একটি জায়গায় ।

উপজেলার সিম্বা গ্রামের সৌরভ খন্দকারও চাষ করেছেন স্কোয়াশ সবজি। তিনি তিন কাঠা জমিতে চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন।

বাজারে এই সবজিটি নতুন হলেও এর চাহিদা থাকায় প্রতি পিস ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে । প্রতিটি স্কোয়াশ দেড় থেকে আড়াই কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে।

সবজি হিসেবে এই এলাকায় স্কোয়াশ নতুন হওয়ায় এর চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে ও স্কোয়াশ ক্ষেত দেখতে স্থানীয় অন্যান্য সবজি চাষীরা আসছেন স্কোয়াশ ক্ষেত দেখতে ও পরামর্শ নিতে।

আনোয়ার হোসেন জানান, ৮ শতক জায়গায় পরীক্ষামূলক চাষ করেছেন এবং একমাত্র বীজ ও কিটনাশক বিক্রেতার পরামর্শে পরিচর্চা করেছেন তিনি। তার মতে, বীজ ক্রয়, জমি প্রস্তুত, লাগানো এবং সার, কিটনাশকসহ ৮ শতক জমিতে মাত্র দেড় হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু এপর্যন্ত জমি থেকে ছয় হাজার টাকার স্কোয়াশ বিক্রি করেছেন। এখনো দুই আড়াই হাজার টাকার স্কোয়াশ বিক্রি করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন।

তিনি জানান, প্রথম চাষ, তাই পরিচর্চা বুঝতে এবং খরচ একটু বেশি হয়েছে। স্বল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় আগামীতে আরো বেশি পরিমাণ জমিতে এই স্কোয়াশ চাষ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। #

আপলোডকারীর তথ্য

স্কোয়াশ চাষে সফল রাণীনগরের সব্জি চাষী আনোয়ার : ধারণা নেই কৃষি অফিসারের

প্রকাশের সময় : ১০:৩০:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২০
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ,এম,সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ২০ জানুয়ারী ২০২০ :

মিষ্টি কুমড়ার মত সব্জি স্কোয়াশ চাষ সম্পর্কে কোন ধারনা নেই নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা কৃষি অফিসার শহীদুল ইসলামের। অথচ এই উপজেলার বেশ কয়েক জন চাষী স্কোয়াশ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন।

জানতে চাইলে তিনি বলেন, ”স্কোয়াশ সবজি চাষে আমাদের তেমন ধারণা নেই । এই এলাকায় যে দু’একজন চাষ করেছেন তারা সফল ও লাভবান হয়েছেন। তাদের দেখাদেখি অনেকেই অফিসে আসছেন পরামর্শ নিতে। কিন্তু স্কোয়াশ চাষে সঠিক ধারণা না থাকায় কৃষকদের পরামর্শ দিতে পারছিনা। তার পরেও আমরা যেটুকু ধারণা নিয়েছি, তা থেকে বলা যায়, স্কোয়াশ চাষ বেশ লাভজনক । আশা করছি আগামী মৌসুমে ব্যাপক আকারে স্কোয়াশ চাষ হবে।

এই উপজেলার কালিগ্রাম দীঘির পার গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে যুবক চাষী আনোয়ার হোসেন স্কোয়াশ চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন। শীত মৌসুমে অন্যান্য সবজির পাশাপাশি স্বল্প পরিমাণ জমিতে পরীক্ষামূলক স্কোয়াশ চাষ করে লাভবান হয়েছেন।

তিনি জানান, বেশ কয়েক বছর ধরে ঝিঙ্গা, লাউ, মূলা, টমেটো, বাঁধা কপি ও ফুল কপিসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করে থাকেন। এর মধ্যে ধাপের হাটে এই সবজি দেখে এসে আদমদীঘি উপজেলার একজন বীজ বিক্রেতার পরামর্শে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষামূলক স্কোয়াশের বীজ নেন।

বাড়ীতে মিষ্টি কুমড়া বা লাউয়ের মত বীজ বপন করে গাছ গজিয়ে পরে জমিতে রোপণ করেন। দেড় মাস পর ফল আসতে শুরু করে ।

স্কোয়াশ গাছ একদম মিষ্টি কুমড়ার মত। পাতা, ডগা, কান্ড দেখে বোঝার উপাই নেই যে এটি মিষ্টি কুমড়া নাকি স্কোয়াশ গাছ।

মিষ্টি কুমড়া গোল হলেও স্কোয়াশ দেখতে বাঙ্গির মত লম্বা । স্বাদে ও পুষ্টিতে মিষ্টি কুমড়ার মত। তবে মিষ্টি কুমড়ার গাছ অনেক লম্বা হলেও স্কোয়াশের গাছ দেড় ফিট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে।

এই সবজি পাহাড়ী এলাকা এবং বিভিন্ন দেশে চাষ হলেও দেশের এই অঞ্চলে এটি একেবারেই নতুন বলছেন কৃষি কর্মকর্তা। স্কোয়াশ রাণীনগর উপজেলায় প্রথমবার পরীক্ষামূলক চাষ হয়েছে দু’একটি জায়গায় ।

উপজেলার সিম্বা গ্রামের সৌরভ খন্দকারও চাষ করেছেন স্কোয়াশ সবজি। তিনি তিন কাঠা জমিতে চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন।

বাজারে এই সবজিটি নতুন হলেও এর চাহিদা থাকায় প্রতি পিস ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে । প্রতিটি স্কোয়াশ দেড় থেকে আড়াই কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে।

সবজি হিসেবে এই এলাকায় স্কোয়াশ নতুন হওয়ায় এর চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে ও স্কোয়াশ ক্ষেত দেখতে স্থানীয় অন্যান্য সবজি চাষীরা আসছেন স্কোয়াশ ক্ষেত দেখতে ও পরামর্শ নিতে।

আনোয়ার হোসেন জানান, ৮ শতক জায়গায় পরীক্ষামূলক চাষ করেছেন এবং একমাত্র বীজ ও কিটনাশক বিক্রেতার পরামর্শে পরিচর্চা করেছেন তিনি। তার মতে, বীজ ক্রয়, জমি প্রস্তুত, লাগানো এবং সার, কিটনাশকসহ ৮ শতক জমিতে মাত্র দেড় হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু এপর্যন্ত জমি থেকে ছয় হাজার টাকার স্কোয়াশ বিক্রি করেছেন। এখনো দুই আড়াই হাজার টাকার স্কোয়াশ বিক্রি করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন।

তিনি জানান, প্রথম চাষ, তাই পরিচর্চা বুঝতে এবং খরচ একটু বেশি হয়েছে। স্বল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় আগামীতে আরো বেশি পরিমাণ জমিতে এই স্কোয়াশ চাষ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। #